1. “ধূপ জ্বালাবার জন্য তুমি বাব্লা কাঠ দিয়ে একটা ধূপগাহ্ তৈরী করাবে।
2. ধূপগাহ্টি হবে চারকোনা বিশিষ্ট- এক হাত লম্বা, এক হাত চওড়া আর দু’হাত উঁচু। শিংসুদ্ধ গোটা ধূপগাহ্টি মাত্র একটা জিনিসই হবে।
3. ধূপগাহের উপরটা, তার চারপাশ এবং শিংগুলো খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হবে আর তার চার কিনারা ধরে থাকবে সোনার নক্শা।
4. ধূপগাহের দু’পাশে নক্শার নীচে দু’টা করে সোনার কড়া লাগাতে হবে যাতে তার ভিতর দিয়ে ডাণ্ডা ঢুকিয়ে সেটা বয়ে নেওয়া যায়।
5. সেই ডাণ্ডাগুলো বাব্লা কাঠ দিয়ে তৈরী করে সোনা দিয়ে মুড়িয়ে নিতে হবে।
6. সাক্ষ্য-সিন্দুকের কাছে, অর্থাৎ সাক্ষ্য-ফলকের উপরকার ঢাকনাটার কাছে যে পর্দা থাকবে এই ধূপগাহ্টা তার সামনে রাখবে; সেখানেই আমি তোমার সংগে দেখা করব।
7. “প্রত্যেক দিন সকালে বাতিগুলো ঠিক করে রাখবার সময় হারুন ঐ ধূপগাহের উপর খোশবু ধূপ জ্বালাবে।
8. বেলা শেষে বাতি ধরাবার সময়েও আবার সে ধূপ জ্বালাবে। এতে তোমাদের বংশের পর বংশ ধরে মাবুদের সামনে নিয়মিত ভাবে ধূপ জ্বলবে।
9. এই ধূপগাহের উপর অন্য কোন ধূপ জ্বালাবে না কিংবা কোন পোড়ানো-কোরবানী বা শস্য-কোরবানী বা ঢালন-কোরবানী করবে না।
10. গুনাহ্ ঢাকবার জন্য গুনাহের কোরবানীর রক্ত ধূপগাহের শিংগুলোর উপরে লাগিয়ে দিয়ে হারুন বছরে একবার করে ধূপগাহ্টি পাক-সাফ করে নেবে। এইভাবে বছরে একবার করে বংশের পর বংশ ধরে মহা-ইমামকে এই কাজ করে যেতে হবে। এটা মাবুদের উদ্দেশ্যে মহাপবিত্র ধূপগাহ্।”
11. তারপর মাবুদ মূসাকে বললেন,
12. “বনি-ইসরাইলদের লোকসংখ্যা জানবার জন্য যখন আদমশুমারী করা হবে সেই সময় প্রত্যেককেই মাবুদকে রূপা দিয়ে তার জীবন-মূল্য দিতে হবে। এতে আদমশুমারীর দরুন যে বিপদ আসবার কথা তা তাদের উপর আসবে না।
13. গুণে রাখা লোকদের দলে যাবার আগে প্রত্যেককে দশ গ্রাম ওজনের ধর্মীয় শেখেলের আধা শেখেল করে দিতে হবে। এই আধা শেখেল হবে মাবুদের।