31. তখন বৎশেবা মাটিতে উবুড় হয়ে সালাম জানিয়ে বাদশাহ্কে বললেন, “আমার প্রভু মহারাজ দাউদ চিরজীবী হোন।”
32. বাদশাহ্ দাউদ বললেন, “ইমাম সাদোক, নবী নাথন এবং যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে আমার কাছে ডেকে আন।” তাঁরা বাদশাহ্র কাছে আসলেন।
33. বাদশাহ্ তাঁদের বললেন, “আপনারা আমার রক্ষীদলকে সংগে নিন এবং আমার ছেলে সোলায়মানকে আমার নিজের খ"চরে বসিয়ে তাকে নিয়ে জিহোন উপত্যকায় যান।
34. ইমাম সাদোক ও নবী নাথন সেখানে তাকে ইসরাইলের বাদশাহ্ হিসাবে অভিষেক করুন। তারপর আপনারা শিংগা বাজিয়ে চিৎকার করে বলুন, ‘বাদশাহ্ সোলায়মান চিরজীবী হোন।’
35. এর পর আপনারা তার পিছনে পিছনে ফিরে আসবেন। সে এসে আমার সিংহাসনে বসবে এবং আমার জায়গায় রাজত্ব করবে। আমি তাকে ইসরাইল ও এহুদার শাসনকর্তা নিযুক্ত করলাম।”
36. তখন যিহোয়াদার ছেলে বনায় বাদশাহ্কে বললেন, “আমিন। আমাদের প্রভু মহারাজের মাবুদ আল্লাহ্ তা-ই করুন।
37. মাবুদ যেমন আমার প্রভু মহারাজের সংগে থেকেছেন তেমনি সোলায়মানের সংগেও থাকুন এবং আমার প্রভু বাদশাহ্ দাউদের রাজ্যের চেয়েও তাঁর রাজ্য আরও গৌরবযুক্ত করুন!”
38. তখন ইমাম সাদোক, নবী নাথন, যিহোয়াদার ছেলে বনায়, করেথীয় ও পলেথীয়রা গিয়ে সোলায়মানকে বাদশাহ্ দাউদের খ"চরে বসিয়ে জিহোনে নিয়ে গেলেন।
39. ইমাম সাদোক পবিত্র তাম্বু থেকে তেলের শিংগাটা নিয়ে এসে সোলায়মানকে অভিষেক করলেন। তারপর তাঁরা তূরী বাজালেন এবং সমস্ত লোকেরা চিৎকার করে বলল, “বাদশাহ্ সোলায়মান চিরজীবী হোন।”
40. তারপর সমস্ত লোক বাঁশী বাজাতে বাজাতে এবং খুব আনন্দ করতে করতে সোলায়মানের পিছনে পিছনে ফিরে আসল। তারা এমনভাবে আনন্দ করল যে, তার শব্দে মাটি কেঁপে উঠল।
41. সেই সময় আদোনিয় ও সমস্ত দাওয়াতী লোকেরা খাওয়ার শেষের দিকে সেই শব্দ শুনল। তূরীর আওয়াজ শুনে যোয়াব জিজ্ঞাসা করলেন, “শহরে এই সব গোলমাল হচ্ছে কেন?”
42. তাঁর কথা শেষ হতে না হতেই ইমাম অবিয়াথরের ছেলে যোনাথন সেখানে উপস্থিত হল। আদোনিয় তাকে বলল, “আসুন, আসুন। আপনি তো ভাল লোক, নিশ্চয়ই ভাল সংবাদ এনেছেন।”
43. জবাবে যোনাথন বলল, “মোটেই না। আমাদের প্রভু মহারাজ দাউদ সোলায়মানকে বাদশাহ্ করেছেন।
44. বাদশাহ্ তাঁর সংগে ইমাম সাদোক, নবী নাথন, যিহোয়াদার ছেলে বনায়, করেথীয় ও পলেথীয়দের পাঠিয়েছেন। তাঁরা তাঁকে বাদশাহ্র খ"চরের উপর বসিয়েছেন,
45. আর ইমাম সাদোক ও নবী নাথন জিহোনে তাঁকে রাজপদে অভিষেক করেছেন। সেখান থেকে লোকেরা আনন্দ করতে করতে ফিরে গিয়েছে আর শহরে সেই গোলমালই হচ্ছে। সেই আওয়াজই আপনারা শুনতে পাচ্ছেন।
46-48. এছাড়া সোলায়মান রাজ-সিংহাসনেও বসেছেন, আর বাদশাহ্র কর্মচারীরা আমাদের প্রভু বাদশাহ্ দাউদকে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছে, ‘আপনার আল্লাহ্ আপনার নামের চেয়েও সোলায়মানের নাম মহান করুন এবং আপনার রাজ্যের চেয়েও তাঁর রাজ্য আরও গৌরবযুক্ত করুন।’ বাদশাহ্ বিছানার উপরেই উবুড় হয়ে আল্লাহ্কে সেজদা করে বলেছেন, ‘ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র প্রশংসা হোক। আমার সিংহাসনের অধিকারীকে আজ তিনি আমাকে দেখতে দিলেন।’ ”
49. এই কথা শুনে আদোনিয়ের দাওয়াতী সব লোকেরা খুব ভয় পেল এবং উঠে যে যার পথে চলে গেল।
50. কিন্তু আদোনিয় সোলায়মানের ভয়ে গিয়ে কোরবানগাহের শিং ধরে রইল।