16. দেখো, কেউ যেন ইসের মত নীতিহীন বা আল্লাহ্র প্রতি ভয়হীন না হয়। ইস্ এক বেলার খাবারের জন্য বড় ছেলের অধিকার বিক্রি করে দিয়েছিল।
17. তোমরা জান, পরে যদিও সে কেঁদে কেঁদে দোয়া ভিক্ষা করেছিল তবুও তাঁকে অগ্রাহ্য করা হয়েছিল, কারণ মন ফিরাবার সুযোগ তখন আর তার ছিল না।
18-19. যে জ্বলন্ত পাহাড় ছোঁয়া যায় সেই রকম কোন পাহাড়ের কাছে তোমরা আস নি। তোমরা ভীষণ অন্ধকার ও ঝড় বা কোন শিংগার শব্দ ও কথার শব্দের কাছেও আস নি। যারা সেই কথা শুনেছিল তারা মিনতি করে বলেছিল যেন তাদের কাছে আর কিছু বলা না হয়,
20. কারণ তারা এই নির্দেশ সহ্য করতে পারে নি- “কোন পশুও যদি সেই পাহাড় ছোঁয় তবে তাকে পাথর মারা হবে।”
21. যা দেখা গিয়েছিল তা এমন ভয়ংকর ছিল যে, মূসা বলেছিলেন, “আমি ভয়ে কাঁপছি।”
22. তোমরা তো সিয়োন পাহাড় ও জীবন্ত আল্লাহ্র শহরের কাছে এসেছ। সেই শহর হল বেহেশতের জেরুজালেম। তোমরা হাজার হাজার ফেরেশতাদের আনন্দ উৎসবের কাছে এসেছ;
23. প্রথম সন্তানের অধিকার পাওয়া লোক হিসাবে যাঁদের নাম বেহেশতে লেখা আছে তাঁদের দ্বারা গড়া জামাতের কাছে এসেছ; যিনি সব লোকদের বিচারক সেই আল্লাহ্র কাছে এসেছ; যে সব লোকেরা পূর্ণতা লাভ করেছে সেই সব ধার্মিক লোকদের রূহ্র কাছে এসেছ;
24. যিনি একটি নতুন ব্যবস্থার মধ্যস' সেই ঈসার কাছে এসেছ; আর হাবিলের রক্তের চেয়ে যে রক্ত আরও মহৎ কথা বলে, তোমরা সেই ছিটানো রক্তের কাছে এসেছ।
25. সাবধান! যিনি কথা বলছেন তাঁর কথা অগ্রাহ্য কোরো না। মূসা আল্লাহ্র সাবধানবাণী দুনিয়াতে জানাবার পর লোকেরা তাঁর কথা অগ্রাহ্য করেছিল বলে যখন রেহাই পায় নি, তখন যিনি বেহেশত থেকে আমাদের সাবধান করছেন তাঁর কথা অগ্রাহ্য করলে আমরা যে কিছুতেই রেহাই পাব না তাতে কোন সন্দেহ নেই।
26. সেই সময় আল্লাহ্র মুখের কথাই দুনিয়াকে নাড়া দিয়েছিল, কিন্তু এখন তিনি এই ওয়াদা করেছেন, “আমি যে কেবল আর একবার দুনিয়াকে নাড়াব তা নয়, কিন্তু আসমানকেও নাড়াব।”
27. “আর একবার,” এই শব্দ দু’টি থেকে বুঝা যাচ্ছে, যে জিনিসগুলো নাড়ানো যায়, অর্থাৎ যা সৃষ্টি করা হয়েছে তা বাদ দেওয়া হবে, যেন যে জিনিসগুলো নাড়ানো যায় না সেগুলো স্থির থাকে।
28. সেইজন্য যে রাজ্যকে নাড়ানো যায় না আমরা যখন সেই রাজ্য পেতে যাচ্ছি তখন এস, আমরা আল্লাহ্র কাছে কৃতজ্ঞ হই। তাহলে আল্লাহ্ যেভাবে খুশী হন সেইভাবে আমরা সম্মান ও ভয়ের সংগে তাঁর এবাদত করতে পারব।