ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

হিজরত 34:22-34 Kitabul Mukkadas (MBCL)

22. গম কাটবার সময়ে প্রথমে কাটা গম দিয়ে সাত সপ্তাহের ঈদ পালন করবে আর কৃষিকাজের শেষ মাসে পালন করবে ফসল মজুদের ঈদ।

23. বছরে তিনবার তোমাদের সব পুরুষদের আল্লাহ্‌ মালিকের সামনে উপস্থিত হতে হবে। তিনিই বনি-ইসরাইলদের আল্লাহ্‌।

24. দেশের ভিতরকার সব জাতিকেই আমি তোমাদের সামনে থেকে তাড়িয়ে দেব এবং তোমাদের দেশের সীমানা বাড়িয়ে দেব। বছরে তিনবার করে যখন তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র সামনে উপস্থিত হবার জন্য যাবে তখন কেউ তোমাদের জায়গা-জমির উপর লোভ করবে না।

25. “যখন তোমরা আমার উদ্দেশে পশুর রক্ত কোরবানী দেবে তখন তার সংগে যেন খামি-দেওয়া কোন কিছু কোরবানী করা না হয়। উদ্ধার-ঈদের কোরবানী-দেওয়া কোন কিছুই সকাল পর্যন্ত যেন পড়ে না থাকে।

26. তোমাদের ক্ষেত থেকে কেটে আনা প্রথম ফসলের সবচেয়ে ভাল অংশটা তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র ঘরে নিয়ে যাবে।“ছাগলের বাচ্চার গোশ্‌ত তার মায়ের দুধে রান্না করবে না।”

27. তারপর মাবুদ মূসাকে বললেন, “এই সব কথা তুমি লিখে রাখ কারণ এই সব কথা অনুসারেই তোমার ও বনি-ইসরাইলদের জন্য আমি আমার ব্যবস্থা স্থাপন করেছি।”

28. তুর পাহাড়ের উপরে মূসা মাবুদের কাছে চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি রুটি কিংবা পানি কিছুই খান নি। মাবুদ সেই পাথরের ফলক দু’টির উপর তাঁর ব্যবস্থার কথাগুলো আবার লিখে দিলেন, আর সেগুলোই হল সেই দশটি বিশেষ হুকুম।

29. মূসা যখন সাক্ষ্য-ফলক দু’টা হাতে নিয়ে তুর পাহাড় থেকে নেমে আসলেন তখন তিনি টের পান নি যে, মাবুদের সংগে কথা বলবার দরুন তাঁর মুখ নূরানী হয়ে উঠেছে।

30. হারুন ও সমস্ত বনি-ইসরাইল মূসার এই নূরানী মুখ দেখে তাঁর কাছে যেতে ভয় পেল।

31. কিন্তু মূসা তাঁদের ডাকলে পর হারুন ও বনি-ইসরাইলদের নেতারা তাঁর কাছে আসলেন। তখন মূসা তাঁদের সংগে কথা বললেন।

32. এর পর বনি-ইসরাইলরা সকলে তাঁর কাছে আসল আর তিনি তুর পাহাড়ে দেওয়া মাবুদের সমস্ত হুকুম তাদের জানালেন।

33. মূসা লোকদের সংগে কথা বলা শেষ করে নিজের মুখটা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলেন।

34. কিন্তু এর পর থেকে যখনই তিনি মাবুদের সংগে কথা বলবার জন্য তাঁর সামনে যেতেন তখন তিনি তাঁর মুখের উপরকার কাপড়টা সরিয়ে ফেলতেন। মাবুদের সামনে থেকে বের হয়ে না আসা পর্যন্ত তাঁর মুখ খোলাই থাকত। সেখানে তিনি যে সব হুকুম পেতেন সেখান থেকে বের হয়ে এসে তিনি বনি-ইসরাইলদের তা জানাতেন।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন হিজরত 34