28. পাক-রূহ্ আর আমরা এটাই ভাল মনে করলাম যে, এই দরকারী বিষয়গুলো ছাড়া আর কোন কিছুর দ্বারা আপনাদের উপর যেন বোঝা চাপানো না হয়।
29. সেই দরকারী বিষয়গুলো হল- আপনারা মূর্তির কাছে উৎসর্গ করা খাবার খাবেন না, রক্ত খাবেন না, গলা টিপে মারা পশুর গোশ্ত খাবেন না এবং কোন রকম জেনা করবেন না। এই সব করা থেকে দূরে থাকলে আপনারা ভাল করবেন। বিদায়।”
30. পৌল, বার্নাবাস ও সেই লোকদের পাঠানো হলে পর তাঁরা এণ্টিয়কে গেলেন। সেখানে তাঁরা জামাতের লোকদের একত্র করে সেই চিঠিখানা তাদের দিলেন।
31. লোকেরা চিঠিটা পড়ল এবং তার মধ্যে যে সান্ত্বনার কথা ছিল তাতে খুশী হল।
32. এহুদা আর সীল নিজেরাও ছিলেন নবী; সেইজন্য তাঁরা অনেক কথা বলে সেখানকার ভাইদের উৎসাহ দিলেন এবং তাদের ঈমান বাড়িয়ে তাদের শক্তিশালী করে তুললেন।
33-34. এণ্টিয়কে তাঁরা কিছু দিন কাটালেন। জেরুজালেমের যাঁরা এহুদা ও সীলকে এণ্টিয়কে পাঠিয়েছিলেন, এণ্টিয়কের ভাইয়েরা তাঁদের সালাম জানিয়ে এহুদা আর সীলকে আবার তাঁদের কাছে ফেরৎ পাঠিয়ে দিল,
35. কিন্তু পৌল আর বার্নাবাস এণ্টিয়কেই রইলেন। সেখানে তাঁরা আরও অনেকের সংগে মাবুদের কালাম শিক্ষা দিতে ও তবলিগ করতে থাকলেন।
36. কিছু দিন পরে পৌল বার্নাবাসকে বললেন, “যে সব জায়গায় আমরা মাবুদের কালাম তবলিগ করেছি, চল, এখনই সেই সব জায়গায় ফিরে গিয়ে ঈমানদার ভাইদের সংগে দেখা করি এবং তারা কেমন ভাবে চলছে তা দেখি।”
37. তখন বার্নাবাস ইউহোন্নাকে সংগে নিতে চাইলেন। এই ইউহোন্নাকে মার্ক বলেও ডাকা হত।
38. পৌল কিন্তু তাঁকে সংগে নেওয়া ভাল মনে করলেন না, কারণ মার্ক পাম্ফুলিয়াতে তাঁদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের সংগে আর কাজ করেন নি।
39. তখন পৌল ও বার্নাবাসের মধ্যে এমন মতের অমিল হল যে, তাঁরা একে অন্যের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গেলেন। বার্নাবাস মার্ককে নিয়ে জাহাজে করে সাইপ্রাস দ্বীপে গেলেন, আর পৌল সীলকে বেছে নিলেন।
40. তখন এণ্টিয়কের ভাইয়েরা পৌল ও সীলকে মাবুদের রহমতের হাতে তুলে দিলে পর তাঁরা রওনা হলেন।
41. পৌল সিরিয়া ও কিলিকিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়ে সমস্ত জামাতগুলোর ঈমান বাড়িয়ে তাদের আরও শক্তিশালী করে তুললেন।