8. এই সব শুনে দাউদ যোয়াবকে এবং তাঁর সমস্ত সৈন্যদলকে পাঠিয়ে দিলেন।
9. তখন অম্মোনীয়রা বের হয়ে তাদের শহরের দরজায় ঢুকবার পথে যুদ্ধের জন্য সৈন্য সাজাল। এদিকে যে বাদশাহ্রা এসেছিলেন তাঁরা খোলা মাঠে রইলেন।
10. যোয়াব দেখলেন তাঁর সামনে এবং পিছনে সিরীয় সৈন্যদের সাজানো হয়েছে। সেইজন্য তিনি তাঁর সৈন্যদের মধ্য থেকে কতগুলো বাছাই করা সৈন্য নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সাজালেন।
11. বাকী সৈন্যদের তিনি তাঁর ভাই অবীশয়ের অধীনে রাখলেন; তাতে তারা অম্মোনীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য নিজেদের সাজাল।
12. যোয়াব তাঁর ভাইকে বললেন, “যদি সিরীয়রা আমার চেয়ে শক্তিশালী হয় তবে তুমি আমাকে সাহায্য করতে আসবে, আর যদি অম্মোনীয়রা তোমার চেয়ে শক্তিশালী হয় তবে আমি তোমাকে সাহায্য করতে যাব।
13. সাহস কর; আমাদের লোকদের জন্য এবং আমাদের আল্লাহ্র শহরগুলোর জন্য এস, আমরা সাহসের সংগে যুদ্ধ করি। মাবুদের চোখে যা ভাল তিনি তা-ই করুন।”
14. এই বলে যোয়াব তাঁর সৈন্যদল নিয়ে সিরীয়দের সংগে যুদ্ধ করবার জন্য এগিয়ে গেলে পর সিরীয়রা তাঁর সামনে থেকে পালিয়ে গেল।
15. সিরীয়দের পালিয়ে যেতে দেখে অম্মোনীয়রাও যোয়াবের ভাই অবীশয়ের সামনে থেকে পালিয়ে গিয়ে শহরের ভিতরে ঢুকল। কাজেই যোয়াব জেরুজালেমে ফিরে গেলেন।
16. সিরীয়রা যখন দেখল যে, তারা বনি-ইসরাইলদের কাছে সম্পূর্ণভাবে হেরে গেছে তখন তারা লোক পাঠিয়ে ফোরাত নদীর ওপারে বাস করা সিরীয়দের নিয়ে আসল। হদদেষরের সৈন্যদলের সেনাপতি শোবক তাদের পরিচালনা করে নিয়ে আসলেন।
17. দাউদকে সেই কথা জানালে পর তিনি সমস্ত ইসরাইলীয় সৈন্যদের জমায়েত করলেন এবং জর্ডান নদী পার হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এগিয়ে গেলেন এবং তাদের সামনের দিকে যুদ্ধের জন্য সৈন্য সাজালেন। তখন সিরীয়রা দাউদের সংগে যুদ্ধ করল।
18. কিন্তু বনি-ইসরাইলদের সামনে থেকে তারা পালিয়ে গেল। তখন দাউদ তাদের সাত হাজার রথচালক ও চল্লিশ হাজার পদাতিক সৈন্য হত্যা করলেন। তিনি তাদের সেনাপতি শোবককেও হত্যা করলেন।
19. হদদেষরের অধীন বাদশাহ্রা যখন দেখলেন যে, তাঁরা বনি-ইসরাইলদের কাছে হেরে গেছেন তখন দাউদের সংগে শান্তি-চুক্তি করে তাঁরা তাঁর অধীন হলেন। কাজেই অম্মোনীয়দের সাহায্য করতে সিরীয়রা আর রাজী হল না।