18. তাদের দেবতাদের তারা আগুনে ফেলে নষ্ট করে দিয়েছে। সেগুলো তো মাবুদ নয়, মানুষের হাতে তৈরী কেবল কাঠ আর পাথর মাত্র; সেইজন্য তারা তাদের ধ্বংস করতে পেরেছে।
19. এখন হে আমাদের মাবুদ আল্লাহ্, আশেরিয়ার বাদশাহ্র হাত থেকে তুমি আমাদের রক্ষা কর যাতে দুনিয়ার সমস্ত রাজ্য জানতে পারে যে, তুমিই, হে আল্লাহ্, কেবল তুমিই মাবুদ।”
20. তখন আমোজের ছেলে ইশাইয়া হিষ্কিয়ের কাছে এই খবর পাঠালেন, “ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ বলছেন যে, আশেরিয়ার বাদশাহ্ সন্হেরীব সম্বন্ধে আপনার মুনাজাত তিনি শুনেছেন।
21. তার বিরুদ্ধে মাবুদ বলছেন, ‘সিয়োন তোমাকে তুচ্ছ করবে ও ঠাট্টা-বিদ্রূপ করবে। জেরুজালেমের লোকেরা তোমার পিছন থেকে মাথা নাড়বে।
22. তুমি কাকে অসম্মান করেছ? কার বিরুদ্ধে কুফরী করেছ? তুমি কার বিরুদ্ধে চিৎকার করেছ এবং গর্বের সংগে চোখ তুলে তাকিয়েছ? ইসরাইলের আল্লাহ্ পাকের বিরুদ্ধেই তুমি এই সব করেছ।
23. তোমার লোকদের দিয়ে তুমি দীন-দুনিয়ার মালিককে টিট্কারি দিয়ে বলেছ যে, তোমার সব রথ দিয়ে তুমি পাহাড়গুলোর চূড়ায়, লেবাননের সবচেয়ে উঁচু উঁচু চূড়ায় উঠেছ। তুমি তার সবচেয়ে লম্বা লম্বা এরস গাছ আর ভাল ভাল বেরস গাছ কেটে ফেলেছ। তুমি তার গভীর বনের সুন্দর জায়গায় ঢুকেছ।
24. বিদেশের মাটিতে মাটিতে তুমি কূয়া খুঁড়েছ এবং সেখানকার পানি খেয়েছ। তোমার পা দিয়ে তুমি মিসরের সব নদীগুলো শুকিয়ে ফেলেছ।
25. “ ‘তুমি কি শোন নি যে, অনেক আগেই আমি তা ঠিক করে রেখেছিলাম? অনেক কাল আগেই আমি তার পরিকল্পনা করেছিলাম? আর এখন আমি তা ঘটালাম। সেইজন্যই তো তুমি দেয়াল-ঘেরা শহরগুলো পাথরের ঢিবি করতে পেরেছ।
26. সেখানকার লোকেরা শক্তিহীন হয়েছে এবং ভীষণ ভয় ও লজ্জা পেয়েছে। তারা ক্ষেতের ঘাসের মত, গজিয়ে ওঠা সবুজ চারার মত, ছাদের উপরে গজানো ঘাসের মত যা বেড়ে উঠবার আগেই শুকিয়ে যায়।
27. কিন্তু তুমি কোথায় থাক আর কখন আস বা যাও আর কেমন করে আমার বিরুদ্ধে রেগে ওঠ, তা সবই আমি জানি।
28. তুমি আমার বিরুদ্ধে রেগে উঠেছ বলে এবং তোমার গর্বের কথা আমার কানে এসেছে বলে আমি তোমার নাকে আমার কড়া লাগাব আর তোমার মুখে আমার লাগাম লাগাব; আর যে পথ দিয়ে তুমি এসেছ সেই পথেই ফিরে যেতে আমি তোমাকে বাধ্য করব।’