ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ শামুয়েল 17:36-55 Kitabul Mukkadas (MBCL)

36. সিংহ, ভল্লুক দুই-ই আপনার এই গোলামের হাতে মারা পড়েছে, আর এই খৎনা-না-করানো ফিলিস্তিনীটার দশাও ঐগুলোর মত হবে, কারণ সে জীবন্ত আল্লাহ্‌র সৈন্যদলকে টিটকারি দিয়েছে।”

37. দাউদ আরও বললেন, “মাবুদ, যিনি আমাকে সিংহ আর ভল্লুকের থাবা থেকে রক্ষা করেছেন, তিনিই আমাকে ঐ ফিলিস্তিনীটার হাত থেকেও রক্ষা করবেন।”তখন তালুত দাউদকে বললেন, “তবে যাও, মাবুদ তোমার সংগে থাকুন।”

38. এই বলে তালুত তাঁর নিজের পোশাক দাউদকে পরিয়ে দিলেন। তিনি তাঁর মাথায় দিলেন ব্রোঞ্জের টুপী আর গায়ে দিলেন যুদ্ধের সাজ।

39. দাউদ তাঁর পোশাকের উপরে তালুতের তলোয়ারটা বেঁধে হাঁটতে চেষ্টা করলেন, কারণ আগে তিনি তা কখনও করেন নি।তিনি তালুতকে বললেন, “এই সব পরে আমি যেতে পারব না, কারণ এর আগে আমি কখনও তা করি নি।” এই বলে তিনি সেগুলো খুলে ফেললেন।

40. তারপর তাঁর লাঠিখানা তিনি হাতে নিলেন এবং ছোট্ট পাহাড়ী নদীর মধ্য থেকে পাঁচটা মসৃণ পাথর বেছে নিয়ে তাঁর চামড়ার থলির মধ্যে রাখলেন। এই রকম থলি রাখালেরা ব্যবহার করত। তারপর তাঁর ফিংগাটা নিয়ে তিনি সেই ফিলিস্তিনীর দিকে এগিয়ে যেতে লাগলেন,

41. আর সেই ফিলিস্তিনীও দাউদের দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। তার ঢাল বহনকারী ঢাল নিয়ে তার সামনে সামনে আসছিল।

42. সেই ফিলিস্তিনী দাউদের দিকে ভাল করে তাকিয়ে দেখে তাকে তুচ্ছ করল, কারণ দাউদের বয়স অল্প ছিল। তাঁর গায়ের রং লাল্‌চে এবং চেহারা সুন্দর ছিল।

43. জালুত দাউদকে বলল, “আমি কি কুকুর যে, তুই লাঠি নিয়ে আমার কাছে আসছিস্‌?” সে তার দেব-দেবীর নাম করে দাউদকে বদদোয়া দিতে লাগল।

44. সে দাউদকে আরও বলল, “এগিয়ে আয়; আমি তোর গায়ের গোশ্‌ত আকাশের পাখী আর বুনো পশুদের খেতে দিই।”

45. তখন দাউদ সেই ফিলিস্তিনীকে বললেন, “তুমি আমার কাছে আসছ তলোয়ার, বর্শা আর ছোরা নিয়ে, কিন্তু আমি তোমার কাছে যাচ্ছি আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন, ইসরাইলীয় সৈন্যদলের মাবুদের নাম নিয়ে, যাঁকে তুমি টিটকারি দিয়েছ।

46. মাবুদ আজকের দিনেই তোমাকে আমার হাতে তুলে দেবেন। আমি তোমাকে আঘাত করব আর তোমার মাথা কেটে নেব। আজকেই আমি ফিলিস্তিনী সৈন্যদের লাশ আকাশের পাখী ও দুনিয়ার পশুদের খেতে দেব। তা দেখে দুনিয়ার সবাই জানতে পারবে যে, বনি-ইসরাইলদের পক্ষে আল্লাহ্‌ বলতে একজন আছেন।

47. যে সমস্ত লোক আজ এখানে রয়েছে তারাও জানতে পারবে যে, মাবুদ কোন তলোয়ার বা বর্শা দিয়ে উদ্ধার করেন না, কারণ এই যুদ্ধ মাবুদের; আর তিনি আমাদের হাতে তোমাদের তুলে দেবেন।”

48. ঐ ফিলিস্তিনী যখন দাউদকে আক্রমণ করবার জন্য এগিয়ে আসতে লাগল তখন দাউদও তার কাছে যাবার জন্য বিপক্ষের সৈন্যদলের দিকে দৌড়ে গেলেন,

49. আর তাঁর থলি থেকে একটা পাথর নিয়ে ফিংগাতে বসিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে সেই ফিলিস্তিনীর কপালে সেটা ছুঁড়ে মারলেন। পাথরটা তার কপালে বসে গেলে সে মুখ থুব্‌ড়ে মাটিতে পড়ে গেল।

50-51. তখন দাউদ দৌড়ে গিয়ে সেই ফিলিস্তিনীর পাশে দাঁড়ালেন এবং তারই তলোয়ার খাপ থেকে টেনে বের করে নিয়ে তাকে হত্যা করলেন এবং তার মাথাটা কেটে নিলেন। এইভাবে দাউদ শুধু একটা ফিংগা আর একটা পাথর দিয়ে সেই ফিলিস্তিনীকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর হাতে কোন তলোয়ার না থাকলেও তিনি সেই ফিলিস্তিনীকে আঘাত করেছিলেন এবং তাকে হত্যা করেছিলেন।ফিলিস্তিনীরা যখন দেখল যে, তাদের প্রধান বীর মরে গেছে তখন তারা পালাতে শুরু করল।

52. তখন ইসরাইল আর এহুদার লোকেরা চিৎকার করে উঠল এবং গয় ও ইক্রোণের দরজা পর্যন্ত ফিলিস্তিনীদের তাড়া করে নিয়ে গেল। ফিলিস্তিনীদের আহত লোকেরা গাৎ ও ইক্রোণ পর্যন্ত শারয়িমের পথে পথে পড়ে রইল।

53. পরে বনি-ইসরাইলরা ফিলিস্তিনীদের পিছনে তাড়া করা বন্ধ করে ফিরে এসে তাদের ছাউনি লুট করতে লাগল।

54. দাউদ সেই ফিলিস্তিনী জালুতের মাথাটা জেরুজালেমে নিয়ে গেলেন, আর তার অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের পোশাক তিনি নিজের তাম্বুতে রাখলেন।

55. দাউদকে সেই ফিলিস্তিনীর সংগে যুদ্ধ করতে যেতে দেখে তালুত তাঁর সেনাপতি অবনেরকে বলেছিলেন, “আচ্ছা অবনের, এই যুবকটি কার ছেলে?”জবাবে অবনের বলেছিলেন, “মহারাজ, আপনার প্রাণের কসম খেয়ে বলছি যে, আমি জানি না।”

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ১ শামুয়েল 17