17. আল্লাহ্ মানুষকে দোষী প্রমাণ করবার জন্য তাঁর পুত্রকে দুনিয়াতে পাঠান নি, বরং মানুষ যেন পুত্রের দ্বারা নাজাত পায় সেইজন্য তিনি তাঁকে পাঠিয়েছেন।
18. যে সেই পুত্রের উপর ঈমান আনে তার কোন বিচার হয় না, কিন্তু যে ঈমান আনে না তাকে দোষী বলে আগেই স্থির করা হয়ে গেছে, কারণ সে আল্লাহ্র একমাত্র পুত্রের উপর ঈমান আনে নি।
19. তাকে দোষী বলে স্থির করা হয়েছে কারণ দুনিয়াতে নূর এসেছে, কিন্তু মানুষের কাজ খারাপ বলে মানুষ নূরের চেয়ে অন্ধকারকে বেশী ভালবেসেছে।
20. যে কেউ অন্যায় কাজ করতে থাকে সে নূর ঘৃণা করে। তার অন্যায় কাজগুলো প্রকাশ হয়ে পড়বে বলে সে নূরের কাছে আসে না।
21. কিন্তু যে সত্যের পথে চলে সে নূরের কাছে আসে যেন তার কাজগুলো যে আল্লাহ্র ইচ্ছামত করা হয়েছে তা প্রকাশ পায়।”
22. এর পরে ঈসা ও তাঁর সাহাবীরা এহুদিয়া প্রদেশে গেলেন। সেখানে তিনি তাঁর সাহাবীদের সংগে কিছু দিন থাকলেন এবং লোকদের তরিকাবন্দী দিতে লাগলেন।
23. শালীম নামে একটা গ্রামের কাছে ঐনোন বলে একটা জায়গায় তখন ইয়াহিয়াও তরিকাবন্দী দিচ্ছিলেন, কারণ সেই জায়গায় অনেক পানি ছিল আর লোকেরাও এসে তরিকাবন্দী নিচ্ছিল।
24. তখনও ইয়াহিয়াকে জেলখানায় বন্দী করা হয় নি।
25. সেই সময় শরীয়ত মত পাক-সাফ হওয়ার বিষয় নিয়ে ইয়াহিয়ার সাহাবীরা একজন ইহুদীর সংগে তর্ক শুরু করেছিলেন।
26. পরে তাঁরা ইয়াহিয়ার কাছে এসে বললেন, “হুজুর, যিনি জর্ডানের অন্য পারে আপনার সংগে ছিলেন এবং যাঁর বিষয়ে আপনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, দেখুন, তিনি তরিকাবন্দী দিচ্ছেন আর সবাই তাঁর কাছে যাচ্ছে।”
27. এর জবাবে ইয়াহিয়া বললেন, “বেহেশত থেকে দেওয়া না হলে কারও পক্ষে কোন কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়।
28. তোমরাই আমাকে বলতে শুনেছ যে, আমি মসীহ্ নই, কিন্তু আমাকে তাঁর আগে পাঠানো হয়েছে।