6. তারপর তিনি তাঁর ছেলে সোলায়মানকে ডেকে তাঁর উপর ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র জন্য একটা ঘর তৈরীর ভার দিলেন।
7. দাউদ সোলায়মানকে বললেন, “বাবা, আমার মাবুদ আল্লাহ্র জন্য একটা ঘর তৈরীর ইচ্ছা আমার দিলে ছিল।
8. কিন্তু মাবুদের এই কথা আমাকে জানানো হল, ‘তুমি অনেক রক্তপাত করেছ এবং অনেক যুদ্ধও করেছ। তুমি আমার জন্য ঘর তৈরী করবে না, কারণ আমার চোখের সামনে তুমি দুনিয়াতে অনেক রক্তপাত করেছ।
9. কিন্তু তোমার একটি ছেলে হবে যে শান্তি ভালবাসবে। তার চারপাশের শত্রুদের হাত থেকে আমি তাকে শান্তিতে রাখব। তার নাম হবে সোলায়মান (যার মানে শান্তি), কারণ আমি তার রাজত্বের সময়ে ইসরাইলকে শান্তিতে ও নিরাপদে রাখব।
10. সে-ই আমার জন্য একটা ঘর তৈরী করবে। সে হবে আমার পুত্র আর আমি হব তার পিতা। ইসরাইলের উপরে তার রাজত্ব আমি চিরকাল স্থায়ী করব।’
11. “এখন বাবা আমার, মাবুদ তোমার সংগে থাকুন; তুমি সফলতা লাভ কর আর মাবুদের কথামত তোমার মাবুদ আল্লাহ্র ঘর তৈরী কর।
12. মাবুদ তোমার উপরে যখন ইসরাইলের শাসনভার দেবেন তখন যেন তিনি তোমাকে বুদ্ধি-বিবেচনা ও বুঝবার শক্তি দেন যাতে তুমি তোমার মাবুদ আল্লাহ্র শরীয়ত মেনে চলতে পার।
13. মূসার মধ্য দিয়ে মাবুদ ইসরাইলকে যে নিয়ম ও নির্দেশ দিয়েছেন তা যদি তুমি যত্নের সংগে পালন কর তাহলেই তুমি সফলতা লাভ করতে পারবে। তুমি শক্তিশালী হও আর মনে সাহস রাখ। ভয় কোরো না কিংবা নিরাশ হোয়ো না।
14. “আমি অনেক কষ্ট করে মাবুদের ঘরের জন্য তিন হাজার ন’শো টন সোনা ও ঊনচল্লিশ হাজার টন রূপা রেখেছি। এছাড়া এত বেশী ব্রোঞ্জ ও লোহা রেখেছি যা মাপা সম্ভব নয়, আর কাঠ এবং পাথরও ঠিক করে রেখেছি। অবশ্য এর সংগে তুমিও কিছু দিতে পারবে।
15-16. তোমার অনেক কাজের লোক আছে; তারা হল পাথর কাটবার মিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি ও ছুতার মিস্ত্রি। এছাড়া রয়েছে অন্য সব রকম কাজ করবার ওস্তাদ লোক যারা সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ ও লোহার কাজ করতে পারে। এই সব কারিগরদের সংখ্যা অনেক। এখন তুমি কাজ শুরুকরে দাও আর মাবুদ তোমার সংগে থাকুন।”