22. কিন্তু সেই দিন গোশন এলাকাটা আমি বাদ দেব, কারণ আমার বান্দারা সেখানে বাস করছে। সেখানে কোন পোকার উৎপাত থাকবে না। তা থেকে তোমরা জানতে পারবে যে, আমি মাবুদই এই দেশে আছি।
23. আমার লোকদের আমি রেহাই দেব, তোমার লোকদের নয়। আগামী কাল এই আশ্চর্য ব্যাপার দেখা যাবে।’ ”
24. মাবুদ তা-ই করলেন। ফেরাউনের রাজবাড়ীতে এবং তাঁর কর্মচারীদের বাড়ীতে ঝাঁকে ঝাঁকে পোকা ঢুকল। এই সব পোকার উৎপাতে সারা মিসর দেশটার সর্বনাশ হতে লাগল।
25. তখন ফেরাউন মূসা ও হারুনকে ডাকিয়ে এনে বললেন, “তোমরা এই দেশের মধ্যেই কোথাও গিয়ে তোমাদের আল্লাহ্র উদ্দেশে পশু-কোরবানী দাও।”
26. মূসা বললেন, “কিন্তু এটা করা কি ঠিক হবে? আমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে আমরা যা কোরবানী করব তা মিসরীয়দের কাছে ঘৃৃণার জিনিস। মিসরীয়রা যা ঘৃণা করে তা-ই যদি আমরা তাদের চোখের সামনে কোরবানী করি তবে কি তারা আমাদের পাথর মারবে না?
27. সেইজন্য আমাদের মাবুদ আল্লাহ্র হুকুম মতই মরুভূমির মধ্যে তিন দিনের পথ গিয়ে তাঁর উদ্দেশে আমাদের পশু-কোরবানী দিতে হবে।”
28. ফেরাউন বললেন, “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে পশু-কোরবানীর জন্য আমি মরুভূমিতেই তোমাদের যেতে দেব। কিন্তু তোমরা বেশী দূরে যাবে না। এবার তোমরা আমার জন্য মিনতি কর।”
29. মূসা বললেন, “আমি আপনার কাছ থেকে গিয়েই মাবুদের কাছে মিনতি করব যেন কালই মহারাজ এবং তাঁর কর্মচারীদের ও তাঁর লোকদের উপর থেকে এই পোকার উৎপাত চলে যায়। কিন্তু মাবুদের উদ্দেশে পশু-কোরবানী দেওয়ার জন্য যেতে না দিয়ে মহারাজ যেন আমাদের আবার ফাঁকি না দেন।”
30. এর পর মূসা ফেরাউনের কাছ থেকে গিয়ে মাবুদের কাছে মিনতি করলেন,
31. আর মাবুদও মূসার কথামত কাজ করলেন। তিনি ফেরাউন এবং তাঁর কর্মচারী ও তাঁর লোকদের উপর থেকে পোকার উৎপাত সরিয়ে দিলেন। একটা পোকাও আর রইল না।
32. কিন্তু এবারও ফেরাউন তাঁর মন শক্ত করলেন এবং লোকদের যেতে দিলেন না।