ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ বাদশাহ্‌নামা 10:10-22 Kitabul Mukkadas (MBCL)

10. তিনি বাদশাহ্‌কে সাড়ে চার টনেরও বেশী সোনা, অনেক খোশবু মসলা ও মণি-মুক্তা দিলেন। সাবার রাণী বাদশাহ্‌ সোলায়মানকে যত মসলা দিয়েছিলেন তত মসলা আর কখনও দেশে আনা হয় নি।

11. এছাড়া হীরমের যে জাহাজগুলো ওফীর থেকে সোনা নিয়ে আসত সেগুলো প্রচুর বেরস কাঠ আর মণি-মুক্তাও নিয়ে আসত।

12. বাদশাহ্‌ সেই সব বেরস কাঠ দিয়ে মাবুদের ঘরের ও রাজবাড়ীর রেলিং এবং কাওয়ালদের জন্য বীণা ও সুরবাহার তৈরী করালেন। আজ পর্যন্ত এত বেরস কাঠ কখনও দেশে আনা হয় নি আর দেখাও যায় নি।

13. বাদশাহ্‌ সোলায়মান দান হিসাবে সাবার রাণীকে অনেক কিছু দিয়েছিলেন। তা ছাড়াও রাণী যা কিছু চেয়েছিলেন তা সবই দিয়েছিলেন। এর পর রাণী তাঁর লোকজন নিয়ে নিজের দেশে ফিরে গেলেন।

14. প্রতি বছর সোলায়মানের কাছে যে সোনা আসত তার ওজন ছিল প্রায় ছাব্বিশ টন।

15. এছাড়া বণিক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে, আরবীয় বাদশাহ্‌দের কাছ থেকে ও দেশের শাসনকর্তাদের কাছ থেকেও সোনা আসত।

16. বাদশাহ্‌ সোলায়মান পিটানো সোনা দিয়ে দু’শো বড় ঢাল তৈরী করালেন। প্রত্যেকটা ঢালে সাত কেজি আটশো গ্রাম সোনা লেগেছিল।

17. পিটানো সোনা দিয়ে তিনি তিনশো ছোট ঢালও তৈরী করিয়েছিলেন। তার প্রত্যেকটাতে সোনা লেগেছিল প্রায় দুই কেজি করে। তিনি সেগুলো লেবানন্তবন্তকুটিরে রাখলেন।

18. এর পরে বাদশাহ্‌ হাতির দাঁতের একটা বড় সিংহাসন তৈরী করিয়ে খাঁটি সোনা দিয়ে তা মুড়িয়ে নিলেন।

19. সেই সিংহাসনের সিঁড়ির ছয়টা ধাপ ছিল এবং সিংহাসনের পিছন দিকের উপর দিকটা ছিল গোল। বসবার জায়গার দু’দিকে ছিল হাতল এবং হাতলের পাশে ছিল দাঁড়ানো সিংহমূর্তি।

20. সেই ছয়টা ধাপের প্রত্যেকটার দু’পাশে একটা করে মোট বারোটা সিংহমূর্তি ছিল। অন্য কোন রাজ্যে এই রকম সিংহাসন কখনও তৈরী হয় নি।

21. সোলায়মানের পানীয়ের সমস্ত পাত্রগুলো ছিল সোনার আর লেবানন্তবন্তকুটিরের সমস্ত পাত্রগুলোও ছিল খাঁটি সোনার তৈরী। রূপার তৈরী কিছুই ছিল না, কারণ সোলায়মানের সময়ে রূপার তেমন কোন দাম ছিল না।

22. সাগরে হীরমের জাহাজের সংগে বাদশাহ্‌রও বড় বড় তর্শীশ-জাহাজ ছিল। প্রতি তিন বছর পর পর সেই জাহাজগুলো সোনা, রূপা, হাতির দাঁত, বানর ও বেবুন নিয়ে ফিরে আসত।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ১ বাদশাহ্‌নামা 10