7. তখন মাবুদ বললেন, “তোমার হাত আবার ওখানে রাখ।” তিনি তা-ই করলেন। যখন তিনি হাতটা বের করে আনলেন তখন দেখা গেল তাঁর হাতটা তাঁর শরীরের অন্যান্য অংশের মত সুস্থ হয়ে গেছে।
8. তখন মাবুদ বললেন, “যদি তারা তোমাকে অবিশ্বাস করে কিংবা প্রথম চিহ্নটার কোন দাম না দেয় তবে হয়তো তারা দ্বিতীয়টা বিশ্বাস করবে।
9. কিন্তু যদি তারা এই দু’টার কোনটাই বিশ্বাস না করে কিংবা তোমার কথায় কান না দেয় তবে তুমি নীল নদ থেকে কিছুটা পানি তুলে নিয়ে মাটির উপর ঢেলে দেবে। তাতে মাটির উপরকার সেই পানিটুকু রক্ত হয়ে যাবে।”
10. মূসা মাবুদকে বললেন, “কিন্তু মালিক, আমি কোন কালেই ভাল করে কথা বলতে পারি না। আগেও পারি নি আর তোমার এই গোলামের সংগে তুমি কথা বলবার পরেও পারছি না। আমার মুখে কথা আট্কে যায়, আমার জিভ্ ভারী।”
11. কিন্তু মাবুদ তাকে বললেন, “মানুষের মুখ কে তৈরী করেছেন? কে তাকে বোবা, বয়রা বা অন্ধ করেছেন? আর কে-ই বা তাকে চোখে দেখবার শক্তি দিয়েছেন? সে কি আমি মাবুদ নই?
12. তুমি এবার যাও। আমি নিজেই তোমাকে কথা বলতে সাহায্য করব আর যা বলবার তা তোমাকে শিখিয়ে দেব।”
13. জবাবে মূসা বললেন, “হে মালিক, আমি মিনতি করছি, আর কাউকে দিয়ে তুমি এই খবর পাঠিয়ে দাও।”
14. এই কথা শুনে মাবুদ মূসার উপর রাগে জ্বলে উঠলেন। তিনি বললেন, “তোমার ভাই লেবীয় হারুন কি নেই? আমি জানি সে খুব ভাল করে কথা বলতে পারে। সে তোমার সংগে দেখা করতে আসছে। তোমাকে দেখে সে খুব খুশী হবে।
15. তুমি যখন তার সংগে কথা বলবে তখন তাকে বলে দেবে কি বলতে হবে। আমি তোমাদের দু’জনকে কথা বলতে সাহায্য করব এবং কি করতে হবে তা তোমাদের শিখিয়ে দেব।
16. তোমার হয়ে হারুনই লোকদের সংগে কথা বলবে, যেন তার মুখই তোমার মুখ আর তুমিই যেন তার আল্লাহ্।
17. তোমার এই লাঠিটা তুমি হাতে করে নিয়ে যাবে আর ওটা দিয়েই ঐ সব অলৌকিক চিহ্ন-কাজ দেখাবে।”