ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ বাদশাহ্‌নামা 20:14-32 Kitabul Mukkadas (MBCL)

14. আহাব জিজ্ঞাসা করলেন, “কিন্তু কাকে দিয়ে তিনি তা করাবেন?”নবী জবাবে বললেন, “মাবুদ বলছেন যে, বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তাদের অধীনে যে যুবক সৈন্যেরা আছে তারাই তা করবে।”আহাব জিজ্ঞাসা করলেন, “যুদ্ধটা শুরু করবে কে?”জবাবে নবী বললেন, “আপনিই করবেন।”

15. আহাব এই কথা শুনে বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তাদের অধীন যুবক সৈন্যদের জমায়েত করলেন। তাতে তারা মোট দু’শো বত্রিশজন হল। তারপর তিনি সব ইসরাইলীয় সৈন্যদের একত্র করলে পর সাত হাজার সৈন্য হল।

16-17. তারা দুপুর বেলায় বেরিয়ে পড়ল। বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তাদের সেই যুবক সৈন্যেরা প্রথমে রওনা হল।এদিকে বিন্‌হদদ ও তাঁর সংগে যুক্ত বত্রিশজন বাদশাহ্‌ তাদের তাম্বুর মধ্যে মাতাল হবার পরেও মদানো রস খাচ্ছিলেন। সেই সময় বিন্‌হদদ খোঁজ নেবার জন্য লোক পাঠিয়ে দিলে তারা তাঁকে খবর দিল, “সামেরিয়া থেকে লোকেরা এগিয়ে এসেছে।”

18. তিনি বললেন, “তারা সন্ধির জন্য এসে থাকলে তাদের জীবন্ত ধরবে, আবার যুদ্ধের জন্য এসে থাকলেও তাদের জীবন্ত ধরবে।”

19. এর মধ্যে সেই যুবক সৈন্যেরা তাদের পিছনে থাকা সৈন্যদল নিয়ে আক্রমণ করতে শুরু করল।

20. তারা প্রত্যেকে তাদের বাধাদানকারীকে হত্যা করল। তা দেখে সিরীয়রা পালিয়ে গেল আর ইসরাইলীয়রা তাদের পিছনে তাড়া করল। কিন্তু সিরিয়ার বাদশাহ্‌ বিন্‌হদদ তাঁর কয়েকজন ঘোড়সওয়ারকে সংগে নিয়ে ঘোড়ার পিঠে করে পালিয়ে গেলেন।

21. ইসরাইলের বাদশাহ্‌ এগিয়ে গিয়ে বাকী ঘোড়া ও রথ সব ধ্বংস করে দিলেন এবং সিরীয়দের খুব ক্ষতি করলেন।

22. পরে ঐ নবী ইসরাইলের বাদশাহ্‌র কাছে এসে বললেন, “আপনার শক্তি বাড়ান এবং কি করতে হবে তা ভেবে দেখুন, কারণ আগামী বসন্তকালে সিরিয়ার বাদশাহ্‌ আপনাকে আবার আক্রমণ করবেন।”

23. এর মধ্যে সিরিয়ার বাদশাহ্‌র কর্মচারীরা তাঁকে এই পরামর্শ দিল, “ওদের দেবতাগুলো পাহাড়ের দেবতা, তাই আমাদের চেয়ে ওরা বেশী শক্তিশালী। কিন্তু আমরা যদি সমভূমিতে ওদের সংগে যুদ্ধ করি তবে নিশ্চয়ই আমরা ওদের চেয়ে শক্তিশালী হব।

24. আপনি এক কাজ করুন। বাদশাহ্‌দের সরিয়ে দিয়ে তাদের জায়গায় সেনাপতিদের নিযুক্ত করুন।

25. তাছাড়া যে সৈন্যদল আপনি হারিয়েছেন ঠিক সেই রকম আর একটা সৈন্যদল আপনাকে গড়ে তুলতে হবে, ঘোড়ার বদলে ঘোড়া এবং রথের বদলে রথ। তাহলে আমরা সমভূমিতে ইসরাইলের সংগে যুদ্ধ করতে পারব। তখন নিশ্চয়ই আমরা তাদের চেয়ে শক্তিশালী হব।” তিনি তাদের কথায় রাজী হয়ে সেইমতই কাজ করলেন।

26. পরের বছর বসন্তকালে বিন্‌হদদ সিরীয়দের জমায়েত করে নিয়ে ইসরাইলের সংগে যুদ্ধ করবার জন্য অফেকে গেলেন।

27. এদিকে বনি-ইসরাইলদের জমায়েত করা হল। তাদের খাবার-দাবার যোগান দেবার ব্যবস্থা করা হলে পর তারাও সিরীয়দের সংগে যুদ্ধ করবার জন্য বেরিয়ে গেল। বনি-ইসরাইলরা সিরীয়দের সামনের দিকে তাদের ছাউনি ফেলল। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল ছোট দু’টা ছাগলের পাল, আর এদিকে সিরীয়রা গোটা দেশটা জুড়ে রইল।

28. তখন আল্লাহ্‌র একজন বান্দা এসে ইসরাইলের বাদশাহ্‌কে বললেন, “আল্লাহ্‌ এই কথা বলছেন, ‘সিরীয়রা মনে করছে আল্লাহ্‌ পাহাড়ের মাবুদ, উপত্যকার মাবুদ নন; সেইজন্য আমি এই বিরাট সৈন্যদলকে তোমার হাতে তুলে দেব, আর এতে তোমরা জানতে পারবে যে, আমিই আল্লাহ্‌।’ ”

29. সাত দিন পর্যন্ত তারা একে অন্যের সামনাসামনি ছাউনি ফেলে রইল। তারপর সপ্তম দিনে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। বনি-ইসরাইলরা এক দিনেই এক লক্ষ সিরীয় পদাতিক সৈন্য হত্যা করল।

30. বাদবাকী সৈন্যেরা অফেকে পালিয়ে গেল আর সেখানে তাদের সাতাশ হাজার সৈন্যের উপরে দেয়াল ধ্বসে পড়ল। বিন্‌হদদ সেখানে পালিয়ে গিয়ে বাড়ীর ভিতরের একটা কামরায় লুকিয়ে রইলেন।

31. বিন্‌হদদের কর্মচারীরা তাঁকে বলল, “দেখুন, আমরা শুনেছি যে, ইসরাইলের বাদশাহ্‌রা দয়ালু। চলুন, আমরা কোমরে চট পরে আর মাথায় দড়ির বিড়া বেঁধে ইসরাইলের বাদশাহ্‌র কাছে যাই। হয়তো তিনি আপনার প্রাণ রক্ষা করবেন।”

32. তাঁরা কোমরে চট পরে ও মাথায় দড়ির বিড়া বেঁধে ইসরাইলের বাদশাহ্‌র কাছে গিয়ে বললেন, “আপনার গোলাম বিন্‌হদদ বলছেন যে, আপনি যেন দয়া করে তাঁকে বাঁচিয়ে রাখেন।”জবাবে বাদশাহ্‌ বললেন, “তিনি কি এখনও জীবিত আছেন? তিনি আমার ভাই।”

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ১ বাদশাহ্‌নামা 20