2. কোরবানগাহ্টা তৈরী করবার সময় তার চার কোণার কাঠ এমনভাবে চেঁছে ফেলা হল যার ফলে চারটা শিং তৈরী হল। তাতে শিংসুদ্ধ কোরবানগাহ্টা একটা গোটা জিনিসই হল।
3. তারপর ব্রোঞ্জ দিয়ে গোটা কোরবানগাহ্টা মুড়ে দেওয়া হল। কোরবানগাহের ছাই ফেলবার পাত্র, হাতা, কোরবানীর রক্ত রাখবার পেয়ালা, গোশ্ত তুলবার কাঁটা এবং আগুন রাখবার পাত্র- সবই ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরী করা হল।
4. কোরবানগাহের জন্য ব্রোঞ্জ দিয়ে একটা ঝাঁঝরি, অর্থাৎ একটা জালতি তৈরী করা হল। কোরবানগাহের চারপাশ থেকে বের হয়ে আসা তাকের নীচে এই ঝাঁঝরিটা রাখা হল। তাতে সেটা কোরবানগাহের নীচ থেকে উপরের দিকে মাঝামাঝি জায়গায় রইল।
5. ডাণ্ডা ঢুকাবার জন্য ব্রোঞ্জের সেই ঝাঁঝরির চার কোণায় ব্রোঞ্জেরই চারটা কড়া তৈরী করা হল।
6. বাব্লা কাঠ দিয়ে দু’টা ডাণ্ডা তৈরী করা হল এবং সেই ডাণ্ডা দু’টা ব্রোঞ্জ দিয়ে মুড়ানো হল।
7. এই ডাণ্ডাগুলো কড়ার মধ্য দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হল যাতে কোরবানগাহ্টা বয়ে নেবার সময় ডাণ্ডাগুলো কোরবানগাহের দু’পাশে থাকে। কোরবানগাহ্টা তক্তা দিয়ে তৈরী করা হল এবং তার ভিতরটা ফাঁকা রইল।
8. ব্রোঞ্জ দিয়ে একটা গামলা তৈরী করা হল। যে সব মেয়েরা এবাদত-কাজের জন্য মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে আসত তাদের ব্রোঞ্জের আয়না দিয়ে সেই গামলাটা ও তার আসন তৈরী করা হল।
9. এর পরে বৎসলেল আবাস-তাম্বুর চারদিকের উঠানের ব্যবস্থা করলেন। উঠানের দক্ষিণ দিকের একশো হাত জায়গার জন্য পাকানো মসীনা সুতা দিয়ে কতগুলো পর্দা তৈরী করা হল।
10. সেই পর্দাগুলো খাটাবার জন্য বিশটা খুঁটি তৈরী করা হল। খুঁটি বসাবার জন্য ব্রোঞ্জের বিশটা পা-দানি আর খুঁটির সংগে লাগাবার জন্য রূপার হুক আর বাঁধন-পাত তৈরী করা হল।
11. উঠানের উত্তর দিকের একশো হাত জায়গার জন্যও বিশটা খুঁটি, খুঁটি বসাবার জন্য ব্রোঞ্জের বিশটা পা-দানি আর খুঁটির সংগে লাগাবার জন্য রূপার হুক আর বাঁধন-পাত তৈরী করা হল।
12. উঠানের পশ্চিম দিকের পঞ্চাশ হাত জায়গার জন্য কতগুলো পর্দা, দশটি খুঁটি, দশটা পা-দানি এবং খুঁটির সংগের রূপার হুক আর বাঁধন-পাত তৈরী করা হল।
13. উঠানের পূর্ব দিকটাও হল পঞ্চাশ হাত।
14-15. সেখানকার দরজার দু’পাশের জন্য পনের হাত করে লম্বা পর্দা, তিনটা করে খুঁটি আর তিনটা করে পা-দানি তৈরী করা হল।
16. উঠানের চারপাশের সমস্ত পর্দা পাকানো মসীনা সুতা দিয়ে তৈরী করা হল।
17. খুঁটি বসাবার পা-দানিগুলো ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরী করা হল। খুঁটির সংগে লাগাবার হুক আর বাঁধন-পাত তৈরী করা হল রূপা দিয়ে। খুঁটির মাথাও রূপা দিয়ে মুড়ানো হল। উঠানের সব খুঁটিতে রূপার বাঁধন-পাত লাগানো হল।
18. উঠানের দরজার জন্যও একটা পর্দা তৈরী করা হল। এটা নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা ও পাকানো মসীনা সুতার একটা নক্শা করা জিনিস। এই পর্দা বিশ হাত লম্বা এবং উঠানের অন্যান্য পর্দার মত পাঁচ হাত উঁচু করে তৈরী করা হল।
19. এই পর্দার জন্য চারটা খুঁটি ও চারটা ব্রোঞ্জের পা-দানি তৈরী করা হল। খুঁটির হুক ও বাঁধন-পাত রূপা দিয়ে তৈরী করা হল। খুঁটির মাথাও রূপা দিয়ে মুড়ানো হল।
20. আবাস-তাম্বুর এবং উঠানের পর্দার গোঁজগুলো ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরী করা হল।