1. এইজন্য আমরা যা শুনেছি তা পালন করবার দিকে আমাদের আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত, যেন তা থেকে আমরা দূরে সরে না যাই।
2. ফেরেশতাদের দ্বারা যে কালাম বলা হয়েছিল তার তো কোন নড়চড় হয় নি; তা ছাড়া যে কেউ আল্লাহ্র হুকুম অমান্য করেছে এবং তাঁর কথা শুনতে চায় নি সে তার উচিত শাস্তি পেয়েছে।
3. তাহলে নাজাতের জন্য আল্লাহ্ এই যে মহান ব্যবস্থা করেছেন তা যদি আমরা অবহেলা করি তবে কি করে আমরা রেহাই পাব? নাজাত পাবার কথা প্রথমে হযরত ঈসাই বলেছিলেন এবং যাঁরা তা শুনেছিলেন তাঁরা আমাদের কাছে সেই নাজাতের সত্যতা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন।
4. সেই সংগে আল্লাহ্ও অনেক চিহ্ন এবং কুদরতি ও শক্তির কাজ দ্বারা আর নিজের ইচ্ছা অনুসারে পাক-রূহের দেওয়া দান দ্বারা সেই বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
5. ভবিষ্যতের যে দুনিয়ার কথা আমরা বলছি, আল্লাহ্ তা ফেরেশতাদের অধীনে রাখেন নি।
6. পাক-কিতাবের মধ্যে এক জায়গায় কোন একজন এই কথা বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন:মানুষ এমন কি যে, তুমি তার বিষয় চিন্তা কর?মানুষের সন্তানই বা কি যে, তুমি তার দিকে মনোযোগ দাও?
7. তুমি মানুষকে ফেরেশতাদের চেয়ে সামান্য নীচু করেছ।রাজতাজ হিসাবে তুমি তাকে দান করেছ গৌরব ও সম্মান,
8. আর তার পায়ের তলায় রেখেছ সব কিছু।যখন আল্লাহ্ সব কিছুই মানুষের অধীন করলেন তখন তিনি কোন কিছুই তা থেকে বাদ দিলেন না। অবশ্য সব কিছুই যে আমরা এখন মানুষের অধীনে দেখতে পাচ্ছি তা নয়,
9. কিন্তু ঈসাকে তো আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাঁকে ফেরেশতাদের চেয়ে সামান্য নীচু করা হয়েছিল, যেন আল্লাহ্র রহমতে প্রত্যেকটি মানুষের হয়ে তিনি নিজেই মরতে পারেন। তিনি কষ্টভোগ করে মরেছিলেন বলে জয়ের মালা হিসাবে গৌরব ও সম্মান তাঁকে দান করা হয়েছে।