অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

গালাতীয় 4 Kitabul Mukkadas (MBCL)

1. আমার কথার অর্থ এই- বাবার সব কিছুর উপর সন্তানের অধিকার থাকলেও যতদিন সে নাবালক থাকে ততদিন তার এবং গোলামের মধ্যে কোন তফাৎ থাকে না।

2. তার পিতা যে সময় ঠিক করে দেন সেই সময় পর্যন্ত তাকে অভিভাবক ও ভারপ্রাপ্ত লোকদের অধীনে থাকতে হয়।

3. সেই একইভাবে আমরাও যখন ছোট ছিলাম তখন দুনিয়ার নানা রীতিনীতির গোলাম ছিলাম।

4. কিন্তু সময় পূর্ণ হলে পর আল্লাহ্‌ তাঁর পুত্রকে পাঠিয়ে দিলেন। সেই পুত্র স্ত্রীলোকের গর্ভে জন্মগ্রহণ করলেন এবং শরীয়তের অধীনে জীবন কাটালেন,

5. যেন শরীয়তের অধীনে থাকা লোকদের তিনি মুক্ত করতে পারেন, আর আল্লাহ্‌র সন্তান হিসাবে আমাদের গ্রহণ করতে পারেন।

6. তোমরা সন্তান বলেই আল্লাহ্‌ তাঁর পুত্রের রূহ্‌কে তোমাদের দিলে থাকবার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই রূহ্‌ আল্লাহ্‌কে আব্বা, অর্থাৎ পিতা বলে ডাকেন।

7. ফলে তোমরা আর গোলাম নও বরং সন্তান। যদি তোমরা সন্তানই হয়ে থাক তবে আল্লাহ্‌ যা দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন তোমরা তার অধিকারী।

গালাতীয়দের জন্য হযরত পৌলের চিন্তা

8. আগে যখন তোমরা আল্লাহ্‌কে চিনতে না তখন তোমরা যাদের সেবা করতে তারা আসলে কোন দেবতাই নয়।

9. কিন্তু এখন তোমরা আল্লাহ্‌কে চিনেছ; তার চেয়ে বরং এই কথা বললে ঠিক হবে যে, আল্লাহ্‌ তোমাদের চিনেছেন। তাহলে কেমন করে তোমরা আবার দুনিয়ার সেই নানা দুর্বল ও নিষ্ফল রীতিনীতির দিকে ফিরছ? তোমরা কি আবার সেই সবের গোলাম হতে চাইছ?

10. তোমরা বিশেষ বিশেষ দিন, মাস, ঋতু ও বছর পালন করছ।

11. তোমাদের জন্য আমার এই ভয় হচ্ছে যে, তোমাদের মধ্যে হয়তো আমি মিথ্যাই পরিশ্রম করেছি।

12. ভাইয়েরা, আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, তোমরা আমার মত হও, কারণ আমিও তোমাদের মত হয়েছি। তোমরা আমার উপর কোন অন্যায় কর নি।

13. তোমরা জান যে, আমার শরীর অসুস্থ ছিল বলে আমি প্রথম বার তোমাদের কাছে সুসংবাদ তবলিগ করবার সুযোগ পেয়েছিলাম।

14. আমার অসুস্থতা যদিও তোমাদের কষ্ট দিয়েছিল তবুও তোমরা আমাকে তুচ্ছ বা ঘৃণা কর নি, বরং আল্লাহ্‌র ফেরেশতাকে কিংবা মসীহ্‌ ঈসাকে যেভাবে গ্রহণ করতে সেইভাবেই তোমরা আমাকে গ্রহণ করেছিলে।

15. কিন্তু এখন নিজেদের সেই ধন্য মনে করবার ভাব তোমাদের কোথায় গেল? আমি তোমাদের সম্বন্ধে এই সাক্ষ্য দিতে পারি যে, সম্ভব হলে তখন তোমরা তোমাদের চোখ তুলে নিয়ে আমাকে দিতে।

16. এখন সত্যি কথা বলবার জন্য কি আমি তোমাদের শত্রু হয়ে গেছি?

17. সেই অন্য লোকেরা তোমাদের জন্য আগ্রহী হয়েছে, কিন্তু সেটা কোন ভাল উদ্দেশ্যের জন্য নয়। তারা আমার দিক থেকে তোমাদের ফিরাতে চায়, যেন তোমরা তাদের প্রতি আগ্রহী হও।

18. অবশ্য সৎ উদ্দেশ্যের জন্য আগ্রহ থাকা ভাল। আমি যখন তোমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকি কেবল তখন নয়, কিন্তু সব সময়েই আগ্রহ থাকা ভাল।

19. আমার সন্তানেরা, যতদিন না তোমরা মসীহের মত হও ততদিন পর্যন্ত আমি আবার তোমাদের জন্য প্রসব-বেদনার মত কষ্ট ভোগ করছি।

20. আমার এমন ইচ্ছা হচ্ছে যে, এই চিঠি লেখার বদলে আমি এখনই তোমাদের মধ্যে উপস্থিত হয়ে তোমাদের সংগে কথা বলি, কারণ তোমাদের সম্বন্ধে আমি কি করব তা বুঝতে পারছি না।

বিবি সারা ও হাজেরা

21. তোমরা যারা শরীয়তের অধীনে থাকতে চাইছ, তোমরা আমাকে বল দেখি, শরীয়ত যা বলে তা কি তোমরা শুনতে পাও না?

22. কিতাবে লেখা আছে ইব্রাহিমের দু’টি ছেলে ছিল, তাদের একজনের মা ছিল এক বাঁদী ও আর একজনের মা ছিলেন ইব্রাহিমের আসল স্বাধীন স্ত্রী।

23. স্বাভাবিক ভাবেই সেই বাঁদীর সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল, কিন্তু যিনি স্বাধীন ছিলেন তাঁর সন্তানটি আল্লাহ্‌র ওয়াদার ফলে জন্মগ্রহণ করেছিল।

24. আমি রূপক অর্থে এই সব কথা বলছি। এই দু’জন স্ত্রীলোক দু’টি ব্যবস্থাকে বুঝায়। একটা ব্যবস্থা তুর পাহাড় থেকে এসেছে এবং তা তার অধীন মানুষকে গোলাম হবার পথে নিয়ে যাচ্ছে। এ হল সেই বাঁদী হাজেরা।

25. হাজেরা আরব দেশের তুর পাহাড়কে বুঝায়। হাজেরা এখনকার জেরুজালেমের একটা ছবিও বটে, কারণ জেরুজালেম তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাঁদী হয়েছে।

26. কিন্তু যে জেরুজালেম বেহেশতের, সে স্বাধীন; সে-ই আমাদের মা।

27. পাক-কিতাবে লেখা আছে, “হে বন্ধ্যা স্ত্রীলোক, যার কখনও সন্তান হয় নি, তুমি আনন্দে গান কর; তুমি, যার কখনও প্রসব-বেদনা হয় নি, তুমি গানে ফেটে পড়, আনন্দে চিৎকার কর; কারণ যার স্বামী আছে তার চেয়ে যার কেউ নেই তার সন্তান অনেক বেশী হবে।”

28. ভাইয়েরা, তোমরা ইসহাকের মতই আল্লাহ্‌র ওয়াদার ফলে জন্মেছ।

29. কিন্তু সেই সময় যার স্বাভাবিক ভাবে জন্ম হয়েছিল সে জুলুম করত তার উপর যার পাক-রূহের শক্তিতে জন্ম হয়েছিল। আর এখনও তা-ই হচ্ছে।

30. কিন্তু পাক-কিতাব কি বলে? পাক-কিতাব বলে যে, বাঁদী ও তার ছেলেকে যেন বের করে দেওয়া হয়, কারণ বাঁদীর ছেলে কোনমতেই স্বাধীন স্ত্রীর ছেলের সংগে বিষয়-সম্পত্তির ভাগ পেতে পারে না।

31. ভাইয়েরা, তাহলে দেখা যাচ্ছে, আমরা বাঁদীর সন্তান নই, বরং আমরা স্বাধীন স্ত্রীর সন্তান।