23. ইয়াহিয়া বললেন, “আমিই সেই কণ্ঠস্বর, যার বিষয়ে নবী ইশাইয়া বলেছেন,মরুভূমিতে একজনের কণ্ঠস্বর চিৎকার করে জানাচ্ছে,তোমরা মাবুদের পথ সোজা কর।”
24. ইয়াহিয়ার কাছে যাঁদের পাঠানো হয়েছিল তাঁরা ছিলেন ফরীশী।
25. তাঁরা ইয়াহিয়াকে জিজ্ঞাসা করলেন, “যদি আপনি মসীহ্ও নন, ইলিয়াসও নন কিংবা সেই নবীও নন, তবে কেন আপনি তরিকাবন্দী দিচ্ছেন?”
26. ইয়াহিয়া জবাবে সেই ফরীশীদের বললেন, “আমি পানিতে তরিকাবন্দী দিচ্ছি বটে, কিন্তু আপনাদের মধ্যে এমন একজন আছেন যাঁকে আপনারা চেনেন না।
27. উনিই সেই লোক যাঁর আমার পরে আসবার কথা ছিল। আমি তাঁর জুতার ফিতাটা পর্যন্ত খুলে দেবার যোগ্য নই।”
28. জর্ডান নদীর অন্য পারে বেথানিয়া গ্রামে যেখানে ইয়াহিয়া তরিকাবন্দী দিচ্ছিলেন সেখানে এই সব ঘটেছিল।
29. পরের দিন ইয়াহিয়া ঈসাকে তাঁর নিজের দিকে আসতে দেখে বললেন, “ঐ দেখ আল্লাহ্র মেষ-শাবক, যিনি মানুষের সমস্ত গুনাহ্ দূর করেন।
30. ইনিই সেই লোক যাঁর বিষয়ে আমি বলেছিলাম, আমার পরে একজন আসছেন যিনি আমার চেয়ে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন।
31. আমি তাঁকে চিনতাম না, কিন্তু তিনি যেন বনি-ইসরাইলদের কাছে প্রকাশিত হন সেইজন্য আমি এসে পানিতে তরিকাবন্দী দিচ্ছি।”
32. তারপর ইয়াহিয়া এই সাক্ষ্য দিলেন, “আমি পাক-রূহ্কে কবুতরের মত হয়ে আসমান থেকে নেমে এসে তাঁর উপরে থাকতে দেখেছি।
33. আমি তাঁকে চিনতাম না, কিন্তু যিনি আমাকে পানিতে তরিকাবন্দী দিতে পাঠিয়েছেন তিনিই আমাকে বলে দিয়েছেন, ‘যাঁর উপরে পাক-রূহ্কে নেমে এসে থাকতে দেখবে, তিনিই সেই জন যিনি পাক-রূহে তরিকাবন্দী দেবেন।’
34. আমি তা দেখেছি আর সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, ইনিই ইব্নুল্লাহ্।”