14. তালুতের চাচা তালুত ও তাঁর চাকরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কোথায় গিয়েছিলে?”তালুত বললেন, “গাধীগুলো খুঁজতে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেগুলো কোথাও না পেয়ে আমরা শামুয়েলের কাছে গিয়েছিলাম।”
15. তালুতের চাচা বললেন, “আমাকে বল, শামুয়েল তোমাদের কি বলেছেন?”
16. তালুত তাঁর চাচাকে বললেন, “তিনি আমাদের স্পষ্টই বলে দিলেন যে, গাধীগুলো পাওয়া গেছে।” কিন্তু তাঁর রাজত্ব করা সম্বন্ধে শামুয়েল তাঁকে যে কথা বলেছিলেন তা তিনি তাঁর চাচাকে বললেন না।
17. পরে শামুয়েল মিসপাতে মাবুদের সামনে বনি-ইসরাইলদের ডেকে জমায়েত করলেন।
18. তিনি তাদের বললেন, “ইসরাইলীয়দের মাবুদ আল্লাহ্ বলছেন, ‘মিসর দেশ থেকে আমিই তোমাদের বের করে এনেছি, আর মিসরীয়দের হাত থেকে এবং যে রাজ্যগুলো তোমাদের উপর জুলুম করত তাদের হাত থেকে আমিই তোমাদের উদ্ধার করেছি।’ ”
19. শামুয়েল আরও বললেন, “কিন্তু তোমাদের আল্লাহ্, যিনি সমস্ত বিপদ ও দুর্দশা থেকে তোমাদের উদ্ধার করেছেন, আজকাল তাঁকেই তোমরা অগ্রাহ্য করছ আর বলছ, ‘আমাদের উপরে একজন বাদশাহ্ নিযুক্ত করুন।’ কাজেই এখন তোমরা যে যার গোষ্ঠী ও বংশ অনুসারে মাবুদের সামনে উপস্থিত হও।”
20. শামুয়েল বনি-ইসরাইলদের সমস্ত গোষ্ঠীকে কাছে ডাকলেন। তাদের মধ্য থেকে বিন্যামীন-গোষ্ঠীকে বেছে নেওয়া হল।
21. তারপর বিন্যামীন-গোষ্ঠীর সমস্ত বংশকে সামনে আনা হল। তাদের মধ্য থেকে মট্রীয়ের বংশকে বেছে নেওয়া হল। এইভাবে শেষ পর্যন্ত কীশের ছেলে তালুতকে বেছে নেওয়া হল। কিন্তু তাঁর খোঁজ করা হলে তাঁকে পাওয়া গেল না।
22. তখন লোকেরা মাবুদকে জিজ্ঞাসা করল, “আর কেউ কি এখানে আছে?”মাবুদ বললেন, “দেখ, সে মালপত্রের মধ্যে লুকিয়ে আছে।”
23. তখন লোকেরা দৌড়ে গিয়ে সেখান থেকে তালুতকে নিয়ে আসল। তিনি এসে লোকদের মধ্যে দাঁড়ালে পর দেখা গেল তিনি সকলের চেয়ে প্রায় এক ফুট লম্বা।
24. শামুয়েল তখন সবাইকে বললেন, “তোমরা কি মাবুদের বেছে নেওয়া বান্দাটিকে দেখতে পাচ্ছ? সমস্ত লোকের মধ্যে তাঁর মত আর কেউ নেই।”তখন লোকেরা বলল, “বাদশাহ্ চিরজীবী হোন।”
25. শামুয়েল তখন রাজ্য শাসনের নিয়ম-কানুনগুলো লোকদের কাছে ঘোষণা করলেন। তিনি সেগুলো একটা বইয়ে লিখে মাবুদের সামনে রাখলেন। তারপর তিনি সমস্ত লোককে যার যার বাড়ীতে বিদায় করে দিলেন।
26. তালুতও গিবিয়াতে তাঁর নিজের বাড়ীতে ফিরে গেলেন। যে সব বীর পুরুষদের অন্তরে আল্লাহ্ সাড়া জাগিয়েছিলেন তারাও তাঁর সংগে গেল।