অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

প্রকাশিত কালাম 11 Kitabul Mukkadas (MBCL)

দু’জন সাক্ষী

1. তারপর মাপকাঠির মত একটা নলের লাঠি আমাকে দেওয়া হল এবং বলা হল, “বায়তুল-মোকাদ্দস ও কোরবানগাহ্‌ মাপ এবং যারা সেখানে আল্লাহ্‌র এবাদত করে তাদের সংখ্যা গোণ।

2. কিন্তু বায়তুল-মোকাদ্দসের বাইরে যে উঠান আছে ওটা বাদ দিয়ো, মেপো না, কারণ ওটা অ-ইহুদীদের দেওয়া হয়েছে। তারা বিয়াল্লিশ মাস ধরে পবিত্র শহরটা পায়ে মাড়াবে।

3. কিন্তু আমি আমার দু’জন সাক্ষীকে এমন ক্ষমতা দেব যার ফলে তারা চট পরে এক হাজার দু’শো ষাট দিন ধরে নবী হিসাবে কথা বলবে।”

4. সেই দু’জন সাক্ষী হলেন দু’টি জলপাই গাছ ও দু’টি বাতিদান, যাঁরা দুনিয়ার মালিকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।

5. কেউ যদি তাঁদের ক্ষতি করতে চায় তবে তাঁদের মুখ থেকে আগুন বের হয়ে সেই শত্রুদের পুড়িয়ে ফেলবে। যে কেউ তাঁদের ক্ষতি করতে চাইবে তাকে এইভাবে মরতে হবে।

6. এই লোকেরা যতদিন নবী হিসাবে কথা বলবেন ততদিন যেন বৃষ্টি না হয় সেইজন্য আসমান বন্ধ করে দেবার ক্ষমতা তাঁদের থাকবে। পানিকে রক্ত করবার এবং যতবার ইচ্ছা ততবার যে কোন গজব দিয়ে দুনিয়ার ক্ষতি করবার ক্ষমতাও তাঁদের থাকবে।

7. তাঁদের সাক্ষ্য দেওয়া শেষ হলে পর হাবিয়া-দোজখ থেকে একটা জন্তু উঠে এসে তাঁদের সংগে যুদ্ধ করবে এবং তাঁদের পরাজিত করে হত্যা করবে।

8. তাঁদের প্রভুকে যে শহরে ক্রুশের উপরে হত্যা করা হয়েছিল সেই মহা শহরের রাস্তায় তাঁদের লাশ পড়ে থাকবে। সেই শহরের নাম আসলে সাদুম ও মিসর নয়, তবুও একই রকম বলে সেই শহরকে সাদুম ও মিসর বলা হয়।

9. তখন সব দেশ, বংশ, ভাষা ও জাতির মধ্য থেকে লোকেরা সাড়ে তিন দিন ধরে ঐ লাশগুলো দেখবে।

10. তারা তাঁদের লাশগুলো দাফন করতে দেবে না। তাঁরা মারা গেছেন বলে যারা এই দুনিয়ার তারা খুশী হবে এবং আনন্দ করবে। লোকেরা একে অন্যের কাছে উপহার পাঠাবে, কারণ যারা এই দুনিয়ার তারা এই দু’জন নবীর দরুন কষ্ট পেয়েছিল।

11. কিন্তু এই সাড়ে তিন দিন পরে আল্লাহ্‌র দেওয়া প্রাণবায়ু তাঁদের মধ্যে ঢুকল। তাতে তাঁরা পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ালেন। তখন যারা তাঁদের দেখল তারা খুব ভয় পেল।

12. পরে সেই দু’জন সাক্ষী বেহেশত থেকে জোরে বলা এই কথা শুনলেন, “এখানে উঠে এস।” তখন তাঁরা তাঁদের শত্রুদের চোখের সামনেই একটা মেঘে করে বেহেশতে উঠে গেলেন।

13. সেই সময় ভীষণ ভূমিকমপ হল এবং সেই শহরের দশ ভাগের এক ভাগ ভেংগে পড়ে গেল। সেই ভূমিকমেপ সাত হাজার লোক মারা গেল। তাতে বাকী সকলে ভয় পেয়ে বেহেশতের আল্লাহ্‌র প্রশংসা করতে লাগল।

14. এইভাবে দ্বিতীয় বিপদ শেষ হল। দেখ, শীঘ্রই তৃতীয় বিপদ আসছে।

সপ্তম শিংগা

15. পরে সপ্তম ফেরেশতা তাঁর শিংগা বাজালেন। তখন বেহেশতে জোরে জোরে বলা হল, “দুনিয়ার রাজ্য এখন আমাদের মাবুদ ও তাঁর মসীহের হয়েছে।

16. তিনি চিরকাল ধরে রাজত্ব করবেন।” যে চব্বিশজন নেতা আল্লাহ্‌র সামনে তাঁদের সিংহাসনের উপর বসে ছিলেন তাঁরা উবুড় হয়ে আল্লাহ্‌কে সেজদা করে বললেন,

17. “সর্বশক্তিমান মাবুদ আল্লাহ্‌, তুমি আছ এবং তুমি ছিলে। আমরা তোমার শুকরিয়া আদায় করি, কারণ তুমি তোমার মহা ক্ষমতা হাতে নিয়ে রাজত্ব করতে শুরু করেছ।

18. সব জাতি রাগ করেছে, আর তোমার গজব নাজেল করবার সময় হয়েছে। মৃতদের বিচার করবার সময় এসেছে, আর তোমার গোলামদের, অর্থাৎ নবীদের ও তোমার বান্দাদের এবং ছোট-বড় সবাই যারা তোমাকে ভয় করে তাদের পুরস্কার দেবার সময় এসেছে। এছাড়া যারা দুনিয়ার ক্ষতি করছে, তাদের ধ্বংস করবার সময়ও এসেছে।”

19. তারপর বেহেশতের এবাদত-খানাটি খোলা হল এবং সেখানে আল্লাহ্‌র সাক্ষ্য-সিন্দুকটি দেখা গেল। তখন বিদ্যুৎ চম্‌কাতে ও ভয়ংকর আওয়াজ হতে আর বাজ পড়তে এবং ভূমিকমপ ও ভীষণ শিলাবৃষ্টি হতে লাগল।