46. “তারা যখন তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করবে- অবশ্য গুনাহ্ করে না এমন লোক নেই- আর তুমি তাদের উপর রাগ করে শত্রুর হাতে তাদের তুলে দেবে ও শত্রুরা তাদের বন্দী করে কাছে বা দূরে তাদের নিজেদের দেশে নিয়ে যাবে,
47. তখন বন্দী হয়ে থাকা সেই দেশে যদি তারা তওবা করে এবং অনুতপ্ত হয়ে তোমাকে অনুরোধ করে বলে, ‘আমরা গুনাহ্ করেছি, অন্যায় করেছি এবং খারাপভাবে চলেছি,’ তবে তুমি তাদের মুনাজাত শুনো।
48. ঐ দেশে যদি তারা মনেপ্রাণে তোমার দিকে ফেরে এবং তাদের পূর্বপুরুষদের যে দেশ তুমি দিয়েছ সেই দেশের দিকে, তোমার বেছে নেওয়া শহরের দিকে, তোমার জন্য আমার তৈরী এই ঘরের দিকে ফিরে তোমার কাছে মুনাজাত করে,
49. তবে তুমি তোমার বাসস্থান বেহেশত থেকে তাদের মুনাজাত ও অনুরোধ শুনো এবং তাদের পক্ষ নিয়ো।
50. তোমার যে বান্দারা তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করেছে সেই বান্দাদের তুমি মাফ কোরো এবং তোমার বিরুদ্ধে করা তাদের সমস্ত দোষও মাফ কোরো। তাদের যারা বন্দী করে নিয়ে গেছে সেই লোকদের মন এমন কোরো যাতে তারা তাদের প্রতি দয়া করে;
51. কারণ বনি-ইসরাইলরা তো তোমারই বান্দা, তোমারই সম্পত্তি যাদের তুমি মিসর থেকে বের করে এনেছ, বের করে এনেছ লোহা গলানো চুলার ভিতর থেকে।
52. “তোমার গোলামের ও তোমার বান্দা বনি-ইসরাইলদের অনুরোধের প্রতি তুমি মনোযোগ দিয়ো, আর যখন তারা তোমাকে ডাকবে তখন তুমি তাদের কথা শুনো।
53. হে আল্লাহ্ মালিক, আমাদের পূর্বপুরুষদের মিসর থেকে বের করে আনবার সময় তোমার গোলাম মূসার মধ্য দিয়ে তোমার ঘোষণা অনুসারে তোমার নিজের সম্পত্তি হবার জন্য দুনিয়ার সমস্ত জাতির মধ্য থেকে তুমি বনি-ইসরাইলদের আলাদা করে নিয়েছ।”
54. মাবুদের কাছে এই সব মুনাজাত ও মিনতি শেষ করবার পর সোলায়মান মাবুদের কোরবানগাহের সামনে থেকে উঠলেন; এতক্ষণ তিনি হাঁটু পেতে বেহেশতের দিকে হাত বাড়িয়ে ছিলেন।
55. তিনি উঠে দাঁড়িয়ে জমায়েত হওয়া সমস্ত বনি-ইসরাইলদের জোর গলায় এই বলে দোয়া করলেন,
56. “সমস্ত প্রশংসা মাবুদের, যিনি তাঁর ওয়াদা অনুসারে তাঁর বান্দা বনি-ইসরাইলদের বিশ্রাম দিয়েছেন। তাঁর গোলাম মূসার মধ্য দিয়ে তিনি যে সব মেহেরবানী করবার ওয়াদা করেছিলেন তার একটা কথাও তিনি খেলাপ করেন নি।