ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ শামুয়েল 14:41-52 Kitabul Mukkadas (MBCL)

41. তালুত তখন বনি-ইসরাইলদের মাবুদ আল্লাহ্‌কে বললেন, “এর সঠিক জবাব আমাদের দাও।” তাতে দোষ পড়ল তালুত ও যোনাথনের উপর আর বাকী লোকেরা ছাড়া পেল।

42. তালুত বললেন, “আমার ও আমার ছেলে যোনাথনের মধ্যে গুলিবাঁট করা হোক।” তাতে যোনাথনের উপর দোষ পড়ল।

43. তালুত তখন যোনাথনকে বললেন, “আমাকে বল, তুমি কি করেছ?”যোনাথন তাঁকে বললেন, “আমার লাঠির আগা দিয়ে আমি একটুখানি মধু খেয়েছি, তাই আমাকে মরতে হবে।”

44. তালুত বললেন, “জ্বী যোনাথন, তোমাকে মরতেই হবে। আল্লাহ্‌ যেন তোমাকে শাস্তি দেন, অবশ্যই শাস্তি দেন।”

45. কিন্তু লোকেরা তালুতকে বলল, “কি? যাঁর জন্য বনি-ইসরাইলরা এই মহা উদ্ধার পেয়েছে সেই যোনাথনকে মরতে হবে? কখনও না; আল্লাহ্‌র কসম যে, তাঁর একটা চুলও মাটিতে পড়বে না, কারণ তিনি আজ যা করেছেন তা আল্লাহ্‌র সংগে থেকেই করেছেন।” লোকেরা এইভাবে যোনাথনকে রক্ষা করল, তাঁকে হত্যা করা হল না।

46. এর পর তালুত আর ফিলিস্তিনীদের তাড়া করলেন না, আর ফিলিস্তিনীরাও নিজেদের দেশে চলে গেল।

47. তালুত বনি-ইসরাইলদের বাদশাহ্‌ হবার পর দেশের চারপাশের সমস্ত শত্রুদের সংগে, অর্থাৎ মোয়াবীয়, অম্মোনীয়, ইদোমীয়, সোবার বাদশাহ্‌দের ও ফিলিস্তিনীদের সংগে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি যেদিকে যেতেন সেদিকেই ভীষণ ক্ষতি করতেন।

48. তিনি বীরের মত যুদ্ধ করে আমালেকীয়দের হারিয়ে দিয়ে লুটেরাদের হাত থেকে বনি-ইসরাইলদের রক্ষা করেছিলেন।

49. যোনাথন, যিশ্‌বি ও মল্কীশূয় নামে তালুতের তিনজন ছেলে ছিল। তাঁর বড় মেয়ের নাম ছিল মেরব ও ছোট মেয়ের নাম ছিল মীখল।

50. তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল অহীনোয়ম। তিনি ছিলেন অহীমাসের মেয়ে। তালুতের প্রধান সেনাপতির নাম ছিল অবনের। তিনি তালুতের চাচা নেরের ছেলে।

51. তালুতের পিতা কীশ ও অবনেরের পিতা নের ছিলেন অবীয়েলের ছেলে।

52. তালুতের রাজত্বকালে ফিলিস্তিনীদের সংগে ভীষণ যুদ্ধ হয়েছিল। কোন শক্তিশালী লোক বা বীর পুরুষ দেখলেই তিনি তাকে তাঁর সৈন্যদলে নিয়ে নিতেন।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ১ শামুয়েল 14