16. তখন প্রভু যা বলেছিলেন সেই কথা আমার মনে পড়ল, ‘ইয়াহিয়া পানিতে তরিকাবন্দী দিতেন, কিন্তু তোমাদের তরিকাবন্দী হবে পাক-রূহে।’
17. তাহলে হযরত ঈসা মসীহের উপর ঈমান আনলে পর আল্লাহ্ আমাদের যে দান দিয়েছিলেন সেই একই দান যখন তিনি তাদেরও দিলেন তখন আমি কে যে, আল্লাহ্কে বাধা দিতে পারি?”
18. এই কথা শুনে এহুদিয়ার ঈমানদারেরা আর আপত্তি না করে আল্লাহ্র প্রশংসা করে বলল, “তাহলে আল্লাহ্ অ-ইহুদীদেরও জীবন পাবার জন্য তওবা করতে সুযোগ দিলেন।”
19. স্তিফানকে কেন্দ্র করে ঈমানদারদের উপর জুলুমের দরুন যারা ছড়িয়ে পড়েছিল তারা ফিনিশিয়া, সাইপ্রাস ও এণ্টিয়ক পর্যন্ত গিয়ে কেবল ইহুদীদের কাছেই আল্লাহ্র কালাম বলল।
20. কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন এণ্টিয়কে গিয়ে গ্রীক ভাষায় কথা বলা লোকদের কাছেও হযরত ঈসার বিষয়ে সুসংবাদ তবলিগ করতে লাগল। এরা ছিল সাইপ্রাস দ্বীপ ও কুরীণী শহরের লোক।
21. আল্লাহ্র শক্তি তাদের উপর ছিল বলে অনেক লোক প্রভুর উপর ঈমান এনে তাঁর দিকে ফিরল।
22. এই খবর জেরুজালেমের জামাতের লোকদের কানে গেলে পর তারা বার্নাবাসকে এণ্টিয়ক শহরে পাঠিয়ে দিল।
23. আল্লাহ্ যে কিভাবে এণ্টিয়কের লোকদের রহমত করেছেন বার্নাবাস এসে তা দেখে খুব আনন্দিত হলেন। তারা যেন সমস্ত দিল দিয়ে প্রভুর কাছে বিশ্বস্ত থাকে সেইজন্য তিনি তাদের সকলকে উৎসাহ দিতে লাগলেন।
24. বার্নাবাস একজন ভাল লোক ছিলেন এবং তিনি পাক-রূহে ও বিশ্বাসে পূর্ণ ছিলেন। তখন প্রভু অনেককেই তাঁর নিজের কাছে নিয়ে এসেছিলেন।
25. এর পরে বার্নাবাস শৌলের খোঁজে তার্ষ শহরে গেলেন,
26. আর তাঁকে খুঁজে পেয়ে এণ্টিয়কে আনলেন। বার্নাবাস আর শৌল এক বছর পর্যন্ত জামাতের লোকদের সংগে মিলিত হয়ে অনেক লোককে শিক্ষা দিলেন। এণ্টিয়কেই মসীহের উম্মতদের ঈসায়ী নামে প্রথম ডাকা হল।
27. এর মধ্যে কয়েকজন নবী জেরুজালেম থেকে এণ্টিয়কে আসলেন।
28. তাঁদের মধ্যে আগাব নামে একজন উঠে দাঁড়িয়ে পাক-রূহের পরিচালনায় বললেন যে, সারা রোম সাম্রাজ্যে এক ভীষণ দুর্ভিক্ষ হবে। (সম্রাট ক্লাডিয়াসের রাজত্বের সময়ে সেই কথা পূর্ণ হয়েছিল।)