11. যিনি বলেছেন, “জেনা কোরো না,” তিনিই আবার বলেছেন, “খুন কোরো না।” তাহলে যদি তোমরা জেনা না করে খুন কর তবে কি তোমরা আইন্তঅমান্যকারী হলে না?
12. যে আইন মানুষকে স্বাধীনতা দান করে সেই আইন দ্বারা যাদের বিচার করা হবে, তাদের মতই কথা বল ও চলাফেরা কর;
13. কারণ যে দয়া করে নি, বিচারের সময়ে সেও দয়া পাবে না। বিচারের উপর দয়া জয়লাভ করে।
14. আমার ভাইয়েরা, যদি কেউ বলে তার ঈমান আছে কিন্তু কাজে তা না দেখায় তবে তাতে কি লাভ? সেই ঈমান কি তাকে নাজাত করতে পারে?
15. ধরে নাও, তোমাদের কোন ভাই কিংবা বোনের ঘরে খাবারও নেই, পরবার কাপড়ও নেই।
16. এই অবস্থায় যদি তোমাদের কেউ তাকে বলে, “তোমার ভাল হোক, খেয়ে-পরে ভাল থাক,” অথচ তার অভাব মিটাবার কোন ব্যবস্থাই না করে তবে তাতে তার কি উপকার হবে?
17. ঠিক সেইভাবে, যে ঈমানের সংগে কাজ যুক্ত নেই সেই ঈমান মৃত।
18. কেউ হয়তো বলতে পারে, “তোমার ঈমান আছে আর আমার আছে সৎ কাজ।” খুব ভাল কথা। কাজ ছাড়া তোমার ঈমান আমাকে দেখাও আর আমি কাজের মধ্য দিয়ে আমার ঈমান তোমাকে দেখাব।
19. তুমি বিশ্বাস কর যে আল্লাহ্ এক, তাই না? খুব ভাল! কিন্তু ভূতেরাও তো তা বিশ্বাস করে এবং ভয়ে কাঁপে।
20. হায় মূর্খ! কাজ ছাড়া ঈমান যে নিষ্ফল তার প্রমাণ কি তুমি চাও?
21. আমাদের পূর্বপুরুষ ইব্রাহিম যখন তাঁর ছেলে ইসহাককে কোরবানগাহের উপর কোরবানী দিয়েছিলেন তখন কি সেই কাজের জন্য তাঁকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয় নি?
22. তুমি তো দেখতেই পাচ্ছ যে, তাঁর ঈমান ও কাজ সেই সময় একসংগে কাজ করছিল এবং তাঁর কাজই তাঁর ঈমানকে পূর্ণতা দান করেছিল।
23. এইভাবে পাক-কিতাবের এই কথা পূর্ণ হয়েছিল, “ইব্রাহিম আল্লাহ্র কথার উপর ঈমান আনলেন আর সেইজন্য আল্লাহ্ তাকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করলেন।” সেইজন্য তাঁকে আল্লাহ্র বন্ধু বলে ডাকা হয়েছিল।
24. তাহলে তোমরা দেখতে পাচ্ছ, কেবল মাত্র ঈমানের জন্যই যে আল্লাহ্ মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন তা নয়, কিন্তু ঈমান এবং কাজ এই দু’য়ের জন্যই আল্লাহ্ মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন।
25. আর বেশ্যা রাহবকে কিভাবে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়েছিল? তিনি ইহুদী গোয়েন্দাদের লুকিয়ে রেখে পরে অন্য পথ দিয়ে তাদের পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, আর এই কাজের জন্য তাঁকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়েছিল।