24. “আমরা শুনতে পেলাম যে, আমাদের মধ্য থেকে কয়েকজন গিয়ে অনেক কথা বলে আপনাদের মন অস্থির করে তুলে কষ্ট দিয়েছে, কিন্তু আমরা তাদের এই রকম কাজ করতে বলি নি।
25. এইজন্য আমরা সবাই একমত হয়ে কয়েকজনকে বেছে নিয়ে আমাদের প্রিয় বন্ধু বার্নাবাস ও পৌলের সংগে আপনাদের কাছে তাঁদের পাঠালাম।
26. বার্নাবাস ও পৌল আমাদের হযরত ঈসা মসীহের জন্য মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন।
27. আমরা এহুদা ও সীলকে পাঠালাম যেন আমরা যা লিখছি তা তাঁরা আপনাদের কাছে মুখেও বলেন।
28. পাক-রূহ্ আর আমরা এটাই ভাল মনে করলাম যে, এই দরকারী বিষয়গুলো ছাড়া আর কোন কিছুর দ্বারা আপনাদের উপর যেন বোঝা চাপানো না হয়।
29. সেই দরকারী বিষয়গুলো হল- আপনারা মূর্তির কাছে উৎসর্গ করা খাবার খাবেন না, রক্ত খাবেন না, গলা টিপে মারা পশুর গোশ্ত খাবেন না এবং কোন রকম জেনা করবেন না। এই সব করা থেকে দূরে থাকলে আপনারা ভাল করবেন। বিদায়।”
30. পৌল, বার্নাবাস ও সেই লোকদের পাঠানো হলে পর তাঁরা এণ্টিয়কে গেলেন। সেখানে তাঁরা জামাতের লোকদের একত্র করে সেই চিঠিখানা তাদের দিলেন।
31. লোকেরা চিঠিটা পড়ল এবং তার মধ্যে যে সান্ত্বনার কথা ছিল তাতে খুশী হল।
32. এহুদা আর সীল নিজেরাও ছিলেন নবী; সেইজন্য তাঁরা অনেক কথা বলে সেখানকার ভাইদের উৎসাহ দিলেন এবং তাদের ঈমান বাড়িয়ে তাদের শক্তিশালী করে তুললেন।
33-34. এণ্টিয়কে তাঁরা কিছু দিন কাটালেন। জেরুজালেমের যাঁরা এহুদা ও সীলকে এণ্টিয়কে পাঠিয়েছিলেন, এণ্টিয়কের ভাইয়েরা তাঁদের সালাম জানিয়ে এহুদা আর সীলকে আবার তাঁদের কাছে ফেরৎ পাঠিয়ে দিল,
35. কিন্তু পৌল আর বার্নাবাস এণ্টিয়কেই রইলেন। সেখানে তাঁরা আরও অনেকের সংগে মাবুদের কালাম শিক্ষা দিতে ও তবলিগ করতে থাকলেন।