ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ বাদশাহ্‌নামা 4:20-40 Kitabul Mukkadas (MBCL)

20. সেই চাকর তাকে তুলে নিয়ে তার মায়ের কাছে দিলে পর সে দুপুর পর্যন্ত মায়ের কোলে বসে রইল, তারপর মারা গেল।

21. স্ত্রীলোকটি উপরে গিয়ে ছেলেটাকে আল্লাহ্‌র বান্দার বিছানায় শুইয়ে দিলেন। তারপর তিনি দরজা বন্ধ করে বের হয়ে গেলেন।

22. তিনি গিয়ে তাঁর স্বামীকে ডেকে বললেন, “তুমি এখনই একজন চাকর ও একটা গাধা আমার কাছে পাঠিয়ে দাও। আমি তাড়াতাড়ি করে আল্লাহ্‌র বান্দার কাছে গিয়ে আবার ফিরে আসব।”

23. তাঁর স্বামী বললেন, “তাঁর কাছে আজকে যাবে কেন? আজকে তো অমাবস্যাও নয়, বিশ্রামবারও নয়।”তিনি বললেন, “তাতে ভাল হবে।”

24. তারপর তিনি গাধার উপর গদি চাপিয়ে তাঁর চাকরকে বললেন, “গাধাটা জোরে চালাও, আমি না বললে আস্তে চালাবে না।”

25. এইভাবে তিনি বের হয়ে পড়লেন এবং কর্মিল পাহাড়ে আল্লাহ্‌র বান্দার কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন।স্ত্রীলোকটি দূরে থাকতেই আল্লাহ্‌র বান্দা তাঁকে দেখে তাঁর চাকর গেহসিকে বললেন, “ঐ দেখ, সেই শূনেমীয় স্ত্রীলোকটি।

26. তুমি দৌড়ে তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা কর যে, তিনি, তাঁর স্বামী ও তাঁর ছেলেটি ভাল আছে কি না।”স্ত্রীলোকটি বললেন, “সবাই ভাল আছে।”

27. কিন্তু কর্মিল পাহাড়ে আল্লাহ্‌র বান্দার কাছে পৌঁছে তিনি তাঁর পা জড়িয়ে ধরলেন। গেহসি তাঁকে সরিয়ে দেবার জন্য আসলে আল্লাহ্‌র বান্দা বললেন, “ওঁকে বাধা দিয়ো না। ওঁর মনে খুব কষ্ট, কিন্তু মাবুদ আমার কাছ থেকে তা লুকিয়ে রেখেছেন, আমাকে বলেন নি।”

28. স্ত্রীলোকটি বললেন, “হে হুজুর, আমি কি আপনার কাছে একটা ছেলে চেয়েছিলাম? আমি কি আপনাকে বলি নি যে, আমাকে আপনি মিথ্যা আশা দেবেন না?”

29. তখন আল-ইয়াসা গেহসিকে বললেন, “তোমার কাপড় তোমার কোমর-বাঁধনিতে গুঁজে নাও আর আমার লাঠিটা হাতে নিয়ে ছুটে যাও। কারও সংগে দেখা হলে তাকে সালাম জানাবে না এবং কেউ তোমাকে সালাম জানালে তার জবাবও দেবে না। আমার লাঠিটা ছেলেটির মুখের উপর রেখে দিয়ো।”

30. কিন্তু ছেলেটির মা বললেন, “আল্লাহ্‌র ও আপনার প্রাণের কসম যে, আমি আপনাকে ছেড়ে যাব না।” কাজেই আল-ইয়াসা উঠে স্ত্রীলোকটির পিছনে পিছনে চললেন।

31. গেহসি আগে আগে গিয়ে ছেলেটির মুখের উপর লাঠিটা রাখল কিন্তু কোন শব্দ বা কোন সাড়া পাওয়া গেল না। কাজেই গেহসি আল-ইয়াসার সংগে দেখা করবার জন্য ফিরে গেল এবং তাঁকে বলল, “ছেলেটি জাগে নি।”

32. আল-ইয়াসা ঘরে গিয়ে দেখলেন তাঁরই বিছানার উপর মরা ছেলেটি শোয়ানো রয়েছে।

33. তখন তিনি একা সেই ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলেন এবং মাবুদের কাছে মুনাজাত করলেন।

34. তারপর তিনি বিছানার উপর উঠে ছেলেটির মুখের উপরে মুখ, চোখের উপরে চোখ এবং হাতের উপরে হাত রেখে শুলেন। তিনি যখন ছেলেটির উপর নিজে লম্বা হয়ে শুলেন তখন ছেলেটির গা গরম হয়ে উঠল।

35. তারপর তিনি সরে এসে ঘরের মধ্যে পায়চারি করতে লাগলেন। তারপর আবার তিনি বিছানায় উঠে আর একবার ছেলেটির উপর লম্বা হয়ে শুলেন। এবার ছেলেটি সাতবার হাঁচি দিয়ে চোখ খুলল।

36. তখন আল-ইয়াসা গেহসিকে ডেকে বললেন, “শূনেমীয় স্ত্রীলোকটিকে ডাক।” গেহসি তা-ই করল। স্ত্রীলোকটি আসলে পর আল-ইয়াসা বললেন, “আপনার ছেলেকে নিয়ে যান।”

37. স্ত্রীলোকটি ঘরে ঢুকে তাঁর পায়ে পড়লেন এবং মাটিতে উবুড় হয়ে তাঁকে সালাম জানালেন। তারপর তাঁর ছেলেকে নিয়ে তিনি বের হয়ে গেলেন।

38. আল-ইয়াসা গিল্‌গলে ফিরে গেলেন। তখন সেই এলাকায় দুর্ভিক্ষ চলছিল। একদিন একদল শাগরেদ-নবী তাঁর সংগে বসে ছিলেন। তখন তিনি তাঁর চাকরকে বললেন, “বড় হাঁড়িটা চড়িয়ে এদের জন্য কিছু তরকারি রান্না কর।”

39. তখন শাগরেদ-নবীদের মধ্যে একজন শাক তুলে আনবার জন্য ক্ষেতে গিয়ে বুনো শসার লতা দেখতে পেলেন। তিনি তা থেকে কিছু ফল তুলে কোঁচড় ভরলেন। তারপর ফিরে এসে সেগুলো কেটে তিনি তরকারির হাঁড়িতে দিলেন, কিন্তু সেগুলো কি তা কারও জানা ছিল না।

40. সেই তরকারি লোকদের খেতে দেওয়ার জন্য ঢালা হল, কিন্তু তা খেতে শুরু করে তাঁরা চিৎকার করে বলে উঠলেন, “হে আল্লাহ্‌র বান্দা, হাঁড়ির মধ্যে মৃত্যু!” তাঁরা তা খেতে পারলেন না।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ২ বাদশাহ্‌নামা 4