ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইবরানী 11:4-20 Kitabul Mukkadas (MBCL)

4. ঈমানের জন্য কাবিলের চেয়ে হাবিলের কোরবানী আল্লাহ্‌র চোখে আরও ভাল ছিল। তাঁর ঈমানের জন্যই আল্লাহ্‌ তাঁর কোরবানী কবুল করে তাঁর বিষয়ে এই সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, তিনি ধার্মিক। যদিও হাবিল মারা গেছেন তবুও তাঁর ঈমানের মধ্য দিয়েই তিনি এখনও কথা বলছেন।

5. ঈমানের জন্যই ইনোক মারা যান নি; তাঁকে বেহেশতে তুলে নেওয়া হয়েছিল। আল্লাহ্‌ তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। ইনোককে নিয়ে যাবার আগে আল্লাহ্‌ এই সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, ইনোক তাঁকে সন্তুষ্ট করেছেন।

6. ঈমান ছাড়া আল্লাহ্‌কে সন্তুষ্ট করা অসম্ভব, কারণ আল্লাহ্‌র কাছে যে যায়, তাকে ঈমান আনতে হবে যে, আল্লাহ্‌ আছেন এবং যারা তাঁর ইচ্ছামত চলে তারা তাঁর হাত থেকে তাদের পাওনা পায়।

7. যা তখনও দেখা যায় নি সেই বিষয়ে আল্লাহ্‌ নূহ্‌কে সাবধান করেছিলেন। নূহ্‌ আল্লাহ্‌ভক্ত ছিলেন বলে আল্লাহ্‌র কথায় ঈমান এনে একটা জাহাজ তৈরী করেছিলেন, যেন তাঁর পরিবার রক্ষা পায়। নূহ্‌ তাঁর ঈমানের দ্বারাই দুনিয়াকে দোষী বলে প্রমাণ করেছিলেন এবং আল্লাহ্‌র কাছে ধার্মিক বলে গ্রহণযোগ্য হবার অধিকার পেয়েছিলেন, যা কেবল ঈমানের ফলেই পাওয়া যায়।

8. আল্লাহ্‌ যখন ইব্রাহিমকে ডেকেছিলেন তখন ঈমানের জন্যই তিনি আল্লাহ্‌র কথার বাধ্য হয়েছিলেন এবং সম্পত্তি হিসাবে যে জায়গাটা তাঁর পাবার কথা ছিল সেই জায়গায় তিনি গিয়েছিলেন। যদিও তখন বুঝতে পারেন নি তিনি কোথায় যাচ্ছেন তবুও তিনি রওনা হয়েছিলেন।

9. আল্লাহ্‌ যে দেশ ইব্রাহিমকে দেবার ওয়াদা করেছিলেন তিনি ঈমানের জন্যই বিদেশী হিসাবে সেখানে বাস করেছিলেন। তাঁর সংগে যাঁরা সেই একই ওয়াদার দোয়ার ভাগী ছিলেন সেই ইসহাক ও ইয়াকুবের মত করে তিনিও তাম্বুতে তাম্বুতে বাস করতেন;

10. কারণ যে শহর চিরস্থায়ী তিনি সেই শহরের অপেক্ষায় ছিলেন। সেই শহরের নক্‌শা তৈরী ও গেঁথে তুলবার কাজ আল্লাহ্‌ই করেছেন।

11. যদিও সারার সন্তান হবার বয়স পার হয়ে গিয়েছিল তবুও ঈমানের জন্যই তিনি ইব্রাহিমের সন্তান গর্ভে ধরবার শক্তি পেয়েছিলেন, কারণ তিনি ঈমান এনেছিলেন, যিনি ওয়াদা করেছেন তিনি বিশ্বাসযোগ্য।

12. এইজন্য বয়সের দরুন অকেজো শরীর নিয়েও ইব্রাহিম আসমানের তারার মত এবং সাগর পারের বালুকণার মত অসংখ্য সন্তানের পিতা হয়েছিলেন।

13. এই সব লোকেরা ঈমানের মধ্যে জীবন কাটিয়ে ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ্‌ তাঁদের যা দেবার ওয়াদা করেছিলেন তা তাঁরা পান নি, কিন্তু দূর থেকে তা দেখেছিলেন এবং খুশীও হয়েছিলেন। এই দুনিয়াতে যে তাঁরা বিদেশী এবং পরদেশে বাসকারী তা তাঁরা স্বীকারও করেছিলেন।

14. যাঁরা তা স্বীকার করেন তাঁরা পরিষ্কার ভাবে বুঝান যে, তাঁরা নিজেদের জন্য একটা দেশের তালাশ করছেন।

15. যে দেশ থেকে তাঁরা বের হয়ে এসেছিলেন যদি সেই দেশের কথা তাঁরা চিন্তা করতেন তবে তো সেই দেশে ফিরে যাবার সব সুযোগই তাঁরা পেতেন।

16. কিন্তু তাঁরা আরও ভাল একটা দেশের, অর্থাৎ বেহেশতের তালাশ করছিলেন। সেইজন্যই আল্লাহ্‌ নিজেকে তাঁদের আল্লাহ্‌ বলতে লজ্জা বোধ করেন না, কারণ তিনি তাঁদেরই জন্য একটা শহর তৈরী করেছিলেন।

17. ইব্রাহিমকে পরীক্ষা করবার সময় তিনি আল্লাহ্‌র উপর ঈমানের জন্যই ইসহাককে কোরবানী দিয়েছিলেন। যাঁর কাছে আল্লাহ্‌ ওয়াদা করেছিলেন তিনিই তাঁর অদ্বিতীয় ছেলেকে কোরবানী দিতে যাচ্ছিলেন।

18. এ সেই ছেলে যাঁর বিষয়ে আল্লাহ্‌ বলেছিলেন, “ইসহাকের বংশকেই তোমার বংশ বলে ধরা হবে।”

19. ইব্রাহিম তাঁকে কোরবানী দিতে রাজী হলেন, কারণ তাঁর ঈমান ছিল যে, আল্লাহ্‌ মৃতকে জীবিত করতে পারেন। আর বলতে কি, ইব্রাহিম তো মৃত্যুর দুয়ার থেকেই ইসহাককে ফিরে পেয়েছিলেন।

20. ঈমান এনেই ইসহাক ভবিষ্যতের জন্য ইয়াকুব ও ইস্‌কে দোয়া করেছিলেন।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ইবরানী 11