2. আল্লাহ্র কালাম ও ঈসা মসীহের সাক্ষ্য সম্বন্ধে ইউহোন্না যা দেখেছিলেন, সেই সব বিষয়েই তিনি এখানে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
3. আল্লাহ্র কালাম যা এখানে লেখা হয়েছে, যে তা তেলাওয়াত করে সে ধন্য এবং যারা তা শোনে ও পালন করে তারাও ধন্য, কারণ সময় কাছে এসে গেছে।
4-5. আমি ইউহোন্না এশিয়া প্রদেশের সাতটা জামাতের কাছে লিখছি। যিনি আছেন, যিনি ছিলেন ও যিনি আসছেন তিনি আর তাঁর সিংহাসনের সামনে যে সাতটি রূহ্ থাকেন তাঁরা এবং ঈসা মসীহ্ তোমাদের রহমত ও শান্তি দান করুন। ঈসা মসীহ্ই বিশ্বস্ত সাক্ষী এবং মৃত্যু থেকে তিনিই প্রথমে জীবিত হয়ে উঠেছিলেন, আর তিনিই দুনিয়ার বাদশাহ্দের শাসনকর্তা। তিনি আমাদের মহব্বত করেন এবং নিজের রক্ত দিয়ে গুনাহ্ থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন।
6. তিনি আমাদের নিয়ে একটা রাজ্য গড়ে তুলেছেন এবং তাঁর পিতা ও আল্লাহ্র এবাদত-কাজের জন্য ইমাম করেছেন। চিরকাল ধরে ঈসা মসীহের গৌরব হোক এবং চিরকাল ধরে তাঁর শক্তি থাকুক। আমিন।
7. দেখ, তিনি মেঘের সংগে আসছেন। প্রত্যেকটি চোখ তাঁকে দেখবে; যারা তাঁকে বিঁধেছিল তারাও দেখবে এবং দুনিয়ার সমস্ত জাতি তাঁর জন্য জোরে জোরে কাঁদবে। তা-ই হোক, আমিন।
8. মাবুদ আল্লাহ্ বলছেন, “আমিই সেই আল্ফা এবং ওমিগা যিনি আছেন, যিনি ছিলেন ও যিনি আসছেন। আমিই সর্বশক্তিমান।”
9. আমি তোমাদের ভাই ইউহোন্না; ঈসার সংগে যুক্ত হয়ে আমি তোমাদের সংগে একই কষ্ট, একই রাজ্য এবং একই ধৈর্যের ভাগী হয়েছি। আল্লাহ্র কালাম ও ঈসার সাক্ষ্য প্রচার করেছিলাম বলে আমাকে পাট্ম দ্বীপে নিয়ে রাখা হয়েছিল।
10. প্রভুর দিনে আমি বিশেষভাবে পাক-রূহের বশে ছিলাম। এমন সময়ে আমার পিছনে শিংগার আওয়াজের মত একজনের জোর গলার আওয়াজ শুনলাম।
11. তিনি আমাকে বললেন, “যা দেখবে তা একটা কিতাবে লেখ, আর তা ইফিষ, ইজমির, পর্গাম, থুয়াতীরা, সার্দ্দি, ফিলাদেলফিয়া ও লায়দিকেয়া- এই সাতটা শহরের সাতটা জামাতের কাছে পাঠিয়ে দাও।”
12. যিনি কথা বলছিলেন তাঁকে দেখবার জন্য আমি ঘুরে দাঁড়ালাম এবং সোনার সাতটা বাতিদান দেখলাম।
13. সেই বাতিদানগুলোর মাঝখানে ইব্ন্তেআদমের মত কেউ একজন ছিলেন। তাঁর পরনে পা পর্যন্ত লম্বা পোশাক ছিল এবং তাঁর বুকে সোনার পটি বাঁধা ছিল।
14. তাঁর মাথার চুল ভেড়ার লোমের ও বরফের মত সাদা ছিল এবং তাঁর চোখ আগুনের শিখার মত ছিল।
15. তাঁর পা ছিল আগুনে পুড়িয়ে পরিষ্কার করা খুব চক্চকে পিতলের মত, আর তাঁর গলার আওয়াজ ছিল জোরে বয়ে যাওয়া স্রোতের আওয়াজের মত।
16. তিনি তাঁর ডান হাতে সাতটা তারা ধরে রেখেছিলেন এবং তাঁর মুখ থেকে একটা ধারালো ছোরা বের হয়ে আসছিল যার দু’দিকেই ধার ছিল। পূর্ণ তেজে জ্বলন্ত সূর্যের মতই তাঁর মুখের চেহারা ছিল।