ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ বাদশাহ্‌নামা 18:13-31 Kitabul Mukkadas (MBCL)

13. বাদশাহ্‌ হিষ্কিয়ের রাজত্বের চৌদ্দ বছরের সময় আশেরিয়ার বাদশাহ্‌ সন্‌হেরীব এহুদার সমস্ত দেয়াল-ঘেরা শহরগুলো হামলা করে সেগুলো দখল করে নিলেন।

14. তখন এহুদার বাদশাহ্‌ হিষ্কিয় লাখীশে আশেরিয়ার বাদশাহ্‌কে এই কথা বলে পাঠালেন, “আমি অন্যায় করেছি। আপনি ফিরে যান। আপনি আমার কাছে যা দাবি করবেন আমি তা-ই দেব।” এতে আশেরিয়ার বাদশাহ্‌ এহুদার বাদশাহ্‌ হিষ্কিয়ের কাছ থেকে প্রায় বারো টন রূপা ও এক টনের কিছু বেশী সোনা দাবি করলেন।

15. কাজেই হিষ্কিয় মাবুদের ঘরে ও রাজবাড়ীর ভাণ্ডারগুলোতে যত রূপা ছিল সবই তাঁকে দিলেন।

16. এহুদার বাদশাহ্‌ হিষ্কিয় মাবুদের ঘরের দরজা ও দরজার চৌকাঠ যে সোনা দিয়ে মুড়িয়েছিলেন এই সময় তিনি তা খুলে নিয়ে আশেরিয়ার বাদশাহ্‌কে দিলেন।

17. আশেরিয়ার বাদশাহ্‌ লাখীশ থেকে তর্তনকে, রব্‌সারীসকে ও রব্‌শাকিকে মস্ত বড় এক দল সৈন্য দিয়ে জেরুজালেমে বাদশাহ্‌ হিষ্কিয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তাঁরা জেরুজালেমে এসে ধোপার মাঠের রাস্তার ধারে উঁচু জায়গার পুকুরের সংগে লাগানো পানির নালার কাছে থামলেন।

18. তাঁরা বাদশাহ্‌কে ডাকলে পর রাজবাড়ীর পরিচালক হিল্কিয়ের ছেলে ইলিয়াকীম, বাদশাহ্‌র লেখক শিব্‌ন এবং ইতিহাস লেখক আসফের ছেলে যোয়াহ বের হয়ে তাঁদের কাছে গেলেন।

19. তখন রব্‌শাকি তাঁদের বললেন, “আপনারা হিষ্কিয়কে এই কথা বলুন যে, সেই মহান বাদশাহ্‌, অর্থাৎ আশেরিয়ার বাদশাহ্‌ বলছেন, ‘তুমি কিসের উপর ভরসা করছ?

20. তুমি বলছ তোমার যুদ্ধ করবার বুদ্ধি ও শক্তি আছে, কিন্তু ওগুলো তোমার ফাঁকা বুলি। বল দেখি, তুমি কার উপর ভরসা করে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছ?

21. তুমি তো ভরসা করছ সেই থেঁৎলে যাওয়া নল, অর্থাৎ মিসরের উপর। যে সেই নলের উপর ভরসা করবে তা তার হাত ফুটা করে দেবে। মিসরের বাদশাহ্‌ ফেরাউনের উপর যারা ভরসা করে তাদের প্রতি সে তা-ই করে।’

22. কিন্তু আপনারা যদি আমাকে বলেন যে, আপনারা আপনাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র উপরে ভরসা করছেন, তাহলে তিনি কি সেই আল্লাহ্‌ নন যাঁর এবাদতের উঁচু স্থান ও কোরবানগাহ্‌গুলো হিষ্কিয় ধ্বংস করেছে এবং এহুদা ও জেরুজালেমের লোকদের বলেছে জেরুজালেমের এই কোরবানগাহের সামনে তাদের এবাদত করতে হবে?

23. “আপনারা আমার হয়ে আপনাদের বাদশাহ্‌কে আরও বলুন, ‘আপনি যদি পারেন তবে আমার মালিক আশেরিয়ার বাদশাহ্‌র সংগে এই বাজি ধরুন যে, আমি আপনাকে দুই হাজার ঘোড়া দেব যদি আপনি তাতে চড়বার জন্য লোক দিতে পারেন।

24. যদি তা-ই না পারেন তবে আমার মালিকের কর্মচারীদের মধ্যে সব চেয়ে যে ছোট তাকেই বা আপনি কেমন করে বাধা দেবেন, যদিও আপনি মিসরের রথ আর ঘোড়সওয়ারের উপর ভরসা করছেন?

25. তা ছাড়া আমি কি মাবুদের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই এই জায়গা হামলা ও ধ্বংস করতে এসেছি? এই দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তা ধ্বংস করে ফেলতে মাবুদ নিজেই আমাকে বলেছেন।’ ”

26. তখন হিল্কিয়ের ছেলে ইলীয়াকীম, শিব্‌ন ও যোয়াহ রব্‌শাকিকে বললেন, “আপনার গোলামদের কাছে আপনি দয়া করে আরামীয় ভাষায় কথা বলুন, কারণ আমরা তা বুঝতে পারি। দেয়ালের উপরকার লোকদের সামনে আপনি আমাদের সংগে হিব্রু ভাষায় কথা বলবেন না।”

27. কিন্তু রব্‌শাকি জবাবে বললেন, “আমার মালিক কি কেবল আপনাদের মালিক ও আপনাদের কাছে এই সব কথা বলতে আমাকে পাঠিয়েছেন? দেয়ালের উপরে বসা ঐ সব লোকেরা, যাদের আপনাদেরই মত নিজের নিজের পায়খানা ও প্রস্রাব খেতে হবে তাদের কাছেও কি বলে পাঠান নি?”

28. তারপর রব্‌শাকি দাঁড়িয়ে জোরে জোরে হিব্রু ভাষায় বললেন, “তোমরা মহান বাদশাহ্‌র, অর্থাৎ আশেরিয়ার বাদশাহ্‌র কথা শোন।

29. বাদশাহ্‌ বলছেন যে, হিষ্কিয় যেন তোমাদের না ঠকায়। সে তাঁর হাত থেকে তোমাদের রক্ষা করতে পারবে না।

30. হিষ্কিয় যেন এই কথা বলে মাবুদের উপর তোমাদের বিশ্বাস না জন্মায় যে, ‘মাবুদ নিশ্চয়ই আমাদের উদ্ধার করবেন; এই শহর আশেরিয়ার বাদশাহ্‌র হাতে তুলে দেওয়া হবে না।’

31. “তোমরা হিষ্কিয়ের কথা শুনো না। আশেরিয়ার বাদশাহ্‌ বলছেন, ‘তোমরা আমার সংগে সন্ধি কর এবং বের হয়ে আমার কাছে এস। তাহলে তোমরা প্রত্যেকে তার নিজের আংগুর ও ডুমুর গাছ থেকে ফল আর নিজের কূয়া থেকে পানি খেতে পারবে।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ২ বাদশাহ্‌নামা 18