24. তালুত তখন শামুয়েলকে বললেন, “আমি গুনাহ্ করেছি। মাবুদের হুকুম আর আপনার নির্দেশ আমি সত্যিই অমান্য করেছি। লোকদের ভয়ে আমি তাদের কথামতই কাজ করেছি।
25. এখন আমার প্রতি দয়া করে আমার গুনাহ্ আপনি মাফ করে দিন, আর আমার সংগে চলুন যাতে আমি মাবুদের এবাদত করতে পারি।”
26. কিন্তু শামুয়েল তাঁকে বললেন, “আমি তোমার সংগে যাব না। তুমি মাবুদের হুকুম অগ্রাহ্য করেছ তাই মাবুদও তোমাকে বনি-ইসরাইলদের বাদশাহ্ হিসাবে অগ্রাহ্য করেছেন।”
27. এই বলে শামুয়েল চলে যাবার জন্য ঘুরে দাঁড়াতেই তালুত তাঁর কাপড়ের একটা অংশ টেনে ধরলেন; তাতে তাঁর কাপড় ছিঁড়ে গেল।
28. তখন শামুয়েল তাঁকে বললেন, “মাবুদ আজ তোমার কাছ থেকে বনি-ইসরাইলদের রাজ্যটাও এইভাবে ছিনিয়ে নিলেন আর তোমার চেয়ে ভাল তোমার এক দেশবাসীকে তা দিলেন।
29. যিনি ইসরাইলের প্রশংসা তিনি মিথ্যা কথা বলেন না কিংবা মনও বদলান না। তিনি মানুষ নন যে, মন বদলাবেন।”
30. তালুত বললেন, “আমি গুনাহ্ করেছি; তবুও আমার অনুরোধ এই যে, আমার জাতির বৃদ্ধ নেতাদের ও বনি-ইসরাইলদের সামনে আমার সম্মান রাখুন। আমি যাতে আপনার মাবুদ আল্লাহ্র এবাদত করতে পারি সেইজন্য আপনি আমার সংগে চলুন।”
31. কাজেই শামুয়েল তালুতের সংগে গেলেন আর তালুত মাবুদের এবাদত করলেন।
32. পরে শামুয়েল বললেন, “আমালেকীয়দের বাদশাহ্ অগাগকে আমার কাছে নিয়ে এস।” এই কথা শুনে অগাগ তাঁর মোটা শরীর নিয়ে হেলে-দুলে শামুয়েলের কাছে আসলেন। তিনি ভাবলেন মৃত্যুর যন্ত্রণা এখন আর নেই।
33. কিন্তু শামুয়েল বললেন, “তোমার তলোয়ারে অনেক স্ত্রীলোক যেমন সন্তানহারা হয়েছে, তেমনি স্ত্রীলোকদের মধ্যে তোমার মা-ও সন্তানহারা হবে।” এই কথা বলে শামুয়েল গিল্গলে মাবুদের সামনে অগাগকে টুকরা টুকরা করে কেটে ফেললেন।
34. তারপর তিনি রামায় চলে গেলেন আর তালুত গিবিয়া-তালুত শহরে তাঁর নিজের বাড়ীতে গেলেন।
35. শামুয়েল যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন তিনি তালুতের সংগে আর দেখা করেন নি। বনি-ইসরাইলদের উপর তালুতকে বাদশাহ্ করাটা মাবুদের দুঃখের কারণ হয়েছিল বলে শামুয়েল তাঁর জন্য দুঃখ করতেন।