4-5. আমরা যাতে আল্লাহ্র চোখে পবিত্র ও নিখুঁত হতে পারি সেইজন্য আল্লাহ্ দুনিয়া সৃষ্টি করবার আগেই মসীহের মধ্য দিয়ে আমাদের বেছে নিয়েছেন। তাঁর মহব্বতের দরুন তিনি খুশী হয়ে নিজের ইচ্ছায় আগেই ঠিক করেছিলেন যে, ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে তাঁর সন্তান হিসাবে তিনি আমাদের গ্রহণ করবেন।
6. তিনি এটা করেছিলেন যেন তিনি তাঁর প্রিয় পুত্রের মধ্য দিয়ে বিনামূল্যে যে মহিমাপূর্ণ রহমত আমাদের দান করেছেন তাঁর প্রশংসা হয়।
7. আল্লাহ্র অশেষ রহমত অনুসারে মসীহের সংগে যুক্ত হয়ে তাঁর রক্তের দ্বারা আমরা মুক্ত হয়েছি, অর্থাৎ গুনাহের মাফ পেয়েছি।
8. এই রহমত আল্লাহ্ তাঁর মহা জ্ঞান ও বুদ্ধির সংগে খোলা হাতে আমাদের দান করেছেন।
9. ঠিক যেমন তিনি চেয়েছিলেন এবং মসীহের মধ্য দিয়ে আগেই স্থির করে রেখেছিলেন, সেই অনুসারেই তিনি তাঁর গোপন উদ্দেশ্য আমাদের জানিয়েছিলেন।
10. তিনি স্থির করে রেখেছিলেন যে, সময় পূর্ণ হলে পর সেই উদ্দেশ্য কার্যকর করবার জন্য তিনি বেহেশতের ও দুনিয়ার সব কিছু মিলিত করে মসীহের শাসনের অধীনে আনবেন।
11. আল্লাহ্ তাঁর বিচারবুদ্ধি অনুসারে নিজের ইচ্ছামতই সব কাজ করেন। তাঁর উদ্দেশ্য অনুসারে তিনি আগেই যা ঠিক করে রেখেছিলেন সেইমতই মসীহের মধ্য দিয়ে তাঁর নিজের বান্দা হবার জন্য তিনি আমাদের বেছে নিয়েছেন।
12. আমরা যারা আগেই মসীহের উপর আশা রেখেছি, সেই আমাদেরই মধ্য দিয়ে যেন আল্লাহ্র মহিমার প্রশংসা হয় সেইজন্যই তিনি আমাদের বেছে নিয়েছেন।
13. আর তোমরাও সত্যের কালাম, অর্থাৎ নাজাত পাবার সুসংবাদ শুনে মসীহের উপর ঈমান এনেছ। মসীহের সংগে যুক্ত হয়েছ বলে আল্লাহ্ তাঁর ওয়াদা করা পাক-রূহ্ দিয়ে তোমাদের সীলমোহর করে রেখেছেন।