7. খবর পেয়ে মূসা তাঁর শ্বশুরের সংগে দেখা করবার জন্য বের হয়ে আসলেন। তিনি মাটিতে উবুড় হয়ে তাঁকে সালাম জানালেন ও চুম্বন করলেন। তাঁরা একে অন্যের খবরাখবর জিজ্ঞাসা করে তাম্বুর ভিতরে গেলেন।
8. মাবুদ বনি-ইসরাইলদের পক্ষ হয়ে ফেরাউন ও মিসরীয়দের প্রতি যা করেছেন তা সবই মূসা তাঁর শ্বশুরকে জানালেন। যাত্রাপথে তাঁদের কষ্টের কথা এবং কিভাবে আল্লাহ্ তাঁদের উদ্ধার করেছেন সেই সব কথাও তিনি তাঁকে জানালেন।
9-10. মিসরীয়দের হাত থেকে বনি-ইসরাইলদের উদ্ধার করতে গিয়ে মাবুদ তাদের যে সব উপকার করেছেন তার জন্য শোয়াইব আনন্দিত হয়ে বললেন, “সমস্ত প্রশংসা মাবুদের, যিনি ফেরাউন ও মিসরীয়দের হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করেছেন! এই সব লোকদের তিনিই মিসরীয়দের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন।
11. তাই এখন আমি বুঝতে পারছি যে, সব দেবতার চেয়ে মাবুদই মহান, কারণ দেবতারা যে সব বিষয়ে বনি-ইসরাইলদের বিরুদ্ধে গর্ব করত সেই সব বিষয়ে মাবুদই মহান।”
12. এর পর শোয়াইব আল্লাহ্র উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানী ও অন্যান্য কোরবানীর জন্য পশু নিয়ে আসলেন। পরে হারুন ও বনি-ইসরাইলদের সব বৃদ্ধ নেতারা আল্লাহ্র সামনে মূসার শ্বশুরের সংগে খেতে বসলেন।
13. পরের দিন মূসা লোকদের বিচার করবার জন্য বসলেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লোকেরা মূসার সামনে দাঁড়িয়ে রইল।
14. লোকদের নিয়ে মূসাকে এই সব করতে দেখে তাঁর শ্বশুর বললেন, “তুমি লোকদের নিয়ে এ কি করছ? তুমি কেন একা বিচার করতে বসেছ, আর সব লোক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তোমার চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে?”
15. এর জবাবে মূসা তাঁর শ্বশুরকে বললেন, “আল্লাহ্র ইচ্ছা জানবার জন্যই লোকেরা আমার কাছে আসে।
16. কোন ঝগড়া-বিবাদ দেখা দিলে তারা আমার কাছে আসে আর আমি দু’পক্ষেরই বিচার করি, আর আল্লাহ্র নিয়ম ও নির্দেশ তাদের বুঝিয়ে দিই।”
17. তখন মূসার শ্বশুর বললেন, “তুমি যেভাবে তা করছ তা ভাল নয়।
18. এতে তুমি ও তোমার লোকেরা নিশ্চয়ই ক্লান্ত হয়ে পড়বে। কাজটা এত ভারী যে, তোমার একার পক্ষে তা করা সম্ভব নয়।
19. এবার আমার একটা পরামর্শ শোন, আর তাতে আল্লাহ্ও তোমার সংগে থাকবেন। তুমি বরং আল্লাহ্র কাছে লোকদের প্রতিনিধি হয়ে লোকদের ঝগড়া-বিবাদ আল্লাহ্র সামনে নিয়ে যেয়ো।
20. তারপর তুমি তাঁর সমস্ত নিয়ম ও নির্দেশ সম্বন্ধে তাদের হুঁশিয়ার করে দেবে। এছাড়া কিভাবে চলতে হবে এবং কি কাজ তাদের করতে হবে তা তুমি তাদের বুঝিয়ে দেবে।