3. তোমরা যদি সেই সুন্দর কাপড় পরা লোকটিকে বেশী সম্মান দেখিয়ে বল, “আপনি এই ভাল জায়গাটায় বসুন,” আর সেই গরীব লোকটিকে বল, “তুমি ঐখানে দাঁড়াও” বা “এখানে আমার পায়ের কাছে বস,”
4. তাহলে তোমরা নিজেদের মধ্যে কি ছোট-বড় ভাবের সৃষ্টি করছ না এবং খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে বিচার করছ না?
5. আমার প্রিয় ভাইয়েরা, শোন। এই দুনিয়ার চোখে যারা গরীব, ঈমানে ধনী হবার জন্য আল্লাহ্ কি তাদের বেছে নেন নি? যারা আল্লাহ্কে মহব্বত করে তাদের তিনি যে রাজ্য দেবার ওয়াদা করেছেন সেই রাজ্যের অধিকারী হবার জন্য এই গরীব লোকদের কি তিনি বেছে নেন নি?
6. অথচ সেই গরীর লোকদেরই তোমরা অপমান করেছ। কিন্তু ধনী লোকেরাই কি তোমাদের কষ্ট দেয় না এবং আদালতে টেনে নিয়ে যায় না?
7. যাঁর নাম অনুসারে তোমাদের ডাকা হয় ধনীরা কি সেই সম্মানিত নামের বিরুদ্ধে কুফরী করে না?
8. পাক-কিতাবে লেখা আছে, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করবে।” তোমরা যদি সত্যিই মসীহের রাজ্যের এই আইন মেনে চল তবে ভালই করছ।
9. কিন্তু তোমরা যদি সবাইকে সমান চোখে না দেখ তবে তোমরা গুনাহ্ করছ। এই আইনই তখন তোমাদের আইন্তঅমান্যকারী বলে দোষী করে।
10. যে লোক সমস্ত শরীয়ত পালন করেও মাত্র একটা বিষয়ে গুনাহ্ করে সে সমস্ত শরীয়ত অমান্য করেছে বলতে হবে।
11. যিনি বলেছেন, “জেনা কোরো না,” তিনিই আবার বলেছেন, “খুন কোরো না।” তাহলে যদি তোমরা জেনা না করে খুন কর তবে কি তোমরা আইন্তঅমান্যকারী হলে না?
12. যে আইন মানুষকে স্বাধীনতা দান করে সেই আইন দ্বারা যাদের বিচার করা হবে, তাদের মতই কথা বল ও চলাফেরা কর;
13. কারণ যে দয়া করে নি, বিচারের সময়ে সেও দয়া পাবে না। বিচারের উপর দয়া জয়লাভ করে।
14. আমার ভাইয়েরা, যদি কেউ বলে তার ঈমান আছে কিন্তু কাজে তা না দেখায় তবে তাতে কি লাভ? সেই ঈমান কি তাকে নাজাত করতে পারে?
15. ধরে নাও, তোমাদের কোন ভাই কিংবা বোনের ঘরে খাবারও নেই, পরবার কাপড়ও নেই।
16. এই অবস্থায় যদি তোমাদের কেউ তাকে বলে, “তোমার ভাল হোক, খেয়ে-পরে ভাল থাক,” অথচ তার অভাব মিটাবার কোন ব্যবস্থাই না করে তবে তাতে তার কি উপকার হবে?
17. ঠিক সেইভাবে, যে ঈমানের সংগে কাজ যুক্ত নেই সেই ঈমান মৃত।
18. কেউ হয়তো বলতে পারে, “তোমার ঈমান আছে আর আমার আছে সৎ কাজ।” খুব ভাল কথা। কাজ ছাড়া তোমার ঈমান আমাকে দেখাও আর আমি কাজের মধ্য দিয়ে আমার ঈমান তোমাকে দেখাব।