ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

হিজরত 16:20-34 Kitabul Mukkadas (MBCL)

20. কিন্তু কেউ কেউ মূসার কথা না শুনে সকালের জন্য কিছু রেখে দিল। তাতে সেগুলোতে পোকা ধরল আর দুর্গন্ধ হয়ে গেল। এই অবস্থা দেখে মূসা তাদের উপর রাগে জ্বলে উঠলেন।

21. লোকেরা প্রত্যেক দিন সকালে যার পরিবারে যতটুকু দরকার ততটুকুই কুড়িয়ে আনত। কিন্তু রোদ কড়া হলে সেগুলো গলে যেত।

22. সপ্তার ছয় দিনের দিন তারা দুই গুণ করে, অর্থাৎ দুই ওমর করে প্রত্যেকের জন্য কুড়াল, আর বনি-ইসরাইলদের নেতারা এসে সেই কথা মূসাকে জানালেন।

23. তখন মূসা তাঁদের বললেন, “এটা মাবুদেরই কথা। আগামী কাল বিশ্রামবার, মাবুদেরই পবিত্র বিশ্রামবার। কাজেই যতটা সেঁকে নেবার নাও আর যতটুকু সিদ্ধ করবার সিদ্ধ করে নাও; বাকীটা পরের দিন সকালের জন্য রেখে দিয়ো।”

24. মূসার হুকুম মতই তারা সকালের জন্য বাকী অংশটা রেখে দিল। সেই দিন ওগুলোতে গন্ধও হল না, পোকাও ধরল না।

25. মূসা তখন বললেন, “আজ তোমরা ওগুলোই খাও কারণ আজকে মাবুদের নির্দিষ্ট করা বিশ্রাম দিন। আজকে তোমরা মাঠের মধ্যে ওগুলো দেখতে পাবে না।

26. তোমরা সপ্তার ছয় দিন তা কুড়াবে কিন্তু সাত দিনের দিন তা পাবে না, কারণ সেই দিন হল বিশ্রামবার।”

27. তবুও সপ্তম দিনে কিছু লোক ওগুলো কুড়াবার জন্য বাইরে গেল, কিন্তু কিছুই পেল না।

28. তখন মাবুদ মূসাকে বললেন, “আর কতদিন তোমরা আমার হুকুম ও নির্দেশ অমান্য করে চলবে?

29. দেখ, তোমাদের জন্য বিশ্রামবারের এই ব্যবস্থা তোমাদের মাবুদই করেছেন। সেইজন্য ছয় দিনের দিন তিনি দু’দিনের খাবার তোমাদের যোগান দিচ্ছেন। তাই সপ্তম দিনে তোমরা কেউ ঘরের বাইরে যাবে না, ভিতরেই থাকবে।”

30. কাজেই লোকেরা সপ্তম দিনে বিশ্রাম নিল।

31. বনি-ইসরাইলরা সেই খাবারকে বলত মান্না (যার মানে “ওগুলো কি?”)। এগুলোর আকার ছিল ধনে বীজের মত আর তা দেখতে সাদাটে; তার স্বাদ ছিল মধু দেওয়া পিঠার মত।

32. পরে মূসা বললেন, “মাবুদ হুকুম করেছেন যেন তোমরা তোমাদের বংশধরদের জন্য এক ওমর পরিমাণ মান্না তুলে রাখ, যাতে তারা দেখতে পায় মাবুদ মিসর দেশ থেকে তোমাদের বের করে আনবার পরে মরুভূমিতে কি খাবার তোমাদের খেতে দিয়েছিলেন।”

33. মূসা হারুনকে বললেন, “তুমি একটা পাত্রে করে এক ওমর মান্না নিয়ে মাবুদের সামনে রাখ যেন বংশের পর বংশ ধরে তা থাকে।”

34. সেই মান্না যাতে বংশের পর বংশ ধরে তোলা থাকে সেইজন্য হারুন পরে মূসাকে দেওয়া মাবুদের হুকুম অনুসারে সাক্ষ্য-ফলকের সামনে তা নিয়ে রেখেছিলেন।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন হিজরত 16