2. তিনি রাজবাড়ীর পরিচালক ইলিয়াকীম, বাদশাহ্র লেখক শিব্ন ও ইমাম-নেতাদের চট পরা অবস্থায় আমোজের ছেলে নবী ইশাইয়ার কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
3. তাঁরা ইশাইয়াকে বললেন, “হিষ্কিয় বলছেন যে, আজকের দিনটা হল কষ্টের, শাস্তি পাওয়ার ও অসম্মানের দিন। আমাদের অবস্থা এমন হয়েছে যেন সন্তানেরা জন্ম হবার মুখে এসেছে কিন্তু জন্ম দেবার শক্তি নেই।
4. আশেরিয়ার বাদশাহ্ জীবন্ত আল্লাহ্কে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতে রব্শাকিকে পাঠিয়েছেন কিন্তু আপনার মাবুদ আল্লাহ্ হয়তো সেই সব কথা শুনে তাকে শাস্তি দেবেন। তাই যারা এখনও বেঁচে আছে তাদের জন্য আপনি মুনাজাত করুন।”
5-6. বাদশাহ্ হিষ্কিয়ের কর্মচারীরা যখন ইশাইয়ার কাছে আসলেন তখন ইশাইয়া তাঁদের বললেন, “আপনাদের মালিককে বলবেন যে, মাবুদ বলছেন, ‘তুমি যা শুনেছ, অর্থাৎ আশেরিয়ার বাদশাহ্র কর্মচারীরা আমার বিরুদ্ধে যে সব কুফরী করেছে তাতে তুমি ভয় পেয়ো না।
7. শোন, আমি তার মধ্যে এমন একটা মনোভাবের সৃষ্টি করব যার ফলে সে একটা সংবাদ শুনে নিজের দেশে ফিরে যাবে এবং সেখানে আমি তাকে তলোয়ারের আঘাতে শেষ করে দেব।’ ”
8. পরে রব্শাকি শুনলেন যে, আশেরিয়ার বাদশাহ্ লাখীশ ছেড়ে চলে গিয়ে লিব্নার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। সেইজন্য রব্শাকি সেখানে গেলেন।
9. আশেরিয়ার বাদশাহ্ সন্হেরীব খবর পেলেন যে, ইথিওপিয়া দেশের বাদশাহ্ তির্হকঃ তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য বের হয়েছেন। কাজেই তিনি দূতদের দিয়ে হিষ্কিয়ের কাছে বলে পাঠালেন,
10. “তোমরা এহুদার বাদশাহ্ হিষ্কিয়কে বলবে, ‘তুমি যাঁর উপর ভরসা করে আছ সেই আল্লাহ্ বলেছেন যে, আশেরিয়ার বাদশাহ্র হাতে জেরুজালেমকে তুলে দেওয়া হবে না। তাঁর সেই ছলনার কথায় তুমি ভুল কোরো না।
11. আশেরিয়ার বাদশাহ্রা কিভাবে অন্য সব দেশ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছেন নিশ্চয়ই তুমি তা শুনেছ; তাহলে তুমি কেমন করে মনে করছ তুমি রক্ষা পাবে?
12. আমার পূর্বপুরুষেরা যে সব জাতিকে ধ্বংস করেছেন তাদের দেবতারা, অর্থাৎ গোষণ, হারণ, রেৎসফ এবং তলঃসরে বাসকারী আদনের লোকদের দেবতারা কি তাদের রক্ষা করেছেন?