10. সব কিছু আল্লাহ্র জন্যই এবং সব কিছু তাঁরই দ্বারা হয়েছে। সেইজন্য অনেক সন্তানকে তাঁর মহিমার ভাগী করবার উদ্দেশ্যে নাজাতের ভিত্তি ঈসাকে কষ্টভোগের মধ্য দিয়ে পূর্ণ করে তোলা আল্লাহ্র পক্ষে ঠিক কাজই হয়েছে।
11. যিনি লোকদের পবিত্র করেন সেই ঈসা নিজে এবং যাদের তিনি পবিত্র করেন সেই লোকেরা সকলেই আল্লাহ্র পরিবারের লোক। এইজন্য ঈসা সেই লোকদের ভাই বলে ডাকতে লজ্জা পান না।
12. পাক-কিতাবে তিনি আল্লাহ্কে বলছেন,“ভাইদের কাছে আমি তোমার বিষয় প্রচার করবআর সমাজের মধ্যে তোমার গুণগান করব।”
13. ঈসা আবার বলছেন, “আমি আল্লাহ্র উপরে ভরসা করব।” আর এক জায়গায় তিনি বলছেন, “এই দেখ, আমি এবং সেই সন্তানেরা যাদের আল্লাহ্ আমাকে দিয়েছেন।”
14. সেই সন্তানেরা হল রক্ত-মাংসের মানুষ। সেইজন্য ঈসা নিজেও রক্ত-মাংসের মানুষ হলেন, যাতে মৃত্যুর ক্ষমতা যার হাতে আছে সেই ইবলিসকে তিনি নিজের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শক্তিহীন করেন,
15. আর মৃত্যুর ভয়ে যারা সারা জীবন গোলামের মত কাটিয়েছে তাদের মুক্ত করেন।
16. ঈসা ফেরেশতাদের সাহায্য করেন না, বরং ইব্রাহিমের বংশধরদেরই তিনি সাহায্য করেন।
17. সেইজন্য ঈসাকে সব দিক থেকে তাঁর ভাইদের মত হতে হল, যেন তিনি একজন দয়ালু ও বিশ্বস্ত মহা-ইমাম হিসাবে আল্লাহ্র এবাদত-কাজ করতে পারেন। এর উদ্দেশ্য হল, তিনি যেন নিজের মৃত্যুর দ্বারা মানুষের গুনাহ্ দূর করে আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করেন।
18. তিনি নিজেই পরীক্ষা সহ্য করে কষ্টভোগ করেছিলেন বলে যারা পরীক্ষার সামনে দাঁড়ায় তাদের তিনি সাহায্য করতে পারেন।