ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ শামুয়েল 1:1-13 Kitabul Mukkadas (MBCL)

1. আফরাহীমের পাহাড়ী এলাকায় রামাথয়িম-সোফীম শহরে ইল্‌কানা নামে একজন লোক আফরাহীম-গোষ্ঠীর লোকদের সংগে বাস করতেন। তাঁর পিতার নাম ছিল যিরোহম। যিরোহম ছিলেন ইলীহূর ছেলে, ইলীহূ ছিলেন তোহের ছেলে এবং তোহ ছিলেন সুফের ছেলে।

2. ইল্‌কানার দুইজন স্ত্রী ছিল; একজনের নাম হান্না আর অন্যজনের নাম পনিন্না। পনিন্নার ছেলেমেয়ে হয়েছিল কিন্তু হান্নার কোন ছেলেমেয়ে হয় নি।

3. ইল্‌কানা প্রত্যেক বছর তাঁর শহর থেকে শীলোতে যেতেন। তিনি সেখানে গিয়ে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনের এবাদত ও তাঁর উদ্দেশে পশু-কোরবানী দিতেন। তখন সেখানে ইমাম আলীর দুই ছেলে মাবুদের ইমাম ছিল। তাদের নাম ছিল হফ্‌নি ও পীনহস।

4. পশু-কোরবানীর দিনে ইল্‌কানা তাঁর স্ত্রী পনিন্না ও তাঁর সব ছেলেমেয়েদের তাঁর কোরবানী করা গোশ্‌তের একটা করে ভাগ দিতেন।

5. কিন্তু হান্নাকে দিতেন দুই ভাগ, কারণ তিনি হান্নাকে ভালবাসতেন। মাবুদ কিন্তু হান্নাকে বন্ধ্যা করে রেখেছিলেন।

6. মাবুদ তা করেছিলেন বলে তাঁর সতীন তাঁকে খোঁচা মেরে কথা বলে তাঁর মন অস্থির করে তুলত।

7. বছরের পর বছর এইভাবেই চলছিল। হান্না যখনই মাবুদের ঘরে যেতেন পনিন্না তাঁকে ঐভাবে খোঁচা মেরে কথা বলত। তাই তিনি কান্নাকাটি করতেন আর কিছুই খেতেন না।

8. এ দেখে তাঁর স্বামী ইল্‌কানা তাঁকে বলতেন, “হান্না, তুমি কেন কাঁদছ? কেন কিছু খা"ছ না? কেন তোমার এত দুঃখ? আমি কি তোমার কাছে দশটা ছেলের চেয়েও বেশী নই?”

9. এক সময় শীলোতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হান্না উঠে এবাদত-খানায় গেলেন। ইমাম আলী তখন মাবুদের সেই ঘরের দরজার কাছে একটা আসনে বসে ছিলেন।

10. মনের কষ্টে হান্না মাবুদের কাছে খুব কেঁদে কেঁদে মুনাজাত করতে লাগলেন।

11. তিনি মাবুদের কাছে মানত করে বললেন, “হে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন, তুমি যদি তোমার এই বাঁদীর মনের কষ্টের দিকে চেয়ে দেখ এবং আমার প্রতি মনোযোগ দাও আর আমাকে ভুলে না গিয়ে যদি তোমার এই বাঁদীকে একটা ছেলে দাও তবে সারা জীবনের জন্য আমি তাকে তোমার উদ্দেশে দান করব। তার মাথায় কখনো ক্ষুর লাগানো হবে না।”

12. হান্না অনেকক্ষণ ধরে মাবুদের কাছে যখন মুনাজাত করছিলেন তখন আলী তাঁর মুখের দিকে লক্ষ্য করছিলেন।

13. হান্না মনে মনে মুনাজাত করছিলেন বলে তাঁর ঠোঁট নড়ছিল কিন্তু গলার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল না। সেইজন্য আলী ভাবলেন স্ত্রীলোকটি মাতাল হয়েছে।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ১ শামুয়েল 1