12. আমার পূর্বপুরুষেরা যে সব জাতিকে ধ্বংস করেছেন তাদের দেবতারা, অর্থাৎ গোষণ, হারণ, রেৎসফ এবং তলঃসরে বাসকারী আদনের লোকদের দেবতারা কি তাদের রক্ষা করেছেন?
13. হামার বাদশাহ্, অর্পদের বাদশাহ্, সফর্বয়িম শহরের বাদশাহ্ কিংবা হেনা ও ইব্বার বাদশাহ্ কোথায়?’ ”
14. হিষ্কিয় দূতদের হাত থেকে চিঠিখানা নিয়ে পড়লেন। তারপর তিনি মাবুদের ঘরে গিয়ে মাবুদের সামনে চিঠিটা মেলে ধরলেন।
15. হিষ্কিয় মাবুদের কাছে এই মুনাজাত করলেন, “দুই কারুবীর মাঝখানে থাকা হে ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্, তুমি, একমাত্র তুমিই দুনিয়ার সমস্ত রাজ্যের আল্লাহ্। তুমি আসমান ও জমীন সৃষ্টি করেছ।
16. হে মাবুদ, কান দাও, শোন; হে মাবুদ, তোমার চোখ খোল, দেখ; জীবন্ত আল্লাহ্কে কুফরী করবার জন্য সন্হেরীব যে কথা বলে পাঠিয়েছে তা শোন।
17. হে মাবুদ, এই কথা সত্যি যে, আশেরিয়ার বাদশাহ্রা এই সব জাতি ও তাদের দেশ ধ্বংস করেছে।
18. তাদের দেবতাদের তারা আগুনে ফেলে নষ্ট করে দিয়েছে। সেগুলো তো মাবুদ নয়, মানুষের হাতে তৈরী কেবল কাঠ আর পাথর মাত্র; সেইজন্য তারা তাদের ধ্বংস করতে পেরেছে।
19. এখন হে আমাদের মাবুদ আল্লাহ্, আশেরিয়ার বাদশাহ্র হাত থেকে তুমি আমাদের রক্ষা কর যাতে দুনিয়ার সমস্ত রাজ্য জানতে পারে যে, তুমিই, হে আল্লাহ্, কেবল তুমিই মাবুদ।”
20. তখন আমোজের ছেলে ইশাইয়া হিষ্কিয়ের কাছে এই খবর পাঠালেন, “ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ বলছেন যে, আশেরিয়ার বাদশাহ্ সন্হেরীব সম্বন্ধে আপনার মুনাজাত তিনি শুনেছেন।
21. তার বিরুদ্ধে মাবুদ বলছেন, ‘সিয়োন তোমাকে তুচ্ছ করবে ও ঠাট্টা-বিদ্রূপ করবে। জেরুজালেমের লোকেরা তোমার পিছন থেকে মাথা নাড়বে।
22. তুমি কাকে অসম্মান করেছ? কার বিরুদ্ধে কুফরী করেছ? তুমি কার বিরুদ্ধে চিৎকার করেছ এবং গর্বের সংগে চোখ তুলে তাকিয়েছ? ইসরাইলের আল্লাহ্ পাকের বিরুদ্ধেই তুমি এই সব করেছ।
23. তোমার লোকদের দিয়ে তুমি দীন-দুনিয়ার মালিককে টিট্কারি দিয়ে বলেছ যে, তোমার সব রথ দিয়ে তুমি পাহাড়গুলোর চূড়ায়, লেবাননের সবচেয়ে উঁচু উঁচু চূড়ায় উঠেছ। তুমি তার সবচেয়ে লম্বা লম্বা এরস গাছ আর ভাল ভাল বেরস গাছ কেটে ফেলেছ। তুমি তার গভীর বনের সুন্দর জায়গায় ঢুকেছ।