20. ইয়ারাবিমের ফিরে আসবার খবর শুনে ইসরাইলীয়রা লোক পাঠিয়ে তাঁকে তাদের সভায় ডেকে আনল এবং সমস্ত ইসরাইলীয়দের উপর তারা তাঁকেই বাদশাহ্ করল। কেবল এহুদা-গোষ্ঠীর লোকেরাই দাউদের বংশের প্রতি বিশ্বস্ত রইল।
21. জেরুজালেমে পৌঁছে রহবিয়াম এহুদা ও বিন্যামীন-গোষ্ঠীর সমস্ত লোককে যুদ্ধের জন্য জমায়েত করলেন। তাতে এক লক্ষ আশি হাজার সৈন্য হল। এটা করা হল যাতে ইসরাইলীয়দের সংগে যুদ্ধ করে রাজ্যটা আবার সোলায়মানের ছেলে রহবিয়ামের হাতে নিয়ে আসা যায়।
22. কিন্তু আল্লাহ্র বান্দা শময়িয়ের উপর আল্লাহ্র এই কালাম নাজেল হল,
23. “তুমি এহুদার বাদশাহ্ সোলায়মানের ছেলে রহবিয়ামকে, এহুদা ও বিন্যামীন-গোষ্ঠীর সমস্ত লোককে এবং বাকী সব লোকদের বল যে,
24. মাবুদ বলছেন তারা যেন নিজের ভাই বনি-ইসরাইলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে না যায়। তারা প্রত্যেকেই যেন বাড়ী ফিরে যায়, কারণ এটা মাবুদেরই কাজ।” কাজেই তারা মাবুদের কথা মেনে নিয়ে মাবুদের হুকুম মত বাড়ী ফিরে গেল।
25. পরে ইয়ারাবিম আফরাহীমের পাহাড়ী এলাকার শিখিম কেল্লার মত করে গড়ে নিয়ে সেখানে বাস করতে লাগলেন। তিনি সেখান থেকে গিয়ে পনূয়েলও কেল্লার মত করে গড়ে নিলেন।
26. ইয়ারাবিম ভাবলেন, “এবার হয়তো রাজ্যটা আবার দাউদের বংশের হাতে ফিরে যাবে।
27. লোকেরা যদি জেরুজালেমে মাবুদের এবাদত-খানায় কোরবানী দেবার জন্য যায় তবে আবার তারা তাদের মালিক এহুদার বাদশাহ্ রহবিয়ামের অধীনতা মেনে নেবে। তারা আমাকে হত্যা করে বাদশাহ্ রহবিয়ামের কাছে ফিরে যাবে।”
28. বাদশাহ্ ইয়ারাবিম তখন পরামর্শ করে দু’টা সোনার বাছুর তৈরী করালেন। তারপর তিনি লোকদের বললেন, “জেরুজালেমে যাওয়া তোমাদের জন্য খুব কষ্টের ব্যাপার। হে ইসরাইল, এঁরাই তোমাদের দেবতা, এঁরাই মিসর থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন।”
29. বাছুর দু’টার একটাকে তিনি রাখলেন বেথেলে এবং অন্যটাকে রাখলেন দানে,
30. তাই লোকেরা পূজা করবার জন্য দান পর্যন্তও যেতে লাগল। এই ব্যাপারটা তাদের গুনাহের কারণ হয়ে দাঁড়াল।
31. ইয়ারাবিম পূজার উঁচু স্থানগুলোতে মন্দির তৈরী করলেন এবং এমন সব লোকদের মধ্য থেকে পুরোহিত নিযুক্ত করলেন যারা লেবির বংশের লোক ছিল না।
32. এহুদা এলাকার মধ্যে যে ঈদ হত সেই ঈদের মত অষ্টম মাসের পনের দিনের দিন তিনি বেথেলেও একটা ঈদের ব্যবস্থা করলেন এবং নিজের তৈরী বাছুরের উদ্দেশে বেদীর উপর পশু উৎসর্গ দিলেন। তিনি বেথেলে পূজার উঁচু স্থানগুলোতে তাঁর তৈরী মন্দিরে পুরোহিতও নিযুক্ত করলেন।