13. ব্যাবিলনীয়রা মাবুদের ঘরের ব্রোঞ্জের দু’টা থাম, গামলা বসাবার ব্রোঞ্জের আসনগুলো এবং ব্রোঞ্জের বিরাট পাত্রটি ভেংগে টুকরা টুকরা করে ব্যাবিলনে নিয়ে গেল।
14. এছাড়া তারা সব পাত্র, বেল্চা, সল্তে পরিষ্কার করবার চিম্টা, হাতা এবং বায়তুল-মোকাদ্দসের এবাদত-কাজের জন্য অন্যান্য সমস্ত ব্রোঞ্জের জিনিস নিয়ে গেল।
15. সব আগুন রাখবার পাত্র, বাটি এবং সোনা-রূপার অন্যান্য সমস্ত জিনিসও বাদশাহ্র রক্ষীদলের সেনাপতি নিয়ে গেলেন।
16. মাবুদের ঘরের জন্য সোলায়মান যে দু’টা থাম, বিরাট পাত্র এবং আসনগুলো তৈরী করিয়েছিলেন সেগুলোর ব্রোঞ্জ ওজন করা সম্ভব ছিল না।
17. প্রত্যেকটা থাম ছিল আঠারো হাত উঁচু ও তার মাথাটা ছিল তিন হাত উঁচু। মাথাটার চারপাশ ব্রোঞ্জের শিকল ও ব্রোঞ্জের ডালিম দিয়ে সাজানো ছিল।
18. ইহুদীদের প্রধান ইমাম সরায়, দ্বিতীয় ইমাম সফনিয় ও তিনজন দারোয়ানকে রক্ষীদলের সেনাপতি বন্দী করে নিয়ে গেলেন।
19. যারা তখনও শহরে ছিল তাদের মধ্য থেকে তিনি যোদ্ধাদের উপরে নিযুক্ত একজন কর্মচারী ও বাদশাহ্র পাঁচজন পরামর্শদাতাকে ধরলেন। এছাড়া সেনাপতির লেখক, যিনি সৈন্যদলে লোক ভর্তি করতেন তাঁকে এবং শহরের মধ্যে পাওয়া আরও ষাটজন লোককেও ধরলেন।
20. সেনাপতি নবূষরদন তাদের সবাইকে বন্দী করে রিব্লাতে ব্যাবিলনের বাদশাহ্র কাছে নিয়ে গেলেন।
21. বাদশাহ্ হামা দেশের রিব্লাতে এই সব লোকদের হত্যা করলেন।এইভাবে এহুদার লোকদের বন্দী করে নিজের দেশ থেকে দূরে নিয়ে যাওয়া হল।
22. ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার যে সব লোকদের এহুদা দেশে রেখে গিয়েছিলেন তাদের উপরে তিনি শাফনের নাতি, অর্থাৎ অহীকামের ছেলে গদলিয়কে নিযুক্ত করলেন।
23. ব্যাবিলনের বাদশাহ্ গদলিয়কে শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছেন শুনে এহুদার বাকী সেনাপতিরা ও তাঁদের লোকেরা, অর্থাৎ নথনিয়ের ছেলে ইসমাইল, কারেয়ের ছেলে যোহানন, নটোফাতীয় তন্হূমতের ছেলে সরায় ও মাখাথীয়ের ছেলে যাসনিয় এবং তাদের লোকেরা মিসপাতে গদলিয়ের কাছে আসলেন।
24. গদলিয় তাদের ও তাদের লোকদের কাছে কসম খেয়ে বললেন, “আপনারা ব্যাবিলনীয় শাসনকর্তাদের ভয় করবেন না। আপনারা দেশে বাস করে ব্যাবিলনের বাদশাহ্র অধীনতা স্বীকার করুন, তাতে আপনাদের ভাল হবে।”
25. কিন্তু সপ্তম মাসে ইলীশামার নাতি, অর্থাৎ নথনিয়ের ছেলে ইসমাইল দশজন লোক সংগে করে নিয়ে গদলিয়কে এবং এহুদার যে সব লোকেরা ও ব্যাবিলনীয়রা মিসপাতে তাঁর সংগে ছিল তাদের সবাইকে হত্যা করলেন। এই ইসমাইল ছিল রাজবংশের লোক।
26. এতে ব্যাবিলনীয়দের ভয়ে এহুদার ছোট-বড় সব লোকেরা ও সেনাপতিরা মিসরে পালিয়ে গেল।
27. এহুদার বাদশাহ্ যিহোয়াখীনের বন্দীত্বের সাঁইত্রিশ বছরের সময় ইবিল-মারডক ব্যাবিলনের বাদশাহ্ হলেন। তিনি সেই বছরের বারো মাসের সাতাশ দিনের দিন যিহোয়াখীনকে জেলখানা থেকে ছেড়ে দিলেন।
28. তিনি যিহোয়াখীনের সংগে ভালভাবে কথা বললেন এবং ব্যাবিলনে তাঁর সংগে আর যে সব বাদশাহ্রা ছিলেন তাঁদের চেয়েও তাঁকে আরও সম্মানের আসন দিলেন।