6. মাবুদের পথে চলতে তাঁর খুব আগ্রহ ছিল। তা ছাড়া তিনি এহুদা দেশ থেকে পূজার উঁচু স্থানগুলো ও আশেরা-খুঁটিগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।
7. তাঁর রাজত্বের তৃতীয় বছরের সময় তিনি এহুদার সমস্ত গ্রাম ও শহরের লোকদের শিক্ষা দেবার জন্য তাঁর কর্মচারী বিন্-হয়িল, ওবদিয়, জাকারিয়া, নথনেল ও মিকায়কে পাঠিয়ে দিলেন।
8. তাঁদের সংগে ছিলেন শময়িয়, নথনিয়, সবদিয়, অসাহেল, শমীরামোৎ, যিহোনাথন, অদোনিয়, টোবিয় ও টোব্-অদোনীয় নামে কয়েকজন লেবীয় এবং ইলীশামা ও যিহোরাম নামে দু’জন ইমাম।
9. মাবুদের দেওয়া তৌরাত কিতাব সংগে নিয়ে তাঁরা এহুদা দেশের সব জায়গায় তা থেকে শিক্ষা দিলেন।
10. এহুদা দেশের আশেপাশের সব রাজ্যের উপর মাবুদের কাছ থেকে এমন ভয় নেমে আসল যে, তারা যিহোশাফটের সংগে যুদ্ধ করল না।
11. কয়েকজন ফিলিস্তিনী খাজনা হিসাবে যিহোশাফটের কাছে উপহার ও রূপা নিয়ে আসল এবং আরবীয়রা নিয়ে আসল সাত হাজার সাতশো ভেড়া আর সাত হাজার সাতশো ছাগল।
12. এইভাবে যিহোশাফট আরও ক্ষমতাশালী হয়ে উঠতে লাগলেন। তিনি এহুদা দেশে কতগুলো কেল্লা ও ভাণ্ডার-শহর তৈরী করলেন।
13. তিনি এহুদার শহরগুলোতে অনেক জিনিসপত্র মজুদ করলেন এবং জেরুজালেমে দক্ষ যোদ্ধাদের রাখলেন।
14. বংশ অনুসারে তাদের সংখ্যা ও সেনাপতিদের নাম এই:এহুদা-গোষ্ঠী থেকে- প্রধান সেনাপতি অদ্ন ও তাঁর তিন লক্ষ যোদ্ধা;
15. দ্বিতীয় সেনাপতি যিহোহানন ও তাঁর দুই লক্ষ আশি হাজার যোদ্ধা;
16. তৃতীয় সেনাপতি সিখ্রির ছেলে অমসিয় ও তাঁর দুই লক্ষ যোদ্ধা। অমসিয় মাবুদের কাজে নিজেকে কোরবানী করেছিলেন।
17. বিন্যামীন-গোষ্ঠী থেকে- নাম-করা বীর প্রধান সেনাপতি ইলিয়াদা ও তাঁর ধনুক ও ঢালধারী দুই লক্ষ যোদ্ধা;
18. দ্বিতীয় সেনাপতি যিহোষাবদ ও তাঁর এক লক্ষ আশি হাজার দক্ষ যোদ্ধা।
19. এই সব যোদ্ধারা বাদশাহ্র কাজে নিযুক্ত ছিল। এরা ছাড়াও এহুদার দেয়াল-ঘেরা গ্রাম ও শহরগুলোতে আরও সৈন্য রাখা হয়েছিল।