ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

হিজরত 14:4-22 Kitabul Mukkadas (MBCL)

4. আমি ফেরাউনের মন কঠিন করব আর সে তাদের পিছনে তাড়া করবে। কিন্তু ফেরাউন ও তার সৈন্যদল হবে আমার প্রশংসা প্রকাশের উপায়। এতেই মিসরীয়রা জানতে পারবে যে, আমি মাবুদ।” বনি-ইসরাইলরা মাবুদের কথামতই কাজ করল।

5. মিসরের বাদশাহ্‌ ফেরাউনকে যখন বলা হল যে, বনি-ইসরাইলরা পালিয়ে গেছে তখন তাদের সম্বন্ধে ফেরাউন ও তাঁর কর্মচারীদের মন বদলে গেল। তাঁরা বললেন, “এ আমরা কি করলাম? তাদের বিদায় করে দিয়ে তো আমরা আমাদের সব গোলাম হারালাম।”

6. এই কথা বলে ফেরাউন তাঁর রথ সাজাবার হুকুম দিয়ে তাঁর সৈন্যদের একত্র করে সংগে নিয়ে গেলেন।

7. তিনি ছ’শো বাছাই করা রথ তো নিলেনই, তা ছাড়া মিসরীয় অন্যান্য সব রথও সংগে নিলেন। এক একটা রথ এক একজন সেনাপতি চালাচ্ছিলেন।

8. মাবুদ মিসরের বাদশাহ্‌ ফেরাউনের মন কঠিন করে দিয়েছিলেন। ফলে বনি-ইসরাইলরা যখন সাহসের সংগে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন তিনি তাদের পিছনে তাড়া করে গেলেন।

9. তাঁর সব ঘোড়া, রথ, ঘোড়সওয়ার ও সৈন্যদল নিয়ে মিসরীয়রা তাদের পিছনে তাড়া করে তাদের কাছাকাছি এসে গেল। বনি-ইসরাইলরা এই সময় সমুদ্রের ধারে বাল-সফোনের সামনের দিকে পী-হহীরোতের কাছে ছিল।

10. ফেরাউন ও তাঁর দলবলকে তাদের পিছনে আসতে দেখে বনি-ইসরাইলরা খুব ভয় পেয়ে মাবুদের কাছে কান্নাকাটি করতে লাগল।

11. তারা মূসাকে বলল, “মিসরে কবর দেবার জায়গা নেই বলেই কি মরবার জন্য আপনি এই মরুভূমিতে আমাদের এনেছেন? মিসর থেকে বের করে এনে আপনি আমাদের এ কি করলেন?

12. মিসরে থাকতেই কি আমরা আপনাকে বলি নি, ‘আমাদের এখানেই থাকতে দিন; আমরা মিসরীয়দের গোলামীই করব’? এখানে এই মরুভূমির মধ্যে মরবার চেয়ে মিসরীয়দের গোলামী করা আমাদের পক্ষে অনেক ভাল ছিল।”

13. মূসা তাদের বললেন, “ভয় কোরো না। তোমরা যেখানে আছ সেখানেই থাক এবং মাবুদের উদ্ধার করবার কাজটা একবার দেখ। তিনি আজকেই তোমাদের জন্য তা করবেন। যে মিসরীয়দের আজকে তোমরা দেখতে পাচ্ছ এর পর তাদের আর কোন কালেই দেখতে পাবে না।

14. তোমরা কেবল চুপ করে থাক। মাবুদই তোমাদের হয়ে যুদ্ধ করবেন।”

15. এর পরে মাবুদ মূসাকে বললেন, “তুমি আমার কাছে কান্নাকাটি করছ কেন? বনি-ইসরাইলদের এগিয়ে যেতে বল।

16. তুমি তোমার লাঠিটা তুলে নাও এবং সমুদ্রের উপর তোমার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সমুদ্রকে দু’ভাগ কর। তাতে সমুদ্রের মধ্যে শুকনা জমির উপর দিয়ে বনি-ইসরাইলরা হেঁটে চলে যাবে।

17. কিন্তু আমি মিসরীয়দের মন এমন কঠিন করব যে, তারা বনি-ইসরাইলদের পিছনে পিছনে সমুদ্রের মধ্যে ঢুকে যাবে। এতে ফেরাউন ও তার সমস্ত সৈন্যদল, রথ ও ঘোড়সওয়ার আমার প্রশংসা প্রকাশের উপায় হবে।

18. তা দেখে মিসরীয়রা বুঝতে পারবে যে, আমিই মাবুদ।”

19-20. তখন আল্লাহ্‌র ফেরেশতা যিনি ইসরাইলীয় দলের আগে আগে যাচ্ছিলেন তিনি ঘুরে তাদের পিছনে চলে গেলেন। মেঘের থামটাও তাদের সামনে থেকে পিছনে সরে গিয়ে ইসরাইলীয় ও মিসরীয়দের দলের মাঝামাঝি দাঁড়াল। তাতে মিসরীয়দের দিকটা হয়ে রইল মেঘলা ও অন্ধকারে ঢাকা আর বনি-ইসরাইলদের দিকটা রাতের বেলায়ও হয়ে রইল আলোময়। এতে সারা রাতের মধ্যে মিসরীয়রা বনি-ইসরাইলদের কাছে আসতে পারল না।

21. পরে মূসা সমুদ্রের উপরে তাঁর হাত বাড়িয়ে দিলেন; আর মাবুদ সারা রাত ধরে একটা পূবের বাতাস জোরে বইয়ে সমুদ্রের পানি দু’পাশে সরিয়ে দিলেন। তিনি পানিকে দু’ভাগ করে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে একটা শুকনা পথ তৈরী করলেন।

22. বনি-ইসরাইলরা সমুদ্রের মাঝখান দিয়ে শুকনা মাটির পথ ধরে হেঁটে চলল। তাদের ডানে-বাঁয়ে সমুদ্রের পানি দেয়ালের মত হয়ে দু’পাশে দাঁড়িয়ে রইল।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন হিজরত 14