অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ খান্দাননামা 29 Kitabul Mukkadas (MBCL)

বাদশাহ্‌ হিষ্কিয় বায়তুল-মোকাদ্দস পাক-সাফ করলেন

1. হিষ্কিয় পঁচিশ বছর বয়সে বাদশাহ্‌ হয়ে জেরুজালেমে ঊনত্রিশ বছর রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল অবিয়া; তিনি ছিলেন জাকারিয়ার মেয়ে।

2. হিষ্কিয় তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের মতই মাবুদের চোখে যা ভাল তা-ই করতেন।

3. তাঁর রাজত্বের প্রথম বছরের প্রথম মাসেই তিনি মাবুদের ঘরের দরজাগুলো খুলে দিলেন এবং মেরামত করলেন।

4. তিনি পূর্ব দিকের উঠানে ইমাম ও লেবীয়দের একত্র করে বললেন,

5. “লেবীয়রা, আমার কথা শুনুন; আপনারা নিজেদের এবং আপনাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্‌র ঘরটি পাক-সাফ করুন। এই পবিত্র জায়গা থেকে সমস্ত নাপাক জিনিস দূর করুন।

6. আমাদের পূর্বপুরুষেরা বেঈমানী করেছেন; আমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র চোখে যা খারাপ তাঁরা তা-ই করেছেন এবং তাঁকে ত্যাগ করেছেন। মাবুদের বাসস্থান থেকে তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এবং তাঁর দিকে পিছন ফিরিয়েছেন।

7. তাঁরা বারান্দার দরজাগুলোও বন্ধ করে দিয়েছেন এবং বাতিগুলো নিভিয়ে ফেলেছেন। এই পবিত্র জায়গায় তাঁরা ইসরাইলের আল্লাহ্‌র উদ্দেশে ধূপ জ্বালান নি কিংবা কোন পোড়ানো-কোরবানী দেন নি।

8. কাজেই এহুদা ও জেরুজালেমের উপর মাবুদের গজব নেমে এসেছে। আপনারা নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছেন যে, তিনি তাদের ভীষণ ভয়ের ও ঘৃণার পাত্র করে তুলেছেন; তাদের দেখে লোকেরা হতভম্ব হচ্ছে।

9. এইজন্য আমাদের পূর্বপুরুষেরা যুদ্ধে মারা পড়েছেন এবং আমাদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা বন্দী হয়েছে।

10. আমি এখন ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্‌র সংগে একটা চুক্তি করতে চাই যাতে তাঁর ভয়ংকর গজব আমাদের উপর থেকে চলে যায়।

11. হে আমার সন্তানেরা, আপনারা এখন আর বসে থাকবেন না, কারণ মাবুদের সামনে দাঁড়াতে এবং তাঁর খেদমতকারী হিসাবে তাঁর কাজ করতে ও ধূপ জ্বালাতে তিনি আপনাদেরই বেছে নিয়েছেন।”

12. তখন এই সব লেবীয়রা কাজে লেগে গেলেন্ত কহাতীয়দের মধ্য থেকে অমাসয়ের ছেলে মাহৎ ও অসরিয়ের ছেলে যোয়েল; মরারীয়দের মধ্য থেকে অব্দির ছেলে কীশ ও যিহলিলেলের ছেলে অসরিয়; গের্শোনীয়দের মধ্য থেকে সিম্মের ছেলে যোয়াহ ও যোয়াহের ছেলে আদন;

13. ইলীষাফণের বংশধরদের মধ্য থেকে শিম্রি ও যিয়ূয়েল; আসফের বংশধরদের মধ্য থেকে জাকারিয়া ও মত্তনিয়;

14. হেমনের বংশধরদের মধ্য থেকে যিহূয়েল ও শিমিয়ি এবং যিদূথূনের বংশধরদের মধ্য থেকে শময়িয় ও উষীয়েল।

15. তাঁরা তাঁদের লেবীয় ভাইদের একত্র করে নিজেদের পবিত্র করলেন। তারপর মাবুদের কথামত বাদশাহ্‌র হুকুম অনুসারে তাঁরা মাবুদের ঘর পাক-সাফ করবার জন্য ভিতরে গেলেন।

16. ইমামেরা সেখানে যে সব নাপাক জিনিস পেলেন সেগুলো সবই মাবুদের ঘরের উঠানে বের করে আনলেন। লেবীয়রা সেগুলো বহন করে কিদ্রোণ উপত্যকায় নিয়ে গেল।

17. তাঁরা সকলে প্রথম মাসের প্রথম দিনে মাবুদের ঘর পাক-সাফ করতে শুরু করে মাসের আট দিনের দিন ঘরের বারান্দা পর্যন্ত আসলেন। আরও আটদিন ধরে তাঁরা মাবুদের ঘরটি পাক-সাফ করলেন এবং প্রথম মাসের ষোল দিনের দিন তা শেষ করলেন।

18. তারপর তাঁরা বাদশাহ্‌ হিষ্কিয়ের কাছে গিয়ে বললেন, “আমরা কোরবানগাহ্‌ ও তার বাসন-কোসন এবং পবিত্র-রুটি রাখবার টেবিল ও তার সব জিনিসপত্র সুদ্ধ মাবুদের ঘরটি পাক-সাফ করেছি।

19. মাবুদের প্রতি বেঈমানী করে বাদশাহ্‌ আহস তাঁর রাজত্বের সময় যে সব জিনিস বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন সেগুলো আমরা আবার ঠিক-ঠাক করে পাক-সাফ করে নিয়েছি। সেগুলো এখন মাবুদের কোরবানগাহের সামনে রয়েছে।”

20. পরের দিন ভোরবেলায় বাদশাহ্‌ হিষ্কিয় শহরের উঁচু পদের কর্মচারীদের একত্র করে মাবুদের ঘরে গেলেন।

21. তাঁরা রাজ্যের জন্য, বায়তুল-মোকাদ্দসের জন্য ও এহুদার লোকদের জন্য গুনাহের জন্য কোরবানী হিসাবে সাতটা ষাঁড়, সাতটা ভেড়া, সাতটা ভেড়ার বাচ্চা ও সাতটা ছাগল নিয়ে আসলেন। তারপর বাদশাহ্‌ ইমামদের, অর্থাৎ হারুনের বংশধরদের সেগুলো মাবুদের কোরবানগাহের উপর কোরবানী দেবার জন্য হুকুম দিলেন।

22. ইমামেরা প্রথমে সেই ষাঁড়গুলো জবাই করে প্রত্যেকটার রক্ত নিয়ে কোরবানগাহের গায়ে ছিটিয়ে দিলেন; তারপর ভেড়াগুলো ও শেষে ভেড়ার বাচ্চাগুলো কেটে সেগুলোর প্রত্যেকটার রক্তও ছিটিয়ে দিলেন।

23. তারপর ইমামেরা গুনাহের কোরবানীর জন্য ছাগলগুলো বাদশাহ্‌ ও সব লোকদের সামনে আনলেন যাতে তাঁরা সেগুলোর মাথার উপর হাত রাখতে পারেন।

24. এর পরে ইমাম সেই ছাগলগুলো জবাই করলেন এবং সমস্ত বনি-ইসরাইলদের গুনাহ্‌ ঢাকা দেবার উদ্দেশে কোরবানগাহের উপরে সেই রক্ত দিয়ে গুনাহের কোরবানী দিলেন। সমস্ত বনি-ইসরাইলদের জন্য পোড়ানো-কোরবানী ও গুনাহের কোরবানী দেবার হুকুম বাদশাহ্‌ই দিয়েছিলেন।

25. বাদশাহ্‌ দাউদ, তাঁর নবী গাদ এবং নবী নাথনের হুকুম অনুসারে বাদশাহ্‌ হিষ্কিয় লেবীয়দের বললেন যেন তারা করতাল, বীণা ও সুরবাহার নিয়ে মাবুদের ঘরে যায়। মাবুদ তাঁর নবীদের মধ্য দিয়ে এই হুকুমই দিয়েছিলেন।

26. সেইজন্য লেবীয়রা দাউদের বাজনাগুলো নিয়ে আর ইমামেরা তাঁদের শিংগা নিয়ে সেখানে গিয়ে দাঁড়ালেন।

27. তারপর হিষ্কিয় কোরবানগাহের উপরে পোড়ানো-কোরবানীর হুকুম দিলেন। এই কোরবানী শুরু হলে মাবুদের উদ্দেশে কাওয়ালীও শুরু হল আর তার সংগে ইসরাইলের বাদশাহ্‌ দাউদের বাজনা ও শিংগা বাজানো হল।

28. কাওয়ালেরা কাওয়ালী গাইতে ও শিংগা বাদকেরা শিংগা বাজাতে থাকলে সমস্ত লোক মাটিতে সেজদা করে মাবুদের এবাদত করল। পোড়ানো-কোরবানী শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সব চলতে থাকল।

29. কোরবানী শেষ হলে পর বাদশাহ্‌ ও তাঁর সংগের সকলে সেজদা করে মাবুদের এবাদত করলেন।

30. বাদশাহ্‌ হিষ্কিয় ও তাঁর কর্মচারীরা দাউদের এবং নবী আসফের রচনা-করা কাওয়ালী দিয়ে মাবুদের উদ্দেশে প্রশংসা-কাওয়ালী গাইবার জন্য লেবীয়দের হুকুম দিলেন। তখন তারা খুশী হয়ে প্রশংসা-কাওয়ালী গাইল এবং মাটিতে সেজদা করে মাবুদের এবাদত করল।

31. এর পর হিষ্কিয় বললেন, “আপনারা এখন মাবুদের কাছে নিজেদের দিয়ে দিয়েছেন। এবার আপনারা এসে মাবুদের ঘরে পশু-কোরবানী ও কৃতজ্ঞতা-কোরবানীর জিনিস আনুন।” তখন সবাই তা আনল এবং যাদের অন্তর চাইল তারা পোড়ানো-কোরবানীর জিনিসও আনল।

32. তারা পোড়ানো-কোরবানীর জন্য সত্তরটা ষাঁড়, একশোটা ভেড়া ও দু’শোটা ভেড়ার বাচ্চা নিয়ে আসল। এই সব ছিল মাবুদের উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানীর জন্য।

33. কোরবানীর জন্য যে সব পশু পবিত্র করে রাখা হয়েছিল সেগুলোর সংখ্যা হল ছ’শো ষাঁড় ও তিন হাজার ছাগল-ভেড়া।

34. ইমামদের সংখ্যা কম হওয়াতে তাঁরা সমস্ত পোড়ানো-কোরবানীর পশুর চামড়া ছাড়াতে পারলেন না; কাজেই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং অন্য ইমামেরা পাক-সাফ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের লেবীয় ভাইয়েরা তাঁদের কাজে সাহায্য করল, কারণ নিজেদের পাক-সাফ করবার ব্যাপারে ইমামদের চেয়ে লেবীয়রা আরও বেশী মনোযোগী ছিল।

35. যোগাযোগ-কোরবানীর চর্বি পোড়ানো ও পোড়ানো-কোরবানী এবং তার সংগেকার ঢালন-কোরবানী নিয়ে অনেকগুলো কোরবানী দেওয়া হল।এইভাবে মাবুদের ঘরের এবাদত-কাজ আবার শুরু করা হল।

36. আল্লাহ্‌ তাঁর বান্দাদের জন্য এই সব কাজ খুব তাড়াতাড়ি করেছিলেন বলে হিষ্কিয় ও সমস্ত লোকেরা আনন্দ করল।