20. আমি যেন কোন কিছু লক্ষ্য করে তীর ছুঁড়ছি এইভাবে সেই পাথরের পাশে তিনটা তীর ছুঁড়ব।
21. তারপর একটা ছেলেকে এই বলে পাঠিয়ে দেব, ‘যাও, তীরগুলো খুঁজে নিয়ে এসো।’ যদি আমি তাকে বলি, ‘তীরগুলো তোমার এদিকে আছে, নিয়ে এস,’ তাহলে তুমি চলে এসো, কারণ আল্লাহ্র কসম তুমি নিরাপদ, তোমার কোন ভয় নেই।
22. কিন্তু যদি ছেলেটিকে বলি, ‘তোমার ঐদিকে তীরগুলো রয়েছে,’ তাহলে তুমি চলে যেয়ো, বুঝবে মাবুদই তোমাকে চলে যেতে বলছেন।
23. মনে রেখো, তোমার ও আমার মধ্যে এই যে চুক্তি হল মাবুদই তার চিরকালের সাক্ষী হয়ে রইলেন।”
24-25. এর পর দাউদ মাঠে গিয়ে লুকিয়ে রইলেন। এদিকে অমাবস্যার উৎসব উপস্থিত হলে বাদশাহ্ অন্যান্য বারের মত দেয়ালের পাশে নিজের আসনে খেতে বসলেন। যোনাথন উঠে দাঁড়ালেন যেন অবনের গিয়ে তালুতের পাশে বসতে পারেন। দাউদের আসনটা কিন্তু খালি রইল।
26. তালুত সেই দিন কিছুই বললেন না, কারণ তিনি ভাবলেন, হয়তো এমন কিছু হয়ে গেছে যাতে দাউদ নাপাক হয়েছে; নিশ্চয়ই সে পাক-সাফ অবস্থায় নেই।
27. পরের দিন, অর্থাৎ অমাবস্যা-উৎসবের দ্বিতীয় দিনেও দাউদের আসনটা খালি পড়ে রইল। তখন তালুত তাঁর ছেলে যোনাথনকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ইয়াসির ছেলে খেতে আসে নি কেন? কালও আসে নি, আজও আসে নি।”
28. যোনাথন জবাবে বললেন, “দাউদ বেথেলহেমে যাবার অনুমতি চেয়ে আমাকে খুব মিনতি করেছিল।
29. সে আমাকে বলেছিল, ‘দয়া করে আমাকে যেতে দাও; আমাদের বংশের লোকেরা গ্রামে একটা কোরবানী দিচ্ছে এবং আমার ভাই আমাকে সেখানে উপস্থিত থাকতে হুকুম দিয়েছেন। যদি আমার প্রতি তোমার মনে একটু দয়া থাকে তবে আমাকে গিয়ে আমার ভাইদের দেখে আসবার অনুমতি দাও।’ সেইজন্যই সে মহারাজার ভোজে আসে নি।”
30. এই কথা শুনে তালুত যোনাথনের উপর রেগে আগুন হয়ে গেলেন। তিনি তাঁকে বললেন, “ওরে বিদ্রোহিনী স্ত্রীলোকের জারজ সন্তান! আমি কি জানি না যে, তুই ইয়াসির ছেলের পক্ষ নিয়েছিস্ আর তাতে তুই নিজের উপর এবং তোর মায়ের উপর লজ্জা ডেকে এনেছিস?
31. যতদিন ইয়াসির ছেলে এই দুনিয়াতে বেঁচে থাকবে ততদিন তুই স্থির থাকবি না, তোর রাজ্যও স্থির থাকবে না। কাজেই এখনই লোক পাঠিয়ে তাকে আমার কাছে নিয়ে আয়, তাকে মরতেই হবে।”
32. যোনাথন তাঁর বাবাকে বললেন, “কেন তাকে মরতে হবে? সে কি করেছে?”
33. তখন তালুত যোনাথনকে হত্যা করার জন্য বর্শা ছুঁড়লেন। এতে যোনাথন বুঝতে পারলেন, তাঁর পিতা দাউদকে হত্যা করবেন বলে ঠিক করেছেন।
34. তখন যোনাথন ভীষণ রেগে গিয়ে টেবিল ছেড়ে উঠে গেলেন এবং সেই দিনের ভোজে কিছুই খেলেন না। তাঁর পিতা দাউদকে অপমান করেছিলেন বলে তাঁর মনে খুব দুঃখ হল।
35. দাউদের সংগে যোনাথনের যে ব্যবস্থা হয়েছিল সেই অনুসারে পরদিন সকালে যোনাথন বের হয়ে মাঠে গেলেন। তাঁর সংগে একটি ছোট ছেলে ছিল।