7. যাঁরা তোমাদের কাছে আল্লাহ্র কালাম বলতেন তোমাদের সেই নেতাদের কথা মনে রেখো। তাঁদের জীবনের শেষ ফলের কথা ভাল করে চিন্তা কোরো এবং তাঁদের মত করে তোমরাও ঈমান রেখো।
8. ঈসা মসীহ্ কালকে যেমন ছিলেন, আজকেও তেমনি আছেন এবং চিরকাল তেমনি থাকবেন।
9. নানা রকম নতুন নতুন শিক্ষা যেন তোমাদের ভুল পথে নিয়ে না যায়। আমাদের মন কোরবানীর খাবারের উপর না থেকে যেন আল্লাহ্র রহমতের উপর স্থির হয়ে বসে। যারা সেই খাবারের উপর ভরসা করে চলত, সেই খাবার থেকে তাদের কোন লাভ হয় নি।
10. আমাদের একটা কোরবানগাহ্ আছে এবং যাঁরা বনি-ইসরাইলদের সেই এবাদত-তাম্বুতে কাজ করেন, আমাদের সেই কোরবানগাহের উপরে কোরবানী দেওয়া কোন কিছু খাওয়ার অধিকার তাঁদের নেই।
11. গুনাহের জন্য কোরবানী দেওয়া পশুর রক্ত নিয়ে ইসরাইলীয় মহা-ইমাম মহাপবিত্র স্থানে যান, কিন্তু সেই পশুগুলোর দেহ বনি-ইসরাইলদের থাকবার এলাকার বাইরে নিয়ে পোড়ানো হয়।
12. সেইভাবে ঈসাও জেরুজালেম শহরের বাইরে কষ্টভোগ করে মরেছিলেন, যেন তাঁর নিজের রক্তের দ্বারা মানুষকে গুনাহ্ থেকে পাক-সাফ করতে পারেন।
13. সেইজন্য এস, তাঁর অসম্মান নিজেরা গ্রহণ করে আমরা শহরের বাইরে তাঁর কাছে যাই,
14. কারণ এখানে আমাদের কোন স্থায়ী শহর নেই; কিন্তু যে শহর আসবে তার জন্য আমরা অপেক্ষা করে আছি।
15. এইজন্য মসীহের মধ্য দিয়ে এস, আমরা আল্লাহ্র কাছে অনবরত প্রশংসা-কোরবানী করি, অর্থাৎ আল্লাহ্র বান্দা বলে যারা নিজেদের স্বীকার করে তারা তাদের মুখ দিয়ে আল্লাহ্র প্রশংসা করুক।
16. সৎ কাজ করতে ও অন্যদের অভাবের সময় সাহায্য করতে ভুলো না, কারণ আল্লাহ্ এই রকম কোরবানীতে সন্তুষ্ট হন।
17. তোমাদের নেতাদের কথা মেনে চোলো এবং তাঁদের বাধ্য হয়ো, কারণ যাঁরা আল্লাহ্র কাছে হিসাব দেবেন সেই রকম লোক হিসাবেই তো তাঁরা তোমাদের দেখাশোনা করেন। তাঁদের বাধ্য হয়ো যাতে তাঁরা তাঁদের কাজ আনন্দের সংগে করতে পারেন, দুঃখের সংগে নয়। যদি দুঃখের সংগেই তা করতে হয় তবে তাতে তোমাদের কোন লাভ হবে না।
18. আমাদের জন্য মুনাজাত কোরো। সব বিষয়ে আমরা সৎ ভাবে চলতে চাই বলে আমরা জানি যে, আমাদের বিবেক পরিষ্কার।
19. কিন্তু আমি তোমাদের বিশেষভাবে মুনাজাত করতে অনুরোধ করি, যেন আমি আরও শীঘ্র তোমাদের সংগে মিলিত হতে পারি।