14. তখন মাবুদের রূহ্ তালুতকে ছেড়ে চলে গেলেন আর মাবুদের কাছ থেকে এক খারাপ রূহ্ এসে তাঁকে ভীষণ ভয় দেখাতে লাগল।
15. তা দেখে তালুতের কর্মচারীরা তাঁকে বলল, “আল্লাহ্র কাছ থেকে এক খারাপ রূহ্ এসে আপনাকে ভীষণ ভয় দেখাচ্ছে।
16. হুজুর, আপনার সামনে উপস্থিত এই গোলামদের হুকুম দিন যেন তারা গিয়ে এমন একজন লোকের খোঁজ করে যে ভাল বীণা বাজাতে পারে। যখন সেই খারাপ রূহ্ আল্লাহ্র কাছ থেকে আপনার উপর আসবে তখন সে আপনাকে বীণা বাজিয়ে শোনাবে আর তাতে আপনার ভাল লাগবে।”
17. এতে তালুত তাঁর কর্মচারীদের বললেন, “তাহলে তোমরা এমন একজন লোকের খোঁজ কর যে ভাল বীণা বাজাতে পারে এবং তাকে আমার কাছে নিয়ে এস।”
18. তাঁর কর্মচারীদের মধ্যে একজন বলল, “আমি বেথেলহেমে ইয়াসির এক ছেলেকে দেখেছি। সে ভাল বীণা বাজায়। সে একজন সাহসী বীর এবং যোদ্ধা। সে সুন্দর করে কথা বলতে পারে এবং সে দেখতেও সুন্দর, আর মাবুদ তার সংগে আছেন।”
19. এই কথা শুনে তালুত ইয়াসির কাছে লোক পাঠিয়ে বললেন যেন তিনি তাঁর রাখাল ছেলে দাউদকে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেন।
20. ইয়াসি তখন কিছু রুটি, চামড়ার থলিতে করে এক থলি আংগুর-রস ও একটা ছাগলের বাচ্চা একটা গাধার পিঠে চাপালেন এবং সেটা তার ছেলে দাউদকে দিয়ে তালুতের কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
21. দাউদ তালুতের কাছে এসে তাঁর কাজে বহাল হলেন। তালুত তাঁকে খুব ভালবাসতে লাগলেন এবং তিনি তালুতের একজন অস্ত্র বহনকারী হলেন।
22. পরে তালুত ইয়াসিকে বলে পাঠালেন, “দাউদকে আমার কাজে বহাল থাকতে দাও, কারণ তাকে আমার ভাল লেগেছে।”
23. আল্লাহ্র কাছ থেকে যখন সেই খারাপ রূহ্ তালুতের উপর আসত তখন দাউদ তাঁর বীণা বাজাতেন। এতে তালুতের ভাল লাগত এবং তিনি শান্তি পেতেন, আর সেই খারাপ রূহ্ও তাঁকে ছেড়ে চলে যেত।