ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ বাদশাহ্‌নামা 11:10-28 Kitabul Mukkadas (MBCL)

10. তিনি দেব-দেবীদের পিছনে যেতে তাঁকে মানা করেছিলেন কিন্তু সোলায়মান মাবুদের হুকুম পালন করেন নি।

11. কাজেই মাবুদ সোলায়মানকে বললেন, “তোমার এই ব্যবহারের জন্য এবং আমার দেওয়া ব্যবস্থা ও নিয়ম অমান্য করবার জন্য আমি অবশ্যই তোমার কাছ থেকে রাজ্য চিরে নিয়ে তোমার একজন কর্মচারীকে দেব।

12. তবে তোমার পিতা দাউদের কথা মনে করে তোমার জীবনকালে আমি তা করব না, কিন্তু তোমার ছেলের হাত থেকে আমি তা চিরে নেব।

13. অবশ্য রাজ্যের সবটা আমি তার কাছ থেকে চিরে নেব না, কিন্তু আমার গোলাম দাউদের কথা এবং আমার বেছে নেওয়া জেরুজালেমের কথা মনে করে একটা গোষ্ঠী আমি তোমার ছেলেকে দেব।”

14. এর পর মাবুদ সোলায়মানের বিরুদ্ধে ইদোমীয় হদদকে শত্রু হিসাবে দাঁড় করালেন। ইদোমের রাজবংশে তার জন্ম হয়েছিল।

15. দাউদ যখন ইদোম দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন তখন তাঁর সেনাপতি যোয়াব মৃত লোকদের দাফন করবার জন্য ইদোমে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকবার সময় তিনি ইদোমীয় সব পুরুষ লোককে হত্যা করেছিলেন।

16. যোয়াব ও ইসরাইলের সব সৈন্যেরা ছয় মাস ইদোমে ছিলেন এবং সেখানকার সব পুরুষ লোককে হত্যা করেছিলেন।

17. কিন্তু হদদ তার বাবার কয়েকজন ইদোমীয় কর্মচারীর সংগে মিসরে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় সে ছোট ছিল।

18. তারা মাদিয়ান থেকে রওনা হয়ে পারণে গিয়েছিল এবং পরে সেখান থেকে কিছু লোক নিয়ে তারা মিসরের বাদশাহ্‌ ফেরাউনের কাছে গিয়েছিল। ফেরাউন হদদকে বাড়ী, জায়গা-জমি ও খাবার দিয়েছিলেন।

19. ফেরাউন হদদের উপর এত সন্তুষ্ট হয়েছিলেন যে, ফেরাউনের স্ত্রী রাণী তহ্‌পনেষের বোনের সংগে তার বিয়ে দিয়েছিলেন।

20. তহ্‌পনেষের বোনের গর্ভে হদদের একটি ছেলের জন্ম হয়েছিল; সেই ছেলের নাম ছিল গনুবৎ। তহ্‌পনেষ ছেলেটিকে রাজবাড়ীতে রাখলেন এবং সেখানেই সে মায়ের দুধ খাওয়া ছাড়ল। গনুবৎ সেখানে ফেরাউনের ছেলেমেয়েদের সংগেই থাকত।

21. মিসরে থাকতেই হদদ শুনল যে, দাউদকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সংগে দাফন করা হয়েছে এবং সেনাপতি যোয়াবও মারা গেছেন। তখন হদদ ফেরাউনকে বলল, “এবার আমাকে যেতে দিন যাতে আমি আমার নিজের দেশে ফিরে যেতে পারি।”

22. ফেরাউন জিজ্ঞাসা করলেন, “এখানে তোমার কিসের অভাব হয়েছে যে, তুমি নিজের দেশে ফিরে যেতে চাইছ?”জবাবে হদদ বলল, “কিছুরই অভাব হয় নি, কিন্তু তবুও আমাকে যেতে দিন।”

23. সোলায়মানের বিরুদ্ধে আল্লাহ্‌ আর একজন শত্রু দাঁড় করালেন। সে হল ইলিয়াদার ছেলে রষোণ। সে তার মালিক সোবার বাদশাহ্‌ হদদেষরের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।

24. দাউদ যখন সোবার সৈন্যদের হত্যা করেছিলেন তখন রষোণ কিছু লোক জোগাড় করে নিয়ে একটা লুটেরা দল তৈরী করে তার নেতা হয়ে বসল। এই লোকেরা দামেস্ক দখল করে সেখানে রাজত্ব করতে লাগল।

25. সোলায়মান যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন রষোণ ইসরাইলের সংগে শত্রুতা করেছিল আর সেই সময় হদদও ইসরাইলের বিরুদ্ধে কাজ করছিল। ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটা শত্রুভাব নিয়ে রষোণ সিরিয়া দেশে রাজত্ব করত।

26. নবাটের ছেলে ইয়ারাবিমও বাদশাহ্‌ সোলায়মানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন। তিনি ছিলেন সোলায়মানের একজন কর্মচারী, সরেদা গ্রামের একজন আফরাহীমীয় লোক। তাঁর মায়ের নাম ছিল সরূয়া; তিনি বিধবা ছিলেন।

27. বাদশাহ্‌র বিরুদ্ধে ইয়ারাবিমের বিদ্রোহের একটা কারণ ছিল। যে সময় সোলায়মান মিল্লো তৈরী করছিলেন এবং তাঁর পিতা দাউদের শহরের দেয়ালের ভাংগা অংশ মেরামত করছিলেন,

28. সেই সময় ইয়ারাবিম সেখানে কাজ করছিলেন এবং তাঁর কাজের বেশ সুনাম ছিল। সোলায়মান যখন দেখলেন যে, যুবকটি বেশ কাজের লোক তখন তিনি তাঁকে ইউসুফের বংশের সমস্ত মজুরদের দেখাশোনার ভার দিলেন।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ১ বাদশাহ্‌নামা 11