ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

প্রেরিত 16:14-33 Kitabul Mukkadas (MBCL)

14. যাঁরা শুনছিলেন তাঁদের মধ্যে থুয়াতীরা শহরের লুদিয়া নামে একজন স্ত্রীলোক ছিলেন। তিনি বেগুনী রংয়ের কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ইহুদী না হলেও তিনি আল্লাহ্‌র এবাদত করতেন। প্রভু লুদিয়ার দিল এমনভাবে খুলে দিলেন যাতে তিনি পৌলের কথা মন দিয়ে শুনে ঈমান আনেন।

15. এতে তিনি ও তাঁর বাড়ীর সকলে তরিকাবন্দী নিলেন। এর পরে তিনি এই বলে আমাদের দাওয়াত করলেন, “যদি আমাকে আপনারা প্রভুর উপর ঈমানদার বলে মনে করেন তবে আমার বাড়ীতে এসে থাকুন।” এই কথা বলে তিনি আমাদের সাধাসাধি করে তাঁর বাড়ীতে নিয়ে গেলেন।

16. একদিন যখন আমরা সেই মুনাজাতের জায়গায় যাচ্ছিলাম তখন একজন বাঁদীর সংগে আমাদের দেখা হল। তাকে একটা ভূতে পেয়েছিল যার ফলে সে ভবিষ্যতের কথা বলতে পারত। তাতে তার মালিকদের লাভ হত।

17. সেই মেয়েটি পৌল এবং আমাদের পিছনে যেতে যেতে চিৎকার করে বলত, “এই লোকেরা আল্লাহ্‌তা’লার গোলাম। কি করে নাজাত পাওয়া যায় এঁরা তা-ই আপনাদের কাছে বলছেন।”

18. সে অনেক দিন পর্যন্ত এই রকম করল। শেষে পৌল এত বিরক্ত হলেন যে, তিনি পিছন ফিরে সেই ভূতকে বললেন, “ঈসা মসীহের নামে আমি তোমাকে হুকুম দিচ্ছি, এই মেয়েটির মধ্য থেকে বের হয়ে যাও।” আর তখনই সেই ভূত বের হয়ে গেল।

19. লাভের আশা চলে গেল দেখে মেয়েটির মালিকেরা পৌল আর সীলকে ধরে শহর-চকে নেতাদের কাছে টেনে নিয়ে গেল।

20. তার পরে তারা শাসনকর্তাদের কাছে তাঁদের নিয়ে গিয়ে বলল, “এই লোকেরা আমাদের শহরে গোলমাল বাধিয়েছে। এরা ইহুদী।

21. এরা এমন সব আচার-ব্যবহারের বিষয় শিক্ষা দিচ্ছে যা রোমীয় হিসাবে আমাদের পক্ষে গ্রহণ করা বা পালন করা আইন্তবিরুদ্ধ কাজ।”

22. অন্যান্য লোকেরাও পৌল ও সীলের বিরুদ্ধে তাদের সংগে যোগ দিল। তখন শাসনকর্তারা হুকুম দিলেন যেন তাঁদের কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলে বেত মারা হয়।

23. ভীষণভাবে বেত মারবার পরে তাঁদের জেলখানায় রাখা হল, আর ভাল করে পাহারা দেবার জন্য জেল-রক্ষককে হুকুম দেওয়া হল।

24. জেল-রক্ষক সেই হুকুম পেয়ে পৌল ও সীলকে জেলের ভিতরের ঘরে নিয়ে গেলেন এবং হাড়িকাঠ দিয়ে তাঁদের পা আটকে রাখলেন।

25. তখন প্রায় রাত দুপুর। পৌল ও সীল মুনাজাত করছিলেন এবং আল্লাহ্‌র উদ্দেশে প্রশংসা-কাওয়ালী করছিলেন। অন্য কয়েদীরা তা শুনছিল।

26. এমন সময় হঠাৎ এক ভীষণ ভূমিকমপ হল এবং তাতে জেলখানার ভিত্তি পর্যন্ত কেঁপে উঠল। তখনই জেলের সমস্ত দরজা ও কয়েদীদের শিকল খুলে গেল।

27. জেল-রক্ষক জেগে উঠলেন এবং জেলের দরজাগুলো খোলা দেখতে পেয়ে ছোরা বের করে আত্মহত্যা করতে চাইলেন। তিনি মনে করলেন সমস্ত কয়েদীই পালিয়ে গেছে।

28. তখন পৌল চিৎকার করে বললেন, “থামুন, নিজের ক্ষতি করবেন না; আমরা সবাই এখানে আছি।”

29. তখন সেই জেল-রক্ষক একজনকে বাতি আনতে বলে নিজে ছুটে ভিতরে গেলেন এবং ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে পৌল ও সীলের পায়ে পড়লেন।

30. তার পরে তিনি পৌল ও সীলকে বাইরে এনে জিজ্ঞাসা করলেন, “বলুন, নাজাত পাবার জন্য আমাকে কি করতে হবে?”

31. তাঁরা বললেন, “আপনি ও আপনার পরিবার হযরত ঈসার উপর ঈমান আনুন, তাহলে নাজাত পাবেন।”

32. পৌল আর সীল তখন জেল-রক্ষক ও তাঁর বাড়ীর সকলের কাছে মাবুদের কালাম বললেন।

33. জেল-রক্ষক সেই রাতেই পৌল আর সীলকে নিয়ে গিয়ে তাঁদের শরীরের কাটা জায়গাগুলো ধুয়ে দিলেন, আর তিনি ও তাঁর পরিবারের অন্য সবাই তখনই তরিকাবন্দী নিলেন।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন প্রেরিত 16