10. এখন মনোযোগী হও, কারণ এবাদত করবার জন্য একটা ঘর তৈরী করতে মাবুদ তোমাকেই বেছে নিয়েছেন। তুমি শক্তিশালী হও এবং কাজ কর।”
11. তারপর দাউদ তাঁর ছেলে সোলায়মানকে বায়তুল-মোকাদ্দসের বারান্দা, তাঁর দালানগুলো, ভাণ্ডার-ঘরগুলো, উপরের ও ভিতরের কামরাগুলো এবং গুনাহ্ ঢাকা দেবার জায়গার নক্শা দিলেন।
12. মাবুদের ঘরের উঠান, তার চারপাশের কামরা, আল্লাহ্র ঘরের ধনভাণ্ডার এবং কোরবানীর জিনিস রাখবার ভাণ্ডারের যে নমুনা পাক-রূহ্ দাউদের কাছে প্রকাশ করেছিলেন তা সবই তিনি সোলায়মানকে জানালেন।
13. ইমাম ও লেবীয়দের বিভিন্ন দলের কাজ, মাবুদের ঘরের সমস্ত এবাদত-কাজ এবং সেই কাজে ব্যবহারের সমস্ত জিনিসপত্র সম্বন্ধে তিনি তাঁকে নির্দেশ দিলেন।
14. বিভিন্ন এবাদত-কাজের জন্য যে সব সোনা ও রূপার জিনিস ব্যবহার করা হবে তিনি তার জন্য কতটা সোনা ও রূপা লাগবে তার নির্দেশ দিলেন।
15. প্রত্যেকটি সোনার বাতিদান ও বাতির জন্য কতটা সোনা এবং ব্যবহার অনুসারে প্রত্যেকটা রূপার বাতিদান ও বাতির জন্য কতটা রূপা লাগবে তার নির্দেশ দিলেন।
16. পবিত্র-রুটি রাখবার সোনার টেবিলের জন্য কতটা সোনা এবং রূপার টেবিলগুলোর জন্য কতটা রূপা লাগবে তার নির্দেশ দিলেন।
17-18. গোশ্ত তুলবার কাঁটা, কোরবানীর রক্ত রাখবার পেয়ালা ও কলসী আর ধূপগাহের জন্য কতটা খাঁটি সোনা লাগবে এবং প্রত্যেকটি সোনা ও রূপার পাত্রের জন্য কতটা সোনা ও রূপা লাগবে তার নির্দেশ দিলেন। এছাড়া রথ, অর্থাৎ মাবুদের সাক্ষ্য-সিন্দুকটি ঢেকে রাখবার জন্য যে সোনার কারুবীরা পাখা-মেলা অবস্থায় থাকবে তাদের জন্য কতটা খাঁটি সোনা লাগবে তিনি তারও নির্দেশ দিলেন।
19. দাউদ বললেন, “মাবুদ যে নমুনা আমার কাছে প্রকাশ করেছিলেন তাঁর পরিচালনায় আমি তা এঁকেছিলাম, আর সেই নমুনার খুঁটিনাটি বুঝবার জ্ঞান তিনি আমাকে দিয়েছিলেন।”
20. দাউদ তাঁর ছেলে সোলায়মানকে এই কথাও বললেন, “তুমি শক্তিশালী হও, মনে সাহস আন এবং কাজ কর। তুমি ভয় কোরো না, নিরাশ হোয়ো না, কারণ মাবুদ আল্লাহ্, আমার আল্লাহ্ তোমার সংগে আছেন। মাবুদের এবাদত-কাজের জন্য বায়তুল-মোকাদ্দস তৈরীর সব কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি তোমাকে ছেড়ে যাবেন না বা ত্যাগ করবেন না।
21. আল্লাহ্র ঘরের সমস্ত এবাদত-কাজের জন্য বিভিন্ন দলের ইমাম ও লেবীয়রা প্রস্তুত আছে। সমস্ত কাজে তোমাকে সাহায্য করবার জন্য দক্ষ ও ইচ্ছুক লোকেরাও আছে। নেতারা ও সমস্ত লোকেরা তোমার হুকুম মানবে।”