অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

প্রকাশিত কালাম 17 Kitabul Mukkadas (MBCL)

জন্তুর উপরে বসা স্ত্রীলোকটি

1. যে সাতজন ফেরেশতার হাতে সাতটা পেয়ালা ছিল তাঁদের মধ্যে একজন এসে আমাকে বললেন, “অনেক পানির উপরে যে মহাবেশ্যা বসে আছে, এস, আমি তার শাস্তি তোমাকে দেখাই।

2. দুনিয়ার বাদশাহ্‌রা তার সংগে জেনা করেছিল, আর যারা এই দুনিয়ার তারা তার জেনার আংগুর-রসে মাতাল হয়েছিল।”

3. তারপর সেই ফেরেশতা আমাকে মরুভূমিতে নিয়ে গেলেন। তখন আমি পাক-রূহের বশে ছিলাম। সেখানে আমি একজন স্ত্রীলোককে একটা লাল রংয়ের জন্তুর উপরে বসে থাকতে দেখলাম। কুফরী করবার জন্য অনেকগুলো নাম সেই জন্তুটার উপর লেখা ছিল। তার সাতটা মাথা আর দশটা শিং।

4. সেই স্ত্রীলোকটা বেগুনী ও লাল রংয়ের পোশাক পরে ছিল এবং তার গায়ে সোনা, দামী দামী পাথর ও মুক্তার গহনা ছিল। জঘন্য জিনিসে ও তার জেনার ময়লায় ভরা একটা সোনার পেয়ালা তার হাতে ছিল।

5. তার কপালে এমন নাম লেখা ছিল যার বিষয়ে একটা গোপন সত্য আছে। সেই নামটা হল, “নাম-করা ব্যাবিলন, বেশ্যাদের এবং দুনিয়ার সব জঘন্য জিনিসের মা।”

6. আমি দেখলাম, সেই স্ত্রীলোকটা আল্লাহ্‌র বান্দাদের রক্ত এবং যারা ঈসার বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছে তাদের রক্ত খেয়ে মাতাল হয়ে আছে।

7. আমি তাকে দেখে খুব আশ্চর্য হলাম। তখন সেই ফেরেশতা আমাকে বললেন, “তুমি আশ্চর্য হচ্ছ কেন? স্ত্রীলোকটার এবং যে জন্তুটা তাকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে সেই জন্তুটার গোপন অর্থ তোমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। এ সেই জন্তু যার সাতটা মাথা আর দশটা শিং ছিল।

8. যে জন্তুটাকে তুমি দেখেছিলে সে আগে ছিল কিন্তু এখন নেই। পরে সে হাবিয়া-দোজখ থেকে উঠে এসে অনন্তকাল ধরে শাস্তি ভোগ করবে। তখন যারা এই দুনিয়ার, অর্থাৎ দুনিয়া সৃষ্টির সময় থেকে যাদের নাম জীবন্তকিতাবে লেখা নেই তারা সেই জন্তুটাকে দেখে আশ্চর্য হয়ে যাবে; কারণ জন্তুটা আগে ছিল, এখন নেই, অথচ আবার দেখা দেবে।

9. “এখন যা বলা হবে তা বুঝবার জন্য বুদ্ধির দরকার। সেই সাতটা মাথা হল সাতটা পাহাড় যার উপর স্ত্রীলোকটা বসে আছে। সেই সাতটা মাথা আবার সাতজন বাদশাহ্‌ও বটে।

10. সেই বাদশাহ্‌দের মধ্যে পাঁচজন আগেই শেষ হয়ে গেছে, একজন এখনও আছে আর অন্যজন এখনও আসে নি। সেই বাদশাহ্‌ আসবার পর তাকে কিছুকাল থাকতেই হবে।

11. যে জন্তুটা আগে ছিল কিন্তু এখন নেই সে ঐ সাতজনের মধ্যে একজন হলেও সে অষ্টম বাদশাহ্‌; সে অনন্তকাল ধরে শাস্তি ভোগ করবে।

12. “যে দশটা শিং তুমি দেখেছ ওগুলো হল দশজন বাদশাহ্‌। তারা এখনও রাজত্ব করতে শুরু করে নি, কিন্তু তারা সেই জন্তুর সংগে অল্প সময়ের জন্য বাদশাহ্‌ হিসাবে রাজত্ব করবার ক্ষমতা পাবে।

13. এই বাদশাহ্‌দের উদ্দেশ্য একই, আর তারা সবাই তাদের ক্ষমতা ও অধিকার সেই জন্তুটাকে দেবে।

14. এরা মেষ-শাবকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে আর মেষ-শাবক তাদের হারিয়ে দেবেন, কারণ তিনি প্রভুদের প্রভু ও বাদশাহ্‌দের বাদশাহ্‌। যাদের ডাকা হয়েছে আর বেছে নেওয়া হয়েছে এবং যারা বিশ্বস্ত তারাই তাঁর সংগে থাকবে।”

15. তারপর সেই ফেরেশতা আমাকে বললেন, “তুমি যে পানি দেখেছ, যার উপর সেই বেশ্যা বসে আছে, তা হল অনেক দেশ, অনেক লোক, অনেক জাতি ও অনেক ভাষা।

16. তুমি যে দশটা শিং দেখেছ সেগুলো আর সেই জন্তুটা সেই বেশ্যাকে ঘৃণা করবে। তারা তাকে ধ্বংস ও উলংগ করবে এবং তার গোশ্‌ত খাবে; তারপর তাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলবে।

17. এর কারণ হল, আল্লাহ্‌ তাদের দিলে এমন ইচ্ছা দিয়েছেন যাতে তাঁর কালাম সফল হয়। তার ফলে তারা একমন হয়ে সেই জন্তুটার কাছে তাদের সমস্ত ক্ষমতা দান করবে, যাতে আল্লাহ্‌র কালাম পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সে রাজত্ব করতে পারে।

18. যে স্ত্রীলোকটাকে তুমি দেখেছিলে সে হল সেই নাম-করা শহর, যে দুনিয়ার সমস্ত বাদশাহ্‌দের উপরে রাজত্ব করছে।”